অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সিনেমা ‘সাবা’ নিয়ে হাজির সৌদি আরবের রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তিনি সেখানে গিয়ে পরেছেন দেশের সুপরিচিত আদ্রিয়ানার চোখ জুড়ানো নীল শাড়ি।
সৌদিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে বাঙালিয়ানা সাজে মেহজাবীনের কোনো জুড়ি হয় না। রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবীন চৌধুরীর লুক দেখে কিন্তু সেটাই মনে হচ্ছে। সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ ও ওয়ালেট। ফুলস্লিভ ব্লাউজের সোনালি কারুকাজে রীতিমতো রাজকীয় ভাব।
এখানেই শেষ নয়, মেরুন কালারের লিপস্টিক দেওয়া ঠোঁটে হাসি যেন মুক্তা জড়ানো। সাদামাটাভাবেই চুল মধ্যে সিঁথি করে টেনে পেছনে বাঁধা৷ কপালে সাদা পাথরের টিপ, কানে নীল ও সাদা পাথরের দুলে যেন মরুর দেশে অনন্য মেহজাবীন।
নতুন সিনেমা ‘সাবা’ নিয়ে তিনি সেখানে গেছেন। বলাই বাহুল্য, তিনি এখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি নির্বাচিত হয়েছে এবারের আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১৫টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে লড়ছে এটি। উৎসবে ‘সাবা’র পরিচালক মাকসুদ হোসেন অংশ নিচ্ছেন।
রোকেয়া প্রাচী ও মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা ও তার মেয়ের গল্প। উৎসবে সাবার তিনটি প্রদর্শনী রাখা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর কালচার স্কয়ার-সিনেমা ১-এ হবে প্রথম প্রদর্শনী। এরপর ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর একই স্থানে আরও দুবার দেখানো হবে সিনেমাটি।
জেদ্দার প্রাণকেন্দ্র আল-বালাদ শহরের কালচার স্কয়ারে রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চতুর্থ আসর শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। ১০ দিনের এ আসরে হলিউড ও বলিউডের হেভিওয়েট তারকারাও অংশ নিচ্ছে।
এবারের আসরে ৮১টি দেশের ১২০টি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হবে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসব চলবে।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।
অনলাইন ডেস্ক :
নাক ব্যবহার করে আপনি কি কোনো কিছু লিখেছেন? হয়তো আপনাদের কেউ কেউ চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু নাক দিয়ে কতটা দ্রুত কম্পিউটারে লিখতে পারেন? ভারতের এক ব্যক্তি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষর লিখে নিজের আগের রেকর্ডই ভেঙেছেন। তৃতীয়বারের মতো গড়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
বিনোদ কুমার চৌধুরী (৪৪) ২০২৩ সালে প্রথম নাক দিয়ে লিখে রেকর্ড গড়েন। ওই সময় তিনি ২৭ দশমিক ৮০ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখেছিলেন। পরে একই বছর তিনি ২৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ডে লিখে আগের রেকর্ড ভাঙেন। এবার তিনি ইংরেজি অক্ষর লিখতে সময় নিয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ড।
বিনোদ কুমারের রেকর্ড গড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘আপনি কি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে পারবেন? ভারতের বিনোদ কুমার চৌধুরী ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডে এ কাজটি করেছেন।’
বিনোদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রেকর্ড গড়তে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুশীলন করতেন। নাক দিয়ে লিখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর মাথা ঘুরে উঠত যাতে তিনি চোখে ‘তারা’ দেখতেন। প্রতিটি অক্ষর লেখার সময় মাঝখানে জায়গা রাখতে আরেকটি বাটনে চাপতে হয় তাঁকে।
বিনোদ কম্পিউটারশিল্পে কাজ করে থাকেন। লেখার এই গুণের জন্য তিনি ‘টাইপিং ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।বর্তমানে বিনোদ কুমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডে দ্রুততম সময়ে লেখার তিনটি রেকর্ডের মালিক। একটি হচ্ছে পেছনে এক হাত দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা, আরেকটি হচ্ছে দুই হাত পেছনে দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে নাক দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা।
বিনোদ কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে লেখা। এ কারণে আমি কম্পিউটারে বিভিন্ন কৌশলে লিখে রেকর্ড করার কথা চিন্তা করেছিলাম। এ কাজটি আমার আবেগ বা আসক্তির পাশাপাশি জীবিকার সঙ্গেও জড়িত।
বিনোদ কুমার আরো বলেন, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও যে কাউকে তাঁর আবেগ–অনুভূতিকে ধরে রাখা উচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিনোদের সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতেন।
