ঘরোয়া উপায়ে মুখের ব্ল্যাকহেডস দূর করুন

লাইফস্টাইল, 23 December 2024, 1049 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ধুলাবালি, মরা চামড়া ইত্যাদি নানান কারণে নাকের দুই পাশ, থুতনি ও গালে ব্ল্যাকহেডস হয়। মূলত তৈলাক্ত ত্বকে এগুলো বেশি হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডস চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে। পারলারে গিয়ে মুখের যত্ন নিলে আবারও কিছুদিন পর এগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এজন্য নিয়মিত ঘরেই যত্ন নেয়া দরকার।

banner

ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়
চিনির স্ক্রাব
ফাংশনাল প্ল্যান্ট সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনির স্ক্রাব খুব ভালভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারে। অর্থাৎ ত্বকের ভেতর থেকে মৃত কোষ টেনে বের করতে পারে। বাজারের যেকোনো স্ক্রাবারের চেয়ে কয়েকগুণে ভালো কাজ করে চিনির স্ক্রাব।

আধা চা চামচ চিনির সাথে এক চামচ নারকেল তেল অথবা আমন্ড অয়েল বা জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করুন ৫ মিনিট। ১৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গালে অনেক বেশি ব্ল্যাকহেডস থাকলে সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব করতে পারেন।

টি ট্রি তেল
টি ট্রি তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও আছে। ত্বকের যে কোনো সংক্রমণ, দাগছোপ, ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর করতে পারে টি ট্রি অয়েল। তবে ব্যবহারবিধি জানতে হবে।

প্রথমে উষ্ণ পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। শুকনো করে মুছে তুলোয় টি ট্রি অয়েল নিয়ে গাল ও নাকের যেখানে ব্ল্যাকহেডস হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে লাগালে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। মিনিট ১৫ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

মধুর স্ক্রাব
ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী। এক চা চামচ মধুর সাথে এক চামচ চিনি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে ত্বকে মালিশ করে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

Leave a Reply

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

ইসরায়েলকে ধরাশায়ী ইতালির

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইয় পর্বের ম্যাচে ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার Read more

সারাদিন ফুরফুরে থাকতে যে ৫টি কাজ করুন

লাইফস্টাইল, 5 January 2025, 942 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছি। কিন্তু কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে সেই সোনার হরিণ সফলতা চলে আসবে খুব সহজে।
এজন্য প্রথমে আমাদের সকালের সময়ের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। বলুনতো কত দিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয় না?

banner

সারারাত জেগে কাজ করা আর দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো আজকাল আমাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা কোনো সুস্থ লাইফস্টাইল নয়, সফল এবং সুস্থ জীবনধারা চাবিকাঠি হতে পারে সকালের সময়টার সঠিক ব্যবহার।

আমরা কি জানি বিশ্বের নাম করা এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিনের কাজ শুরু করেছেন, সেই ভোরে। এদের মধ্যে মার্গারেট থ্যাচার সকাল ৫টায় উঠে যেতেন বিছানা থেকে।

সকালে আমাদের কর্মক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর রাতে ভালো ঘুমের পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকি। তাই এই সময়ে যেকোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব। সফল হতে ও সারাদিন ফুরফুরে মেজারে থাকতে সকাল ৮টার আগে যে পাঁচটি কাজ করতে হবে:

* কাজের তালিকা
অনেক সময় খুব জরুরি করণে কাউকে ফোন করতে হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ‍আর হয়তো মনেই থাকে না। তাই সারা দিনের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে নিন। একটি ডায়েরিতে জরুরি তালিকা করে রাখলে কাজ করা সহজ হবে। আর কাজের চাপে কোনো কিছু ভুলে গেলেও লেখা থাকলে কাজ মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ও আরেকটি বিষয়, আমরা শুধু কাজের তালিকার কথা বলি। কিন্তু কাজের ফাঁকে যে বিশ্রাম নিতে হবে তাও লিখে রাখুন। আমরা যখন কাজের মধ্যে ডুবে থাকি তখন অনেক সময় খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, ছোট ছোট সব বিষয়গুলো উল্লেখ করেই তালিকা তৈরি করুন। যেমন প্রতিটি জরুরি মিটিংয়ের পর ১০ মিনিট রেস্ট। সময় মতো খাবার খাওয়া, একটানা ডেস্কে বসে না থেকে ফোনে কথা বলার সময় একটু হাঁটা। হলকা কিছু হাত ও ঘাড়ের ব্যায়ামের জন্যও দিনের তালিকায় কিছু সময় বরাদ্দ করুন।

