অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি গড়লেন ইতিহাস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে লাল-সবুজের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ডবুকে নাম তুললেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তিন দিনের নারী বিসিএলের ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ১৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জ্যোতি। ২০ চার ও ২ ছক্কার মারে ২৫৬ বলে ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
জ্যোতির সেঞ্চুরিতে বড় লিড নিয়েছে মধ্যাঞ্চল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল সোবহানা মোস্তারির উত্তরাঞ্চল। দলটির হয়ে ২৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি। মধ্যাঞ্চলের নাহিদা আক্তার ৪৮ রানে শিকার করেছেন ৭ উইকেট।
জবাবে দুই ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা আক্তারের জোড়া ফিফটিতে ব্যাট হাতে ভালো জবাব দেয় মধ্যাঞ্চল। দুই ওপেনারের ভালো শুরুর পর জ্যোতি সেঞ্চুরিতে রাঙানো ইনিংস খেললেন। ৮ উইকেটে ৩৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে মধ্যাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ১১৩ রানে ৬ উইকেট নেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা।
২১ ডিসেম্বর রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুরু হয় নারীদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। এর আগে নারী ক্রিকেটারদের দুই দিনের ম্যাচ আয়োজন হতো। প্রথমবারের মতো এবার তিন দিনের ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ছেলেদের মতোই চার দল নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে নারীদের বিসিএল। দলগুলো হলো-উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল।
অনলাইন ডেস্ক :
কাতারে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ। মঙ্গলবার আর্থনা সামিটের আগে দোহার ম্যান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বের সঙ্গে স্বাগত সংবর্ধনায় অংশ নেন তারা।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশ সফরে গেছেন। এই চার কৃতী ক্রীড়াবিদ হলেন- জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আর্থনা সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন জাতীয় চার নারী ফুটবলার এবং ক্রিকেটার।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা। এ সময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
কাতারের দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এবারের আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান। চার দিনের এ সফর চলাকালে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের এ সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পুরো জাতি তাদের অর্জনে গর্বিত।
খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, জয়ের পর অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতিকে একত্রিত করতে খেলাধুলার শক্তির কথা খেলোয়াড়দের স্মরণ করিয়ে দেন। সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে একজন উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ড. ইউনূসকে তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পেরে খুশি। এটি সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
শান্ত বলেন, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রম পাকিস্তানে তাদের সাফল্যের জন্য মুখ্য ছিল। এ কঠিন সময়ে সাফল্য আনার জন্য খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট মানেই ভারতের আধিপত্য। টুর্ণামেন্টের ৮ আসরের ৭টিতেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতীয় নারী দলের ধারেকাছে কেউ ছিল না।
আজ ২৮ জুলাই রোববার ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালেও ফেবারিট ছিল ভারতই। কিন্তু এবার হলো উল্টোটা। গ্যালারি ভর্তি লঙ্কান দর্শকদের উৎসবে মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।
স্মৃতি মান্ধানার ৬০ রানের সৌজন্যে ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৫ রান ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। চামিরা আতাপাত্তুর ৬১ রানের পর হারশিতা সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে লঙ্কানদের মেয়েদের হাতে উঠেছে প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা।
মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মানেই চামিরা আতাপাত্তু। এবারের এশিয়া কাপে তিনি একাই টানছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং। মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের রান তাড়ায়ও জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভিশমি গুনারত্নে রান আউট, দলের রান তখন মাত্র ৭। এরপর তিনে নামা হারশিতা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৬৩ বলে ৮৭ রান যোগ করেন আতাপাত্তু। ১২তম ওভারে দিপ্তি শর্মার নিচু হয়ে আসা বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৬১ রান। ১৪১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপে এটি আতাপাত্তুর দ্বিতীয় ফিফটি। একটি শতকও আছে এই বাঁহাতির। বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যে এশিয়া কাপে আতাপাত্তুর রান তিন শ (৩০৪) ছাড়িয়ে গেছে।
