অনলাইন ডেস্ক :
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বড় অংশটাই বাবার সাথে কাজ করে কাটিয়েছেন। আবাসন খাতে যখন ট্রাম্প শীর্ষে ছিলেন, তখন ইভাঙ্কা নতুন হোটেলের নকশা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিভিশনের শো-তে সক্রিয় থাকাকালে ইভাঙ্কা ছিলেন তার বোর্ডরুমের সদস্য। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সময় বাবার প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সি শুরু হলে ২০১৭ সালে ইভাঙ্কা হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে কাজ শুরু করেন।
কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইভাঙ্কা ওয়াশিংটন ছেড়ে দেন। ২৩ বছর বয়স থেকে ওয়াশিংটনে থাকা এই নেত্রী এবার শহরটি ছেড়ে রাজনীতি থেকে একেবারে সরে দাঁড়ান। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘আমি আর রাজনীতিতে ফিরছি না।’
২০২২ সালে ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলে ইভাঙ্কা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, ‘আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসি। তবে এখন আমার ছোট শিশুদের এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছি না।’
২০২৪ সালে বাবার বিজয়ের পরও ইভাঙ্কার এই অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা। ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার এখন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ব্যক্তিগত জীবনযাপন করছেন। চার বছর ধরে তারা সেখানেই আছেন, জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যায়নি তাদের।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ
হোয়াইট হাউসে চার বছর কাজ করার সময় ইভাঙ্কা ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। তবে বাবার নেয়া কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে না পারায় তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। তখন নিউইয়র্কে উদারপন্থী বন্ধুদের মধ্যেও তিনি কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। নৈতিকতার প্রশ্নে সমালোচনার মুখে তাকে নিজের সফল ব্র্যান্ডও বন্ধ করতে হয়েছিল।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এখন ইভাঙ্কা স্বাধীন জীবনের স্বাদ পাচ্ছেন। তিনি দ্য লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্টে বলেন, রাজনীতি একটি অন্ধকার জগৎ, যেখানে নেতিবাচকতার আধিক্য। আমার কাছে যা ভালো মনে হয়, রাজনীতি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত হলেও ইভাঙ্কা এবার বাবার প্রশাসনে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন না। তিনি দৃশ্যপটের বাইরে থেকে পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন। ইভাঙ্কার বন্ধু ম্যাগি কর্ডিশও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ইভাঙ্কা সবসময়ই একজন বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর ছিলেন।
অন্যদিকে, ইভাঙ্কার স্বামী জ্যারেড কুশনারও নতুন প্রশাসনে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিতে রাজি নন। তবে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে ট্রাম্পকে উপদেষ্টা হিসেবে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প পরিবারের প্রতি প্রেসিডেন্টের বিশেষ আস্থা এখনো দৃশ্যমান। উদাহরণ হিসেবে জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনারকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আজ ১৪ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সকল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম পরামর্শে বলেন, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলও’র নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য আমাদের একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরি করতে হবে। এই সামাজিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হবে- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য যে, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলও’র দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক দুটি নতুন মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন, একটি বড়ো শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে।’
শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আটটি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এ সংশোধন করা হয়েছে। এ বছর নাগাদ শ্রম আইন, ২০০৬-এ আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োগর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া, সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের কারখানাগুলোর জন্য একটি ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের গ্রিনল্যান্ডের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার।
২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোলস লোন পওসেন বলেছেন, এই প্যাকেজ ক্রোনায় ‘হাজার কোটির উপরে’। যা অন্তত দেড় বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ।
প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণার এই সময়কে তিনি ‘আইরনি অব ফেইট’ বা দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে বর্ণনা করেন।
এর আগে ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে লেখেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ‘একটি আবশ্যকতা’।
ডেনমার্ক সরকার ঘোষিত প্যাকেজে নতুন দু’টি পরিদর্শন জাহাজ, দু’টি দীর্ঘপাল্লার ড্রোন এবং দুইটি কুকুর স্লেড দলের জন্য তহবিল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও গ্রিনল্যান্ডের নুক শহরে আর্কটিক কমান্ডের কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এবং গ্রিনল্যান্ডের তিনটি প্রধান বেসামরিক বিমানবন্দরের একটি আপগ্রেড করার জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হবে যাতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করা যায়।
পাওসেন বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা আর্কটিকে যথেষ্ট বিনিয়োগ করিনি, এখন আমরা সেখানে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করছি।
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিলে ডেনিশ নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। সেই সাথে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন এই ধারণাটিকে ‘অবাস্তব’ বলে বর্ণনা করেন। এরপর ট্রাম্প ডেনমার্কে একটি রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করতে বাধ্য হন।
সে সময় ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে বলেন, ‘আমরা এটি বিক্রি করছি না’। তিনি প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা মূলক আচরণের আহ্বান জানান।
ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন যিনি গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন; এই ধারণাটি প্রথম উত্থাপিত হয় ১৮৬০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের সময়।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রকল্পে বিশাল সব স্থাপনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপটির অবস্থান উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম জলপথে। এই দ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ খনির মজুদ আছে।
সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
কাতারে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ। মঙ্গলবার আর্থনা সামিটের আগে দোহার ম্যান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বের সঙ্গে স্বাগত সংবর্ধনায় অংশ নেন তারা।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশ সফরে গেছেন। এই চার কৃতী ক্রীড়াবিদ হলেন- জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আর্থনা সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন জাতীয় চার নারী ফুটবলার এবং ক্রিকেটার।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা। এ সময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
কাতারের দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এবারের আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান। চার দিনের এ সফর চলাকালে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররামে পৃথক গুলির ঘটনায় সাত শিক্ষকসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার জেলার আপার কুররাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা সদর হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কায়সার আব্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ অফিসার মুহাম্মদ ইমরান জানান, শালোজান রোডে প্রথমে গুলির ঘটনা ঘটে এবং এর কিছুক্ষণ পর তেরি মেঙ্গল স্কুলে গুলির ঘটনা ঘটে।
আব্বাস জানান, শালোজান রোডে গুলিতে একজন নিহত হন। এর কিছুক্ষণ পর স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাতজন শিক্ষক নিহত হন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। এর বেশিরভাগ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে।
সূত্র : ডন
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একদিনে কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। ২৪ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যা থেকে ২৫ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরো ৪৯২ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার রাতের দিকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায়। বাকি ২৮ জন নিহত হয়েছেন খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সেনাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ২৫ আগস্ট সোমবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ৮৬ জনের মরদেহ ও ৪৯২ জন আহতকে আনা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন, কিন্তু পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও চারজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সোমবারের পর পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৭৪৪ জনে। আহত হয়েছেন আরো এক লাখ ৫৮ হাজার ২৫৯ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে, গত ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও ১৮ মার্চ সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ২১৮ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত মে মাসের শেষ দিক থেকে ত্রাণ ও খাদ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সাধারণ মানুষদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ২৭ মে প্রথমবারের মতো গাজায় ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়, এরপর থেকে নিয়মিতই এমন ঘটনা ঘটছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১২৩ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরো ১৫ হাজার ৬১৫ জনের বেশি।