চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১শত কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে ১টি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সুরুজ মিয়া (৩৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাসনপুর গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।
এছাড়াও অপর আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর নামক এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সানু মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হামলা ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেড ক্রিসন্টে ও মাদ্রাসার ছাত্ররা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
এসময় তারা থানার বিভিন্ন ভবনের পুড়ে যাওয়া ও ভাংচুর করা ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শতাধিক শিক্ষার্থী শহর পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা করেনি। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সড়কে আনসারের পাশাপাশি ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। শহরের কাউতলীর মোড়, টি.এ রোড, সদর হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, জেল রোড, কে দাস সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে সড়কে অনেকটা সুশৃঙ্খলতা ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ ও চালকরা তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে থাকা ১২টি গাছ কেটে ফেলেছেন প্রকৌশলী। সম্প্রতি অফিস চত্বরে থাকা আকাশি, মেহগনি ও কড়ই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের পুনিয়াউট বাইপাস সড়কের মোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার পর স্টাফরা নিজ খরচে অফিস চত্বরে নারিকেল, আকাশি, মেহগনি ও কড়ই গাছ রোপণ করেন। দীর্ঘদিনে গাছগুলো অনেক বড় হয়। পরবর্তী সময়ে অফিসটি সম্প্রসারণ করে সংস্কার করা হয়। এসময় বেশকিছু গাছ কাটা পড়ে।
সম্প্রতি এ অফিসের আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের জন্য দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে মৌখিক অনুমোদন নেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তিনি ঝোপঝাড় পরিষ্কারের পাশাপাশি অফিস চত্বরে থাকা ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ কেটে ফেলেন।
সরকারি কোনো অফিসের গাছ কাটতে গেলে বনবিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে গাছ কাটতে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্যারেরা বলেছেন ছোট ছোট গাছগুলো কেটে ফেলতে। আমি ছোট গাছগুলো কেটেছি। বড় কোনো গাছ কাটা হয়নি।’
দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. এ বি এম খান মোজাহিদী বলেন, ‘আমাকে অফিস পরিষ্কারের জন্য ছোট ছোট গাছগুলো কাটার কথা বলা হয়েছিল। বড় কাছ কেটেছে কি না জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারী বন সংরক্ষণ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ জাহান বলেন, সরকারি অফিসের ছোট বা বড় যে কোনো গাছ কাটতে গেলে আমাদের কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি আছে। উনারা এ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। গাছের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে কোনো আবেদন আমরা পাইনি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
অনাড়ম্বর আয়োজনে ৩ ফুট উচ্চতার যুবকের সঙ্গে আড়াই ফুট উচ্চতার তরুণীর বিয়ে দিয়েছে দুই পরিবার।
১০ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন উলচাপাড়া গ্রামের মন মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ মিয়ার সঙ্গ বিয়ে হয় পূর্ব তালশহর ইউনিয়ন পুথাই গ্রামের আলী আকবর এর মেয়ে মোছা. আরিফা আক্তারের। দুজনেরই শারীরিক উচ্চতা অস্বাভাবিক।
বরের মামা জুয়েল মিয়া বলেন, ফরহাদের বয়স ২৭ বছর। কিন্তু তার উচ্চতা মাত্র তিন ফুট। বিয়ের বয়স হওয়ার পর থেকে কনে খুঁজছিলাম। দীর্ঘদিন কনে খুঁজে না পেয়ে, অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুথাই গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাই। মেয়েটির উচ্চতা আড়াই ফুট। আমরা দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ের আয়োজন করি। বিয়েতে ৪০ বরযাত্রী গিয়েছি। দেড় লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
বরের প্রতিবেশী শেখ তারেক আহমেদ বলেন, বর ফরহাদের জন্ম দরিদ্র পরিবারে। সে রুপার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার উচ্চতা তিন ফুট হলেও তাকে পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী খুব আদর করেন। পরিবারের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কনের উচ্চতাও আড়াই ফুট। বিয়ের পর বর-কনেকে দেখতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ভিড় করছেন। তাদের বিয়ের আয়োজনে আমরা খুব খুশি।
বর মো. ফরহাদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দু’জনের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ে করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। আমরা যেন সুন্দরভাবে সংসার করতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান পৌর শহরের মধ্যপাড়া ভাউয়াল দিঘীর পাড়স্থ ছায়াবীথি’র বাসিন্দা প্রফেসর ড. এমদাদুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যপাড়াস্থ বাস বভনে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া গ্রামের বাড়ি নরসিংসার গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ অনুমান সাড়ে ৪টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী ২ কন্যা, ৪ ভাই ২ বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।