বাকি কাজটা করেছেন সামারাবিক্রমা। মাঝের ওভারে ধরে খেলেছেন, সুযোগ বুঝে খুঁজে নেন বাউন্ডারিও। কাভিশা দিলহারির সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন সামারাবিক্রমা। নিজে করেছেন ৫১ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। ১৩৫ স্ট্রাইক রেটের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে কাভিশা অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩০ রানে, ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৮৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। দুজনের ব্যাটে চড়ে ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা। দুজন মিলে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান যোগ করেন। মান্ধানা ছিলেন আক্রমণাত্মক, শেফালি খেলেছেন ধরে। কাভিশা দিলহারির করা পাওয়ার প্লের পরের ওভারে থামে শেফালির ১৯ বলে ১৬ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটির করে দেওয়া সুবিধাটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ভারতের পরের দুই ব্যাটার উমা ছেত্রি (৯) ও হারমানপ্রিত কৌর (১১)। তবে মান্ধানার সঙ্গে ২৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ইনিংসের ১৭তম ওভারে জেমিমাহ ১৬ বলে ২৯ করে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।
কাভিশার করা পরের ওভারে থেমে যায় মান্ধানার ইনিংসও। ৪৭ বলে ১০ চারে ৬০ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১৩৩। সেখান থেকে দলের রান দেড় শর ওপারে নিতে সাহায্য করেন রিচা ঘোষ। তাঁর ১৪ বলে ৩০ রান আসে ৪টি চার ও ১ ছক্কায়। ৪ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া কাভিশা ছিল শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত নারী দল: ২০ ওভারে ১৬৫/৬
(মান্ধানা ৬০, রিচা ৩০, জেমিমা ২৯; কাভিশা ২/৩৬, সাচিনি ১/২০ প্রাবোধানি ১/২৭, আতাপাত্তু ১/২৮)।
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/২ (হার্শিতা ৬৯*, আতাপাত্তু ৬১, কাভিশা ৩০*; রেদিপ্তি ১/৩০)
ফল: শ্রীলঙ্কা নারী দল ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হার্শিতা সামারাবিক্রমা।
টুর্নামেন্টসেরা: চামারি আতাপাত্তু।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা টি২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দোলা ইবনে শহীদ সৈকত। ২ জুন ওই ম্যাচে রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচের আম্পায়ার ছিলেন সৈকত। আইসিসির দুটি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আম্পায়ার্স প্যানেলে ছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার এক বছরে এমার্জিং আম্পায়ার থেকে এলিট প্যানেলে নাম লেখান। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের পারফরম্যান্স শীর্ষে নিয়ে গেছে তাঁকে।
অনলাইন ডেস্ক :
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উচ্চতা প্রায় ৮ হাজার ফুট। এই উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ দলের। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভুটান গেলেও উচ্চতার কারণে জামাল-তপুদের যে সমস্যা হচ্ছিল, সেটি শোনা যাচ্ছিল।
বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফুটবল দল জয়ের দেখা পেয়েছিল। তারপর ১০ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল এর মাঝে খেলেছে ছয় ম্যাচ, যার পাঁচটিতেই পেয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলটি অবশেষে জেতার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় ভুটানের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ জিতেছে। গোলদাতা শেখ মোরসালিন জয়ের নায়ক।
খেলার ছয় মিনিটের মাথায় অতিথি দল এগিয়ে যায়। ডানপ্রান্ত দিয়ে তৈরি হওয়া আক্রমণে রাকিব হোসেনের ক্রস ডি বক্সে উড়ে আসলে বলে পাঞ্চ করেন ভুটানি গোলরক্ষক তিশেরিং ধেনদুপ। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোরসালিনের পায়ে বল লাগে। সুযোগ বুঝে মাটিতে পড়ে থাকা গোলরক্ষককে কাটিয়ে এই ফরোয়ার্ড ডান পায়ের টোকায় ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন।
নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে তখন গড়িয়েছিল প্রথমার্ধের খেলা। চোট পাওয়া রাকিব হোসেন মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে রেফারি খেলা থামিয়ে দেন। মাঠে স্ট্রেচার নিয়ে কয়েকজন প্রবেশ করেন। ঠিক তখনই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। স্ট্রেচার বহনকারীদের একজন আকস্মিকভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
ঘটনার আকস্মিকতায় বাংলাদেশ ও ভুটান দলের ফুটবলাররা হতভম্ব হয়ে পড়েন। মেডিকেল স্টাফ দৌড়ে মাঠে ঢুকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্যক্তির বুকে বারবার চাপ দিতে থাকেন। এ সময় ফুটবলাররা তাকে ঘিরে ধরে রাখেন।
দ্রুততম সময়ের ভেতর মাঠে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে অজ্ঞান থাকা স্ট্রেচার বয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খানিক পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের খেলা আবারো শুরু হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই গোলের মুখ না দেখায় একমাত্র গোলের জয় নিয়ে বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ভুটানের বিপক্ষে এটি দলটির ১১তম জয়। মোট ১৩ দেখায় দুইবার হয়েছিল ড্র। একটিতে পায় পরাজয়ের স্বাদ।