গত এক বছরের প্রচারিত সকল কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দীপ্ত অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’। মঙ্গলবার আয়োজনটির চতুর্থ আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তানজিন তিশা। ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’-এ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ দর্শকের ভোটে সেরা নির্বাচিত হন এই অভিনেত্রী। এছাড়াও বছরের আলোচিত ওয়েব ফিল্ম হিসেবে দর্শক ভোটে সেরা হয়েছে ‘পয়জন’।
তানজিন তিশা এদিন পুরস্কার নিতে উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার হাতে দর্শকদের এবং সিনেমার পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এ আসরে পুরস্কার নেওয়া ছাড়াও স্টেজ পারফর্ম করেছেন তানজিন তিশা। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশনা করেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী, দীঘি প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌসুমি মৌ। অনুষ্ঠানটি আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দীপ্ত টিভিতে প্রচার করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের ফুটবলে যাত্রা শুরুর পর থেকে নিত্যনতুন ইতিহাস গড়ে চলছে বসুন্ধরা কিংস। আজ ২৬ মে শুক্রবার কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৬-৪ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো তারা।
প্রথম ক্লাব হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে (গত ৭৫ বছরে) টানা চারবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়েছে কিংস।
এবার কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই। ১৭ ম্যাচে ১৫ জয়ে ৪৬ পয়েন্ট অস্কার ব্রুজন শিষ্যদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৪।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রবসনের পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দোরিয়লতন গোমেজ। তবে ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ৩৮ মিনিটে দীপক রায়ের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৩) গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। দুই মিনিট পরেই (৪৫+৫) মোরসালিনের গোলে স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে। ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় কিংস। শেখ রাসেলকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা। ম্যাচের ৫০ এবং ৬৫ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দোরিয়েলতন। ৬৯ মিনিটে কেনেথ ইকেচুকুর গোল ব্যবধান কমায় রাসেল। ৭৬ মিনিটে নিজের চতুর্থ এবং দলের হয়ে ছয় নম্বর গোলটি করেন দোরিয়েলতন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যাবধান কমান কেনেথ ইকেচুকু।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটাই সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ম্যাচের শেষ দিকে জ্বলে ওঠে কিংস অ্যারেনার ফ্লাডলাইট। উৎসবের আমেজে কোনও কমতি ছিল না কিংসের। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন কানায় কানায় পরিপূর্ণ কিংস অ্যারেনার দর্শকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
দুই দলের শুরুটা ছিল সাবধানী। তবে সময় বাড়লে মধ্যমাঠের দখল নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় থাকে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণে আফিদা-জয়নবরা ছিলেন সতর্ক। প্রথমার্ধ ভারতের মেয়েদের হলে দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বাংলাদেশের।
আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়ে গোলের আশা জাগাচ্ছিলেন বারবার।
মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল পেয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত গোল এলো যোগ করা সময়ে। আফিদা খন্দকারের বাড়ানো লম্বা বল ভারতের অর্ধে পেয়ে বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান সাগরিকা।
১-০ গোলে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ।
এই হারের পরও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে ভারতের সামনে। পরের ম্যাচে হারাতে হবে নেপালকে। সুযোগ থাকছে নেপালেরও।
গতকাল ভুটানকে ১-০ গোলে হারানোয় শেষ রাউন্ডে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকছে তারাও। কমলাপুরে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশই। আফিদার দূরপাল্লার ফ্রি কিক অবশ্য চলে যায় পোস্টের খানিকটা ওপর দিয়ে। একটু পরেই বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। কিন্তু ভারতের মিডফিল্ডার পূজা বলের নাগাল পাওয়ার আগেই স্লাইডে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক স্বপ্না রানী।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় প্রাণ ফেরায় সাইফুল বারীর শিষ্যরা। সাগরিকা-পূজা দাসরা আক্রমণে মনোযোগী হলে চাপে পড়ে যায় ভারতের মেয়েরা। পর পর তিনটি প্রচেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। এরপর মুনকি আক্তারের শট এগিয়ে এসে ফেরান ভারতের গোলরক্ষক আনিকা দেবী। তাতে ম্যাচ ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচেই জোড়া গোল করা সাগরিকা এদিন শেষ মুহূর্তে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত গোল।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁজরের চোটে ব্র্যান্ডন কিং ছিটকে না গেলে এই ম্যাচে হয়তো খেলাই হতো না শাই হোপের। সেই হোপ ঘরের মাঠ বার্বাডোজে সুযোগের সদ্ব্যবহার কী দারুণভাবেই না করলেন! ওপেনিংয়ে নেমে একাই মারলেন ৮ ছক্কা। ৩ ছক্কা মেরে তাতে যোগ দিলেন নিকোলাস পুরান।
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে তারা। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেও দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। সেমির রেসে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততেই হতো তাদের। সেই কাজটিই এবার করে ফেলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে ১২৮ রানে থামিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে জয় তুলেছে ৫৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে। তাতে সেমির রেসে রান রেটেও অনেকটা এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই স্বাগতিকের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন ছক্কা-বৃষ্টিতেই উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। কেনসিংটন ওভালে আজ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৮ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে গেল।
এ জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই হারে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
হোপ ৩৯ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বার্বাডোজের আরেক সন্তান রোস্টন চেজ। এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহকে বড় হতে দেননি।
সেন্ট লুসিয়ায় গত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮০ রান করেও বাজেভাবে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন বাটলারের দল রান তাড়া করে ৮ উইকেট আর ১৫ বল বাকি রেখে। ওই হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেটেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ তাই আগের ম্যাচের ক্ষতিই যেন পুষিয়ে দিতে নেমেছিল ক্যারিবীয়রা। হোপ-পুরানের ব্যাটিং–তাণ্ডব সেটা পুষিয়ে তো দিয়েছেই; সঙ্গে সুপার এইটের গ্রুপ ২-এ নেট রানরেটেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এই গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ২ পয়েন্ট করে হলেও নেট রানরেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রান তাড়ায় আজ জনসন চার্লসকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৮ রান এনে দেন হোপ। সপ্তম ওভারের শেষ বলে চার্লস ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হলেও এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর দিয়ে ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়েছেন হোপ ও পুরান। ৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১ উইকেট ৭৫। জয়ের জন্য দরকার ৭২ বলে ৪৯। হোপ-পুরান এখান থেকে বাকি কাজ সেরেছেন মাত্র ১৭ বলেই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে স্টিফেন টেলরকে হারালেও আন্দ্রিস গুস ও নীতীশ কুমারের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪৮ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারে এ জুটি ভাঙতেই মার্কিনদের ইনিংসে মড়ক লাগে। সব ব্যাটসম্যান যেন আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১২৮ রান করতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
ছক্কা মারা ক্যারিবিয়ানদের নেশা—তা সবার জানা। এ ম্যাচ সেটাই নতুন করে মনে করিয়ে দিল। চারের (৭টি) চেয়ে তাদের ছক্কার (১১টি) সংখ্যাই বেশি।
এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা দুই ম্যাচ জিতে অনেকটাই সেমি নিশ্চিত করে ফেলেছে। কাজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন সেমির জন্য লড়তে হবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। যেখানে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেমি নিশ্চিত করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। যেখানে দু’দলই জয় পেলে তখন হিসেবে আসবে নেট রান রেট। তবে আপাতত দারুণ জয়ে নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯.৫ ওভারে ১২৮ অলআউট
(গুস ২৯, নীতীশ ২০, মিলিন্দ ১৯, শালকভিক ১৮; চেজ ৩/১৯, রাসেল ৩/৩১, জোসেফ ২/৩১, মোতি ১/১৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০.৫ ওভারে ১৩০/১
(হোপ ৮২*, পুরান ২৭*, চার্লস ১৫; হারমিত ১/১৮)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
বিনোদন ডেস্ক :
হোটেল থেকে জিনিসপত্র চুরি করেন বিশ্বখ্যাত গায়িকা অ্যাডেল! গল্প নয়, সত্যিই! আর সেই চুরির কথা স্বীকারও করেছেন গায়িকা।
বিশ্বখ্যাত পপতারকা অ্যাডেল যার সম্পত্তির মোট মূল্য ২২০ মিলিয়ন, সম্প্রতি নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, তিনি যে হোটেলে ওঠেন সেখানকার কিছু জিনিস তিনি চুরি করেছেন। এই পপ সুপারস্টার বলেছেন, ‘যদি আমি খুব অভিজাত হোটেলে উঠি, তবে আমি সেখানকার সবকিছু নিয়ে যাই।’
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রিসমাসের আগে সিজারস প্যালেসে লাস ভেগাস রেসিডেন্সি শো চলাকালীন দর্শকদের সম্বোধন করে এসব কথা বলেন গায়িকা।
অ্যাডেলে বলেন, ‘পৃথকভাবে মোড়ানো টুথব্রাশ, শেভ ফোম, কখনও নাম শোনা যায় এমন সব ব্র্যান্ড এবং সমস্ত জীবাণুবিয়োজ্য প্যাকেজিংয়ের জিনিসগুলি- যখন আমরা কোনো হোটেলে যাই এগুলো আমাদের অনেক পছন্দ হয়। আমি এগুলো সঙ্গে করে নিয়ে আসি।’
স্পোর্টস এজেন্ট স্বামী রিচ পলের সঙ্গে বেভারলি হিলসের একটি ছয় বেডরুমের ৪৮ মিলিয়ন ম্যানশনে থাকা অ্যাডেলে অর্থের অভাব নয়, বরং মজা করেই এই চুরি করেন। তিনি দাবি করেন যে কোনোকিছু শেয়ার করাটাই যত্নের বিষয়।
তবে অ্যাডেলে জানিয়েছেন, তিনি কখনো কারো বাড়ি থেকে এসব নেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি অতিথি শিষ্টাচার জানি। আমি কখনই কারও বাড়ি থেকে কিছু নেব না, এমনকি যদি সেটি ব্যবহারের জন্যও দেওয়া হয়। আপনি যদি আপনার বন্ধুর বাড়িতে থাকতে যান, মনে রাখবেন আপনি সেখানে বিনামূল্যে থাকেন।
আপনার কোনও উপহারের আশা করা উচিত নয়।’
বিশ্বের ধনী পপতারকাদের মধ্যে অন্যতম একজন অ্যাডেল। একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাডেলের মোট সম্পদের পরিমাণ ২২০ মিলিয়ন ডলার। তিনি গানের রেকর্ড বিক্রয়, কনসার্ট পারফরম্যান্স এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে তাঁর সম্পদ গড়েছেন। অ্যাডেল বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়নেরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি করেছেন।
গায়িকার বিশাল সম্পত্তি রয়েছে যার মধ্যে বেভারলি হিলস সংলগ্ন তিনটি বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তিনি ৫০ মিলিয়নের প্রাইভেট হিডেন হিলস মেডিটেরিয়ান-স্টাইল এস্টেটে থাকেন, যা পূর্বে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের মালিকানাধীন ছিল।