চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে আদায় কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কসবা পৌরসভার হিসাব রক্ষক মোঃ বশির আহমেদের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স ইন্সপেক্টর মোঃ মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার মোঃ আবু ছালেহ ভূঁইয়া সহ সাংবাদিকগণ বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, কসবা পৌর এলাকার ১০ হাজার ২১৭ জন হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের আওতায় রয়েছেন। অবশিষ্ট থাকলে তাদেরকেও হোল্ডিং ট্যাক্স এর আওতায় আনা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার কসবা পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে পৌরবাসী সহ সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পৌর প্রশাসকের কর্মসম্পাদন সহায়তা কমিটির সদস্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি এস আই মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল্লাহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি তুহিন কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফের) বাঁধায় দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কসবায় প্রকল্প কাজ পরিদর্শনের পর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফ নির্মান কাজে আপত্তি তুলে। এক পর্যায়ে বিএসএফ’র বাঁধায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ের কুটনৈতিক তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র সাথে কার্যকর যোগাযোগ শুরু করে।
অবশেষে আড়াই বছর পর বিএসএফের বাঁধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী অংশের নির্মান কাজ পুনরায় হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির অসম্পন্ন হওয়া কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। বিশেষ করে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হয়।
একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসু আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি স¤প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি জানান, গত ১ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম নাজমুল হাসান আখাউড়া আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে পকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক সুুবক্ত গীন জানান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্পের সব ধরনের বাঁধা দূর হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি শেষ হবে। এতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সময়ও কমে আসবে।
এ সময় বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আশিক হাসান উল্লাহ, তমা গ্রুপের ট্রেগ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিনসহ বিজিবি ও রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই ধানের চারা বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ৬০ ব্যাটালিয়নের (সুলতানপুর ব্যাটালিয়ান) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি এই ধানের চারা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে ১৭ বিঘা (৫৬১ শতক) জমি চাষাবাদের জন্য আমন ধানের চারা বিতরণ করা হয়।
ধানের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক খ. ম. হারুনুর রশীদ ঢালী, বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের সুবেদার সেলিম সরকার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও কর্ণফুলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেন দুটি এক থেকে দুই ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করেছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা স্টেশনে ও চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের “গ”-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া “গ”-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘন্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে কসবা স্টেশন ত্যাগ করে। অপর দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। পরে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘন্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ঘন্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দ্বীপা রানী কর (২২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দ্বীপা রানী করের স্বামী টুটন কুমার সাহা (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ। নিহত দীপা রানী কর কুমিল্লা জেলার বাঙরা থানার খোশঘর গ্রামের কালিপদ চন্দ্র করের মেয়ে।
সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কসবা থানায় তিন জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আগামী শুক্রবারে বাবার বাড়ী যাওয়ার কথা ছিলো দ্বীপার। তাদের একটি এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত দ্বীপা রানী করের মা সুমা রানী কর জানান, তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা সমীর সাহার ছেলে টুটন কুমার সাহার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে মানসিক ও শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। মেয়েকে নিতে আসলে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বাবার বাড়িতে যেতে দিতোনা শশুরবাড়ী লোকজন। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছর আগে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে যায়। এনিয়ে সালিশ বৈঠক করলে তাদের মেয়েকে নিয়ে সংসার করবেনা বলে হুমকি দেয় তারা। হিন্দু হওয়ায় মেয়েকে স্বামী সংসার করানোর চেষ্টায় তাদের হুমকির ভয়ে কোনো সালিশ ছাড়াই আবারো স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। তাদের ভয়ে এক বছর ধরে মেয়েকে দেখতে আসিনা আমরা। এই সপ্তাহে দীপার বড় চাচা প্রবাস থেকে আসার কথা। মেয়ে বলেছিলো জেঠা আসলে আগামী শুক্রবার আমাদের বাড়িতে জেঠাকে দেখতে যাবে। তা আর হলোনা। পাষন্ড শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েটাকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অঝোঁরে কাঁদতে থাকে মা সুমা রানী কর। অদুরে দাড়িয়ে নীরবে চোখ মুছছিলেন বাবা কালিপদ চন্দ্র কর। তাদের মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।
কসবা থানা ওসি (তদন্ত) রিপন দাস জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুর থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে এই বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালিয়ে ৭টি বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিদেশী বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে ৬জন আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ সবুজ মিয়া (২৬), মোঃ রাকিব (২৬), কামাল মিয়া (৪০), রিপন (২৬). বাহারম (২৭) ও ফারুক (৩২) নামে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুইয়াপানিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পানির নিচে থাকা সাতটি বস্তায় ভর্তি ১২০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলগত কারণে এসব মদ পানির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলো।