হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক, স্বদেশে এবং বহির্বিশ্বে মানবকলাণ ও সেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও কর্ণধার, অতুলনীয় মানবসেবী, অর্গানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এ্যাজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস্-এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সম্মানে বৈশ্বিক এ সংগঠনের সিলেট ডিভিশনাল চ্যাপ্টারের উদ্যোগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় নগরী সিলেটের উত্তর জেলরোডস্থ হোটেল ডালাস-এর কনফারেন্স হলে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টারের সভাপতি সাংবাদিক-ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ।
সংগঠনের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাবলীল উপস্থাপনায় প্রানবন্ত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট নগরীর বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কবি ও সংগঠক শাহেদা রশীদ পপী, কবি-শিক্ষাবিদ সেনুয়ারা আক্তার চিনু, লেখক-প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, কবি ও কথা সাহিত্যিক রাজিয়া নিলুফার আজাদ, এডভোকেট শিরিন আক্তার, দেশ টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি খালেদ মেহেদী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার আনাস হাবিব কলিন্স, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবি-সাহিত্য সমালোচক ও প্রভাষক মামুন সুলতান, কবি ও সংগঠক শায়খ তাজুল ইসলাম, ওসমানী জাদুঘর,সিলেট-এর কীপারআমিনুল ইসলাম, আরপিটিআই সিলেট-এর কর্মকর্তা জহিরুল হক, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরাম-এর সভাপতি ও অর্গ্যানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যানশনস্ সিলেট মহানগর চ্যাপ্টারের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার ও আ.ফ.ম.সাঈদ এবং আয়োজক সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টার ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা যুক্তরাজ্যে এবং স্বদেশে সংকটাপন্ন,বিপদগ্রস্ত এবং অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে মৌলভীবাজারের ইটা সিংকাপনের ঐতিহ্যবাহী ‘সিংকাপনী পরিবার’-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কে এম আবু তাহের চৌধুরীর বহুমুখী মানবিক সহায়তা এবং অতুলনীয় অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেইসাথে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এ ‘বেসরকারি দূত’-কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সুবিস্তৃত প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পরম করুণাময় মহান স্রষ্টা ও মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার দরবারে তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করে মতবিনিময় সভা শেষে বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী মোহাম্মদ ইসহাক।
এদিকে “গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টিকালচারেল, মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে গত ১৬ ই ডিসেম্বর শহীদ বেদিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনে একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার পর অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে কার্ডিফের সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড. বাবলিন মল্লিক, ওয়েলসের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মাসুদ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, আসরাফ হোসেন, মুজিবুর রহমান, ইউসুফ খান জিমি, সেলিম আহমদ, আবুল কালাম মুমিন, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সিতাব আলী, মাহমুদ আলী ফয়ছল রহমান, নুরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, নুরুল আলম, তমসির আলী, আফরাজ আহমেদ, শেখ রায়হান, বদরুল হক মনসুর, ইমরান মিয়া,বেলাল আহমেদ, হারুন মিয়া বেলাল খান, ইমরান হোসেন, ফয়ছল মনসুর,
ও যুবেদুর রহমান, সহ কমিউনিটি ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মকিস মনসুর সহ বক্তারা এ দিনটি বাঙালি জাতির বিশাল অর্জন ও গৌরবের উল্লেখ করে বলেন যাদের কারণে আমরা লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা পেয়েছি, প্রবাসের মাটিতে একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমরা বাংলাদেশের পতাকা বহন করে চলছি,সেই সব বীরদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করা সহ সকল শহীদানদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার এক নারী বিয়ের দেড় বছরের মাথায় শ্বশুরবাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরায় মুক্তা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে মুক্তার লাশ শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থেকে বাবার বাড়িতে এনে দেওয়া হয়।
