অনলাইন ডেস্ক :
সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওদের (ভারত) কথায় চিন্তা করার দরকার নেই, দেশের মানুষের কথা ভাবুন। ওবায়দুল কাদের গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পর কীভাবে দেশ থেকে পালায় সেটা নাকি উপদেষ্টারা জানেন না, তাহলে জানে কে?
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে চালক দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংস্কারের নামে নির্বাচনের পেছানোর কোনও মানে হয় না। সামনে রোজা আসছে, তাই আওয়ামী লীগের কোনও লোকজন যাতে সিন্ডিকেট না করতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নষ্ট করতে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ঝামেলা সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। দেশে অন্য ধর্মের মানুষ ভালো আছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে- এসব বলে কোনো লাভ নেই।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ভারত সমান্তরালের নামে আমাদের দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাবেন, আমার দেশের গণতন্ত্রকেও হত্যা করবেন। এই দেশের বিরোধীদলকে জোর করে নির্বাচনে আনবেন। তার বিরোধিতা বিএনপি অবশ্যই করবে। ২০১৪ সালে হাসপাতালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করুন অবস্থা আমরা দেখেছি। ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানে ওসমানী কেন আসল না এমন প্রশ্নে রেখে বিএনপির সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, তাকে কি আসলে আসতে দেওয়া হয়নি? হেলিকপ্টারে আসলে কী খারাপ ছিল? নাকি পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করার পর আধুনিক সব অস্ত্র ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আপনার সহযোগিতা করেছেন তাই আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু পাকিস্তানের ৫০০ টাকার নোটগুলো আপনারা নিয়ে গেছেন। তখন ইন্ডিয়ার এক টাকার পাকিস্তানের এক টাকা কত ছিল? এ সময় ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আপনারা (ভারত) দয়া করে সোজা হয়ে যান। বিজয় দিবস নিয়ে মমতা কী বলল, মোদি কী বললো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বিএনপি তিন সংগঠন আগরতলার উদ্দেশে লংমার্চ করেছে। ভারতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। গরিব হতে পারে কিন্তু মনটা বড়। ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরামে কফি খাচ্ছেন, পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাকে বাংলাদেশে আসতেই হবে, বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। একদিনের জন্য হলেও আয়না ঘরে যেতে হবে। আপনি যদি দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠাতে পারেন তাহলে আপনাকেও কাশিমপুর কারাগারে যেতে হবে। জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসীম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন আমু, চালক দলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার প্রমুখ।
চলারপথে ডেস্ক :
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের একটি দল এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আব্দুর রউফ প্রীতম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা সংগ্রহ করার জন্যই প্রীতম এই প্রতারণার আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ডিএমপি ডিবি লালবাগ বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনী ঘাঁটির সামনে থেকে আব্দুর রউফ প্রীতমকে গ্রেফতার করে। প্রীতম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করতে পারবে এরকম শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে তার ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ এবং বিকাশ মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিবি সূত্র আরও জানায়, এসএসসি ব্যাচ-২০২৩, এসএসসি শর্ট সিলেবাস-২০২৩ এবং দেশ ভিউ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রীতম চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত প্রচারণা চালাতে থাকেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা তার এই প্রচারণায় বিশ্বাস করে তার সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপসে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে তার চাহিদামতো টাকা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই প্রতারক ছাত্র তার বাবা ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ এবং তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একাধিক ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন।
ডিবির ডিসি মশিউর রহমান বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সংরক্ষণ, পরিবহণ অথবা বিতরণের মতো কোনো কাজেই এই ছাত্র বা তার কোনো আত্মীয় জড়িত ছিল না। তাই তার পক্ষে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা একেবারেই অসম্ভব ছিল। অনলাইন জুয়া খেলায় দীর্ঘদিন ধরে আসক্ত এই ছাত্র জুয়া খেলা ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ফুর্তি করার টাকা সংগ্রহ করার জন্যই এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রীতমের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ত্রুটিপূর্ণ বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়ে সরকার ওই প্রতিবাদ জানায়।
বার্তায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানায়, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা অসাংবিধানিক দাবির নামে বিএনপি সহিংসতা ও জনবিচ্ছিন্নতার অভূতপূর্ব প্রদর্শনী করছে। বাংলাদেশ সরকার তাতে গভীরভাবে মর্মাহত।
বিএনপির অনুরোধ অনুসারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কিছু নির্দিষ্ট শর্তে ২৮ অক্টোবর তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে বিএনপিকর্মীরা রাস্তায় সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তি ও সম্পত্তির ওপর হামলার আশ্রয় নেয়। এ ধরনের ব্যাপক সহিংসতার প্রধান শিকার হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, নিরপরাধ নাগরিক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সম্পত্তি।’