* স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট
কোনো সন্দেহ নেই সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করে কাজে দৌঁড়াতে হয়। আর কাজের ঝামেলায় অনক দিনই নাস্তা করার সময় হয় না। রাতের পর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্যই নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যেস করতে হবে এবং সকাল আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশে বেরোতে হবে। রুটি, সবজি, ডিম, যেকোনো একটি ফল আর চা হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা। তবে ভিন্নতা আনতে মাঝে মাঝে দুধ দিয়ে কর্নফ্রেক্স বা সবজি খিচুড়িও খাওয়া যায়।

* সময় নিয়ে তৈরি হন
তাড়াহুড়ো করে অফিস বা ক্লাস ধরতে হলে অনেক সময় যেনতেন মতো দৌড়ে বেরিয়ে ‍যাই। কিন্তু সকালে একটু আগে উঠতে পারলে প্রয়োজন মতো তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায়। যেমন অফিসে জরুরি মিটিংয়ে বাইরের কোনো অফিসের কর্মকর্তা আসবেন। আপনি যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানে সাজ পোশাকটা তো তেমনই হওয়া চাই। তাই তৈরি হওয়ার জন্য নিয়মিত হাতে অন্তত কিছুটা সময় রেখে বিছানা ছাড়ুন।

* ব্যায়াম
প্রতিদিন সাধারণত আমরা যে সময়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করি ব্যায়াম করার জন্য একটি ঘণ্টা তো দূরের কথা ২০ মিনিটের সময় বের করাও কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সকাল ৬টা থেকে দিন শুরু করি তাহলে দেখুন কত সময়। চাইলে ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা বা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা যে কোনোটি করতে পারেন। আবার ঘরের টুকিটাকি কাজ করলেও কিন্তু আমাদের ওয়ার্ক আউটটা হয়ে যায়। যেমন বিছানা গোছানো, ফার্নিচার মোছা, মেঝে পরিষ্কার, করতে পারেন যে কোনোটি।

* আধা লিটার পানি
এটা আবার এমন কি জরুরি কাজ, তাই ভাবছেন? কিন্তু প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে নিয়ম করে অন্তত আধা লিটার পানি পান করুন। কারণ আমাদের ত্বক এবং শরীর সব কিছুর সুস্থতার জন্যই পানি অপরিহার্য।

ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?

লাইফস্টাইল, 9 January 2025, 841 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ডালিম উপকারী ফল হিসেবে সকলেই এটা কম বেশি সবাই জানেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়? সংক্রমণ প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো উপকারিতা আছে ডালিমে। এমনকি হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এ ফল।

banner

ডালিমের পুষ্টিগুণ
১৪৪ গ্রাম ডালিমে ৯৩ ক্যালরি, ২ দশমিক ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২০ দশমিক ৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০ দশমিক ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ডালিমে কমলা, আপেল ও আমের চেয়ে চারগুণ, আতা ও আঙ্গুরের চেয়ে দ্বিগুণ, বরই ও আনারসের চেয়ে প্রায় সাতগুণ বেশি ফসফরাস রয়েছে।

আরও পড়ুন
ওজন কমানোর ৫টি উপায়

ডালিমের উপকারিতা
হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
যারা নিয়মিত ডালিম খান, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেন্টরি যৌগ থাকে; যা হার্টের জন্য যেমন ভালো, তেমনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন ডালিম খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে বাড়বে। হাত পায়ের ব্যথা কমাতেও ডালিম কার্যকরী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ থাকে।

রক্তশূন্যতা দূর
যাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কম, যারা রক্তশূন্যতার সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগছেন, তারা প্রতিদিন ডালিম খান। এতে শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বাড়বে।

আরও পড়ুন
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে
প্রতিদিন ডালিমের রস বা ডালিমের দানা চিবিয়ে খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের যেকোনো অংশের টিউমারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এ ফল।

আরও পড়ুন
অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বা হাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ

জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেন্টরি বৈশিষ্ট্য আছে। জয়েন্টের ফোলা ভাব, হাত পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এ ফল। এমনকি বাতের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে ডালিম।

 

হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে কেনো?

