নাসিরনগরে তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কাহেতুরা গ্রামে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়) এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর তথ্য সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিপাশা জাহান কনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মকর্তা মো: শাহ আলম।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: আজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জামাল মিয়া, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে নারীর অধিকার,নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, মাদক, বাল্যবিবাহ রোধে, যৌতুক নিরোধ আইন এবং নারী নীতি,গ্রাম আদালত কি, কোন ধরণের মামলা নেয়া হয়, কিভাবে নিষ্পত্তি করা হয়,মামলা কিভাবে করতে হয়, কোথায় গিয়ে করতে হয়, মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা করা হয়। উঠান বৈঠকে কুন্ডা ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লতিফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে লতিফ হোসেন কুন্ডা গ্রামের মৃত অহিদ হোসেনের ছেলে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লতিফ হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত ও শহীদদের স্মরণে নাসিরনগরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনা নাছরিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জামিল খান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মুখলেছুর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ সাইফুজ্জামান জনি, খালেদ সাইফুল্লাহ সোহাগ, মোহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিন, মোবাস্বির রহমান।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মৃতিচারণ করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি, ছাত্র-জনতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং আহতদের দ্রæত সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুখলেছুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের ন্যায় নাসিরনগরে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১ ঘন্টা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, কোন কোটা রাখা যাবে না ১০০% উপসচিব ও অন্যান্য পদ পরীক্ষার মাধ্যমে সব ক্যাডার থেকে নিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আজ কলমবিরতি কর্মসূচি পালনের পর আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব অফিসে স্ব স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশের পর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবেএ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সামিউল বাছির, সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন, মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুল ইসলাম, ডাঃ সুব্রত চক্রবর্তী, ডাঃ মোহাম্মদ রায়হান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫৫ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে এসব রাস্তা আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। গর্তে যানবাহন আটকে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব সড়কে হেঁটে চলা দায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর।
নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল, হরিপুর, চাতলপার, গোয়ালনগর, চাপরতলা, গোকর্ণ, কুন্ডা ও সদরের বিভিন্ন সড়কে চালক-যাত্রী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক বেহাল। সংস্কারও নেই। চার বছরে এসব সড়কে দুই শতাধিক যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঝাঁকুনি থেকে বাচতে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। রোগী, বয়স্ক ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে পথ চলতে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলায় এলজিইডির ১০৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের বন্যায় প্রায় ৫৫ কিলোমিটার সড়ক, ১০টি সেতু-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়কের অধিকাংশ সংস্কার হয়নি। তবে ২০২১-২২ ও ২৩ অর্থবছরে সদর থেকে তিলপাড়া হয়ে চিতনা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করা হয়েছে।
নাসিরনগর থেকে ধরমন্ডল ইউনিয়নে যেতে ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এ রাস্তা ব্যবহার করে পাশের লাখাই উপজেলার ২০টি গ্রামসহ ধরমন্ডল ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইট, বালু ও কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষ হেঁটে যেতেও ভয় পায়।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের বাসিন্দা আতর চান বিবি বলেন, ‘গাড়িত উঠলে ঝাক্কি লাগে। মাজায় ব্যথা করে। তাই হাইট্ট্যা (হেঁটে) বাড়িত যাইতাছি।’
সদরের কলেজ মোড় থেকে গোকর্ণ ও হরিপুর ইউনিয়ন হয়ে পাশের উপজেলা মাধবপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কে প্রায় ১৮ হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তিন ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে আছে। কলেজ মোড় থেকে গোকর্ণ ইউনিয়নের ছৈয়ারকুড়ি বাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের প্রতি পাঁচ ফুট দূরত্বে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তায়েবা আক্তার বলল, তারা তিন কিলোমিটার হেঁটে বাড়িতে যাওয়া-আসা করে প্রতিদিন। যানবাহন থাকলেও ঝাঁকুনির ভয়ে কেউ গাড়িতে উঠতে চায় না।
হরিপুর ইউনিয়নের মঞ্জুর আলী বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে এক দিন গাড়িত উঠলে তিন দিন ঘুমান লাগে। ভোটের সময় নেতারা রাস্তা কইরা দেওনের কথা কইলেও ভোট চইলা গেলে দেয় না।’
স্বস্তিতে নেই কুন্ডা, ফান্দাউক ও চাপরতলা ইউনিয়নের লোকজনও। তাঁদের অভিযোগ, কুন্ডা ইউনিয়নের তুল্লাপাড়া থেকে মছলেন্দপুর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার, মছলেন্দপুর থেকে রানিয়াচং আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার পাকা রাস্তা এখন কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে।
গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের রাস্তা এবং ওই এলাকার দুটি সেতু ভেঙে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্ষায় অতিরিক্ত পানি হলে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হবে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বেনীপাড়া গ্রামে হবিগঞ্জ-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি সেতুর রেলিং ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁশ দিয়ে বেঁধে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্টরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ডেইজি রায় টুম্পা বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না তাঁর। তবে সেতুর অবস্থা দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, কুন্ডা ও গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় নতুন করে সেতু নির্মাণ করছেন না তারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি দেখভাল করবে।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, এসব রাস্তা ও সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান। বর্ষায় যেন জনদুর্ভোগ কমানো যায়, সে জন্য কিছু রাস্তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুৎ করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
চাকরি হতে স্থায়ী বহিস্কৃতরা হলো- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ম্যানেজার মনির হেসেন, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাকিম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর সিনিয়র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারমো. হুমায়ুন কবীর, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার সিংহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আরইবির লোকজনের কেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য নির্মাণসামগ্রী থেকে শুরু করে সব মালামাল খুবই নিম্নমানের। এসবের কারণে ভূতুড়ে বিল আসে। এর দায় আসে আমাদের ওপর। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা ১০ কর্মকর্তার সব মামলা বাতিল করে সসম্মানে চাকরিতে পূনর্বহালসহ আমাদের যৌক্তিক সকল দাবি না মানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।