অনলাইন ডেস্ক :
এক দশক আগে শিলাদিত্য সান্যালের সাথে বিয়ে ভেঙে গেলেও শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোর সাথে সম্পর্ক অটুট আছে টালিউডের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের।
বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তার স্বামীর সাথে শ্রীলেখার বন্ধুত্ব আগের মতোই রয়ে গিয়েছে, সে কথা তিনি বারবার উল্লেখ করেন। প্রাক্তন স্বামীর সাথে জুড়ে থাকা পুরোনো সম্পর্কগুলোও আগের মতোই অটুট।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাক্তন স্বামীর পিসির সাথে ছবি পোস্ট করলেন শ্রীলেখা। সাথে মন ছোঁয়া ক্যাপশন। লিখলেন, ‘আমার পিসি শাশুড়ি। না উনি আমার এক্স নন, ওনার সাথে ডিভোর্স হয়নি।’
শ্রীলেখার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, তার ও শিলাদিত্যর একমাত্র মেয়ে মাইয়্যা (ঐশী) সান্যালেরও। এই মাসেই ১৯-এ পা দিয়েছে শ্রীলেখা-কন্যা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সিনেমাটোগ্রাফার শিলাদিত্য সান্যালের সাথে বিয়ে হয় শ্রীলেখার। ভালোবেসেই পরস্পরের হাত ধরেছিলেন দু’জনে। তবে এ সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ে ভাঙার কারণ কোনও তৃতীয় ব্যক্তি বা পরকীয়া নয় বরং ছিল পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, আমারই ফল্ট (ভুল) ছিল। কারো ষড়যন্ত্রের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দেন।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বাচ্চা বাইরে পড়াশুনা করে সেই জন্য দেশের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করে ইসিতে এসেছি।
কতো টাকা বকেয়া ছিল-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব কম টাকা, বলার মতো না। যে অভিযোগটা এসেছে এটা আসলেই আমার ফল্ট ছিল। কারোর ষড়যন্ত্র দেখছি না। এটি আমি খেয়াল করি নাই। তবে আশা করছি আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাবো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
বিনোদন ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গান শ্রোতারা বরাবরই পছন্দ করে। তাঁর ‘নিশিথে আইসো ফুলবনে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’ গানগুলো শ্রোতারা এখনো শোনে। একসময় নিয়মিত গান প্রকাশ করলেও গত কয়েক বছর ধরে কম গান করছেন আঁখি আলমগীর।
সর্বশেষ এ বছর ৩১ মার্চ শওকত আলী ইমনের সঙ্গে ‘কফির পেয়ালা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছিলেন আঁখি।
দুই জনই ভিডিও চিত্রে হাজির হয়েছিলেন। সমালোচকরা গানটির প্রশংসা করেছিলেন। অথচ এরপর আর কোনো গান প্রকাশ করেননি এই গায়িকা। অনেক অডিও প্রতিষ্ঠান নতুন গানের প্রস্তাব দিলেও সময় নিচ্ছেন তিনি।
কারণ হিসেবে বললেন, ‘গান তো প্রকাশ করলে যখন-তখন করা যায়। কয়েকটি গান তৈরিই আছে। প্রকাশ করছি না অনেক কারণে। একে তো এখন অস্থির সময় চলছে, শ্রোতারা ট্রেন্ডি গানে মজে আছে।
তারা আগে শান্ত হোক, তারপর নতুন গান।’
আঁখি আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা চাইলেও তো সস্তা কথার গান করতে পারব না। চলতি কথার গান এক ধরনের আর সস্তা কথার গান আরেক ধরনের। এমনিতে বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। একটা শ্রোতামহলও আছে আমার।
তাদের নিরাশ করতে চাই না।’
আঁখি আলমগীর এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কয়েকটি স্টেজ শোতে তিনি অংশ নেবেন।
বিনোদন ডেস্ক :
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এমন গুঞ্জন গত মধ্যরাত থেকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাজারবাগের বাসায় এ অভিনেত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো জানা যায়, ছোট পর্দার আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তিশার। মান-অভিমানের এক পর্যায়ে নিজের বাসাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিশা।
বর্তমানে এই অভিনেত্রী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে জানতে সকাল থেকে মুশফিক আর ফারহান ও তিশার নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
স্পোটর্স ডেস্ক :
দলকে শুরুতেই এগিয়ে নিয়েছেন রাকিব হোসেন। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে দারুণ জয় নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে কোয়ালিফাই করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ ২০২৬ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগের লেগে মালদ্বীপের মাঠে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে তারা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধান নিয়ে প্রিলিমিনারি পর্ব পার করতে পেরেছে রাকিব-ফাহিমরা। দ্বিতীয় পর্বে তারা খেলবে ‘আই’ গ্রুপে থাকা বাকি দল অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আক্রমণ-রক্ষণ দুই দিকেই সমানভাবে মালদ্বীপকে চাপে রাখছিল কাবরেরার শিষ্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। দশম মিনিটে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বলে ফাহিম দৌড়ে গিয়ে বক্সের শেষ প্রান্তে বল রিসিভ করেন। বল রিসিভ করেই রাকিবের উদ্দেশ্যে দ্রুতগতির কাটব্যাক করেন। ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে গোল করলে কিংস অ্যারেনা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
প্রথম গোলের মিনিট তিনেক পরেই বাংলাদেশ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বক্সের সামনে বল ফেলেন। সতীর্থ ফরোয়ার্ড বলটি রিসিভ করলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া আজকের ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছেন। বিশেষ করে তার বাড়ানো দুই বলে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
গোলদাতা রাকিব হোসেন গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল পোস্টে ভেড়াতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হলেও মালদ্বীপ সমতা আনতে ভুল করেনি। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হাজমার কর্ণার ফাহিম হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি। আইসাম ইব্রাহিম উড়ে আসা বল ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান। কিংস অ্যারেনার গ্যালারী নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম লেগে কয়েকটি সুযোগ মিস করা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম এবার দ্বিতীয় লেগে গোলের দেখা পেয়েছেন। ৪৬ মিনিটে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে থেকে সাদ উদ্দিনের কোনাকুনি শট মালদ্বীপের গোলরক্ষক আংশিক সেভ করেন। ফিরে আসা বল ফাহিমকে লক্ষ্য করে বাড়ান সোহেল রানা। দারুণ শটে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে সোহেল রানা লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তবে অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।