লাইফস্টাইল, 19 January 2025, 661 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আমাদের মনে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। খাবার যে শুধু ক্ষুধা লাগলেই খায় বা খেতে ইচ্ছা হয়, তেমনটা হয়। অনেক সময় রসনা তৃপ্তির জন্যও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। তবে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা এমনি এমনি নাও হতে পারে। শরীরের কোনো উপাদানের ঘাটতি হলে, সেই সংকেত দেয় আমাদের জিহ্বা। লো ব্লাড সুগার থেকে মানসিক চাপ, এমনকি নারীদের পিরিয়ডের কারণেও ক্রেভিং অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কোনো খাবার খাওয়ার বা পান করার ইচ্ছা জাগতে পারে। কোন খাবার খাওয়ার বাসনা কোন সমস্যার কারণে হতে পারে, জেনে নিন-লো ব্লাড সুগার: শ্বেতসার সম্পন্ন খাবার যেমন রুটি, পাস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগার মানে হলো, রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘসময় শ্বেতসার খাওয়া না হলে এমনটা হতে পারে। হঠাৎ রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করা কমে গেলে স্টার্চজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে। সেক্ষেত্রে আস্ত বীজ ও শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। শস্যজাতীয় খাবারে ফাইবার অর্থাৎ, তন্তুজাতীয় উপাদানের আধিক্য থাকে। এছাড়া এসব উপাদান হজম হতেও সময় লাগে, তাই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। শস্যজাতীয় খাবার অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভরপুর।

banner

তৃপ্তির অভাব: গরম, সুস্বাদু কোনো পেট ভরিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করলে মিষ্টি আলু বা মসুর ডাল খাবারে রাখতে পারেন। মসুর ডালে প্রোটিন, ফাইবার থাকায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে এবং বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যা কমিয়ে আনে। মিষ্টি আলুও ফাইবার আর ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। তাই এই খাবার গুলো অনেকক্ষণ পেট ভরা রেখে তৃপ্তি আনে।

এর বিকল্প হতে পারে উচ্চ আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার। ক্ষুধা মেটাতে আর তৃপ্তি প্রদানে ডিম, মাছ, মুরগীর মাংসও ভালো কাজ করে।

মানসিক চাপ: গবেষকদের মতে, যখন মানুষ মানসিক চাপে থাকে, তখন কর্টিসোল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়। এরকম হলে চিনি বা মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে হঠাৎ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় আবার ভেঙেও যায়। এরফলে মেজাজ খারাপ হওয়া এবং ক্লান্ত বোধ হতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা মেটাতে ফল, দই বা ঠান্ডা দই খেতে পারেন। ফল বা দই একটি চমৎকার নাস্তা। দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের জন্য ভালো। অন্যদিকে, বেরি বা ফলে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

পিরিয়ড সাইকেল: নারীদের ক্ষেত্রে, মানসিক চাপে থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে চকলেট খাবার খেতে ইচ্ছা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি হয়। গবেষণাতেও দেখা গেছে নারীদের পিরিয়ড চলাকলে সাধারণত চকলেট, মিষ্টি, নোনতা খাবার ইচ্ছা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে চকলেট বা বাদাম বা নারকেল দুধ খাওয়া যেতে পারে। চিনিবিহীন বা কম চিনিযুক্ত চকলেট দুধও পান করা যেতে পারে। বাদাম আর বীজ খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়।

পিপাসা: অনেকের ক্ষেত্রে শুধু খাবার খাওয়ার আকাক্সক্ষার সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগতে দেখা যায়। মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ ক্ষুধা-তেষ্টা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অনেক সময় পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে খাবারের সাথে সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগে। তাই যদি কখনো ক্ষুধা বোধ হয় কিন্তু কি খাবেন ভেবে পান না, তখন এক গ্লাস পানি পান করুন।পানি পানের পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কিনা।