বিনোদ বলেছেন, তিনি সব সময় নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বপ্ন হচ্ছে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়া। শচীন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৬২ বার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
অনলাইন ডেস্ক :
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। সেখানে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই নিউইয়র্কের রাস্তায় জায়েদ খানকে দেখে তাকে ঘিরে ধরেন বেশ কয়েকজন তরুণী।
এ বিষয়ে নায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই অনেক মেয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। সবাই প্রবাসী বাঙালি। আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। তারা ছবি তুলল। একজন তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাকে মেসেজ করেছে। সেখানে আমার সঙ্গে ছবি দিয়ে লেখা, মাই রিয়েল হিরো।’
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে কিছু গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সম্পর্কে জায়েদ বলেন, ‘এসব একদম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করেছে কিছু উঠতি যুবক। কিন্তু সেটা যে আমাকে দেখে এমনটা নয়, তারা জেমস ভাই, এমনকি কাবিলা পলাশ মঞ্চে উঠতেও একইভাবে চিৎকার করেছে। বরং অনেকের অভিযোগ, আমরা আগে কেন মঞ্চে উঠলাম না।’
‘এখানে আসলে আমাদের পারফর্ম করার কথা ছিল না। তারপরও অনুরোধে আমি গান শুনিয়েছি। নিউইয়র্কের বাংলাদেশিদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন’, বলেন জায়েদ খান।
অনলাইন ডেস্ক :
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানা যায়।
এর আগে, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর প্রথম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।
বাবা ও মাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করেন। তারা বলেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। শাওন, ডিবি হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালতের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী নিশি ইসলাম বলেন, আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এ মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। সে আমাদেরকে মারধর করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে নিশির সাথে পরিচয় ও বিয়ে। এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। এ সময় শাওন ও তার অন্যান্য ভাই বোনেরা ক্ষমতার প্রভাবে দ্বিতীয় মা নিশিকে ছয় মাসের জেলে পাঠান।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাজিলের কোপাকাবানায় মার্কিন পপ তারকা লেডি গাগার কনসার্টে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল একটি শিশু-কিশোর অপরাধচক্র। পুলিশ সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে হামলার মূল হোতা এবং এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের পুলিশ। গতকাল রবিবার কনসার্টের পরদিন এ তথ্য প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এমনকি লেডি গাগা ও তাঁর টিমও প্রথমে সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানতে পারেন।
লেডি গাগার একজন মুখপাত্র দ্য হলিউড রিপোর্টারকে বলেন, ‘আমরা আজ সকালে গণমাধ্যমে খবর দেখে এই কথিত হুমকির কথা জানতে পেরেছি। কনসার্টের আগে কিংবা চলাকালীন কোনো নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’
ব্রাজিলের পুলিশ ও বিচার বিভাগের বরাতে বিবিসি জানায়, পরিকল্পনাকারীরা হাতে বানানো বিস্ফোরক দিয়ে হামলা করতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল লেডি গাগার কনসার্টে হামলা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাওয়া। পুলিশ আরও জানায়, এই গ্যাং এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের বিরোধী মনোভাব পোষণ করত এবং বেশিরভাগ সদস্যই শিশু ও কিশোর।
মূল পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে। অপর কিশোরটির বিরুদ্ধে হামলার ছকে যুক্ত থাকা এবং শিশু পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চক্রটি শিশু-কিশোরদের চরমপন্থায় উৎসাহিত করত— সহিংসতা, এমনকি আত্মঘাতী প্রবণতার দিকেও।
ব্রাজিলের বিচার বিভাগ জানায়, এ গ্যাং নিজেদের ‘লিটল মনস্টার’ পরিচয়ে পরিচিত করত, যা লেডি গাগার ভক্তদের ব্যবহৃত শব্দ। তবে তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। মূলত তারা অনলাইন গ্রুপে সাংকেতিক ভাষায় চরমপন্থা ছড়াত। এর ভিত্তিতে পুলিশের ‘অপারেশন ফেক মনস্টার’ অভিযানে রিও ডি জেনিরো, মাতো গ্রোসো, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল এবং সাও পাওলোতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অন্যান্য সরঞ্জাম।
গত শনিবার নিজের অষ্টম অ্যালবাম ‘ম্যাহেম’-এর প্রচারের অংশ হিসেবে কোপাকাবানায় কনসার্ট করেন লেডি গাগা। এ সময় সৈকতে উপস্থিত ছিল প্রায় ২১ লাখ শ্রোতা। এর আগে তিনি ২০১২ সালে ব্রাজিলে পারফর্ম করেছিলেন।
সূত্র: বিবিসি, দ্য হলিউড রিপোর্টার