জাতিসংঘকে পাঠানো ‘নোট ভারবাল’-এ (কূটনৈতিক চিঠি) বলা হয়েছে, ‘ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশের একজন সদস্যকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা আক্রান্ত ও আহত হয়েছেন। বাস, ফায়ার সার্ভিসের ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অন্য বিচারকদের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতাল চত্বর ও অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসনদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বিএনপির এমন ক্রমাগত নৃশংসতার মুখেও বাংলাদেশ সরকার এবং এর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শন করেছে। তারা জনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বনিম্ন পর্যায়ের বলপ্রয়োগ করেছে।’
বাংলাদেশ বলেছে, মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে মোটরসাইকেলে চড়ে হামলা করা ‘মুখোশধারী ব্যক্তিদের’ ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের বলে যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, জাতিসংঘের বিবৃতি ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার ত্রুটিপূর্ণ এই বিবৃতির প্রতিবাদ জানাবে। গত রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর তাদের আগের বিবৃতি সংশোধন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরবে। না হলে প্রতিষ্ঠানটি গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতে ৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রসেল পরদিন গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ সংখ্যা ১১ বলে উল্লেখ করেন।
বস্তুত ঢাকায় গত শনিবারের সংঘাতের সময় পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের এক স্থানীয় নেতার মৃত্যু হয়। পরদিন রবিবার হরতালে ১৩ জেলায় সহিংসতায় চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দুইজন পৃথক ঘটনায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। গত মঙ্গলবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিন আরো চারজন নিহত হন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতিতে হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সহিংসতায় সরকার সমর্থিত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততারও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের বিবৃতির বর্ণনা বেশ ত্রুটিপূর্ণ, বাস্তবতাবিবর্জিত। আমরা এর একটা প্রতিবাদ পাঠাব। আমরা মনে করি, তাঁরা যথাযথভাবে অবহিত নন।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যে ঘাটতি আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে ঘাটতি থাকা খুবই দুঃখজনক।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাষন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকেল ৩টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ভাষন দেবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে আমরা ইতিমধ্যেই অনুমতি নিয়েছি। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী বলেন, দুপুর ২টা থেকে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা শুরু হবে। বিকেল ৩টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দলের প্রার্থীদের কথা বলবেন এবং বিশেষ করে উন্নয়নের কথা তিনি অবশ্যই বলবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারেন আইন-শৃংখলার কথা বলবেন।
তিনি বলেন, জনসভাকে সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জনসভায় দলীয় প্রার্থীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভায় ১৫/২০ হাজার লোকের জনসমাগম হবে বলে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করাসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ ৩১মে বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপত্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনা আছে। কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা মোট ১ হাজার ১৫৮। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫২২টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩৪৭টি ও মাসিক পত্রিকা ২৮৯টি।
তিনি বলেন, সরকারি বিজ্ঞাপন বর্তমানে চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। তাই বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারি ব্যয় বা রাজস্ব আয়ের সঠিক তথ্য এ অধিদপ্তরে সংরক্ষিত নেই।
তিনি আরো বলেন, তবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের ক্রোড়পত্র প্রকাশের বিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ সরকারি কর, ৪ শতাংশ আয়কর ও ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় বাবদ ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা জেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে মোট ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর ও বাসন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাত ও মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো রুহুল আমিন (৩৮), শ্যাম খান ওরফে শরীফ ওরফে ফারুক (৩০), আবুল সাঈদ (৩৫), মাহমুদুল হাসান রুবেল (৩১), সোহেল মিয়া ওরফে নাক কাটা সোহেল (৪০) ও সজিব আহাম্মদ (২৬)।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, গত ৩১ সেপ্টেম্বর রাতে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার বাসিন্দা দুলাল উদ্দিন তার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল বাছেদ এবং ভগ্নিপতি সোলায়মানকে নিয়ে সদর থানার আদাবৈ পেয়ারা বাগান এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালামাল কেনার জন্য যান। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ১৪/১৫ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বাউন্ডারি ঘেরা একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাকাতরা তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে মারধোর করে নগদ ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন দুলাল উদ্দিন সদর থানার মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার ১০ ঘণ্টা পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রুহুল আমিনকে কালিগঞ্জ থানার নরুন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে শ্যামল খান, আবুল সাঈদ ও মাহমুদুল হাসান রুবেলকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মালামাল উদ্ধারসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, চোরাই মোটর সাইকেল কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের যোগীতলার সুইচ ফ্যাক্টরির মোড় থেকে সোহেল মিয়া ও সজিব আহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে চোরাই ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তারা নিজেদের হেফাজতে রেখে বিক্রি করত। জিএমপির বাসন থানার এস আই সুকান্ত পাল জানান, বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।