মানুষের শরীরে সোডিয়ামঘাটতি সহ বিভিন্ন কারণে খাওয়ার পর তৃপ্তি বোধ না করার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন উপাদানের অভাবজনিত কারণে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন খাবার খাওয়ার আকাক্সক্ষা তৈরি হতে পারে। ফল, দই, ডিম এবং বীজ ও শস্য খাবার এধরনের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সাহায্য করতে পারে। তবে বেশি গুরুতর পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

ফেসবুক পে-আউট সেটআপে ভুল হলে যা করতে হবে

লাইফস্টাইল, 15 May 2025, 318 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুক এখন অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। এ অর্থ পেতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফেসবুক-এ সঠিকভাবে পে-আউট সেটআপ করতে হবে। আপনার ফেসবুক পে-আউট সেটআপ করার সময় যদি ভুল হয়ে থাকে, সেটি ঠিক করার জন্য কিছু অপশন অনুসরণ করতে পারেন-

banner

১। পে-আউট সেটিংস চেক করুন:
ফেসবুক পেআউট হাব ‘মেটা পেআউটস’-এ যান। সেখানে সেটিংস > পে-আউটস অংশে গিয়ে ভুল তথ্য ঠিক আছে কি না চেক করুন।

২। পে-আউট ইনফরমেশন আপডেট করুন:
পে-আউট অ্যাকাউন্ট এডিট করুন। যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা নাম ভুল হয়, তবে সেটি পরিবর্তন করুন। ট্যাক্স ইনফরমেশন ঠিক করুন। যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে নতুনভাবে সাবমিট করুন।

৩। পে-আউট ডিটেলস পরিবর্তন করতে না পারলে:
ফেসবুক সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করুন। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক বিজনেস হেল্প সেন্টার ‘ফেসবুক সাপোর্ট’-এ যান। গেট সাপোর্ট (সাপোর্ট নিন) অপশন ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি রিপোর্ট করুন। লাইভ চ্যাট বা ই-মেইল সাপোর্টে রিকোয়েস্ট পাঠান। এভাবে আপনি সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করুন। তাও না পারলে পরিচিত এক্সপার্টদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

নিয়মিত ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে

লাইফস্টাইল, 18 January 2025, 687 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
মানুষ ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া খুব সহজ বলে মনে করে। তবে, অনেকেই দৈনন্দিন রুটিনে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যান। কিন্তু ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ফলে যে সমস্যা হয়, তা তারা বোঝেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্রেকফাস্ট যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

banner

ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ফলে যে ক্ষতি হতে পারে তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জানা যাক। দিন শুরু করার জন্য ব্রেকফাস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এটি আমাদের সারাদিন কাজ করতে এবং ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে আমাদের শরীর ও মুখের ওপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

ত্বকের সমস্যা
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ব্রণ, বলিরেখা ও ত্বকের স্বর পরিবর্তনের মতো ত্বকের সমস্যা হতে পারে। একবার আপনার মুখে এইসব ঘটতে শুরু করলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

চোখের নিচে কালো দাগ
ব্রেকফাস্ট না করলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। যা ক্লান্তি ও দুর্বলতার লক্ষণ। ব্রেকফাস্ট অনেক শক্তি দেয়, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্ষুধার্ত থাকলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।

আরও পড়ুন
প্রাকৃতিক ভাবে ঘন করুন ভ্রু

মুখের রঙের পরিবর্তন
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে মুখের রঙের পরিবর্তন হতে পারে। যেমন- মুখ ফ্যাকাশে বা শুকনো দেখায়। সেইসঙ্গে মুখের রং ফরসা হয়ে যায়।

শক্তির অভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে শক্তির অভাব হতে পারে। যার ফলে আপনি ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করতে পারেন।

জমের সমস্যা
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস ও পেটে ব্যথার মতো হজমের সমস্যা হতে পারে। সকালের খাবার বাদ দিলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।

আরও পড়ুন
মন ভালো করার টিপস জেনে নিন

ওজন বৃদ্ধি
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওজন বাড়তে পারে। কারণ আপনি দিনের বেলা বেশি খেতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা। তাই ব্রেকফাস্ট কখনই বাদ দেওয়া উচিৎ নয়। একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম সকালের নাস্তা আপনাকে সারা দিনের জন্য শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।