সকালে আশুগঞ্জ থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেছে। এর আগে ভোর চারটার দিকে নিহতের লাশ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিহতের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ওই আত্মীয়কে লাশের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত মুক্তা বেগম আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর (কুড়ের পাড়) গ্রামের গোলাম মিয়ার মেয়ে। তার ৭ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের শ্বশুর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ও শাশুড়ি খোশনাহার বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী খোশনাহার বেগম মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত মুক্তা ও তার স্বামী আব্দুল্লাহর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। রাত ২টার দিকে স্বামী আব্দুল্লাহ মুক্তাকে মুখে হাত চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনা আড়াল করতে মুক্তার লাশ তার পরিবারের কাছে অসুস্থতার খবর দিয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করলে খায়েশ মিয়া নামে আত্মীয়কে দিয়ে সিএনজিতে লাশটি মুক্তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মুক্তার বুকের ব্যথার কথা বলে তারা ওই আত্মীয়কে সহযোগিতা করতে সঙ্গে নিয়েছিল।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহর সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। আব্দুল্লাহ মিষ্টির দোকানের কারিগর। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন মিষ্টির দোকান দেয়ার জন্য মুক্তার বাবার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ অন্যান্যরা প্রতিনিয়ত মুক্তাকে মানসিক নির্যাতনসহ মারধর করত। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিগত এক বছরে বেশ কয়েকটি সালিশ হয়েছে। মুক্তার বাবা গোলাপ মিয়া মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে যৌতুকের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও অক্ষমতার জন্য ব্যবস্থা করতে না পারায় দিতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে মুক্তার একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়। যার বয়স বর্তমানে ৭ মাস। গোলাপ মিয়া মেয়ের জামাইকে মিষ্টির দোকান দিতে টাকা দিতে না পারলেও তার মেয়ের ও নাতির চিকিৎসা, সিজারিয়ান অপারেশনের খরচ প্রদানসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মুক্তার শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে তারা বাবা গোলাপ মিয়াকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে গোলাপ মিয়া জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছার আগেই তার লাশ নিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে তিনি বাড়িতে এসে তার মেয়ের লাশ দেখতে পান। এদিকে সকালে নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ি মুক্তার লাশ দেখতে এলে পুলিশ তাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাস বলেন, নিহতের লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যেহেতু ঘটনাস্থল নরসিংদী উপজেলার রায়পুরায় তাই নিহতের স্বজনদের রায়পুরা থানায় এজাহার দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির চকিয়াপাড়া গ্রামের আইন উদ্দিন এর ছেলে মোস্তাকিম (৪২)। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার মৃত আজিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে নুর আমিন (২০) তাদেরকে ১৫০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর মালিপাড়া গ্রমের আলাচান মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), একই ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মৃত কুমির উদ্দিন সর্দার এর ছেলে আমিনুল হক সর্দার(৫৯)। পৌর এলাকার পশ্চিম গৌড়ীপাড়া গোমের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৯), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৭), মোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩০), মৃত সোলেমান মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪১), হাছান আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৫৫), মৃত কামাল উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম লাল বাবু(৫০)। কাজিহাল ইউনিয়নের বাজনাপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৭)। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর অপারেশন ডেভিল হান্টে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে ১৪টি চুরি-ডাকাতি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বুধবার দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাগুরার সেই শিশুসহ সম্প্রতি সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় ছাত্র-জনতার ব্যানারে ফেস্টুন নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় সেই শিশুর ন্যায় বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধন কর্মসূচির আগে নাসিরনগর কলেজ মোড় শহীদ হাফেজ ইমরান চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় তাদের কন্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া। আমার বোনের কান্না,আর না আর না। দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়সহ বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। এসময় ছাত্র-জনতার সাথে একাত্মতা পোষণ করেন উপজেলার ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন শহীদ নুরুল ইসলাম ফারুকী স্মৃতি সংসদ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রনেতা ফুয়াদ পাঠান রাব্বির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা সাইফুজ্জামান জনি, মুমিনুল হক,সরকারি কলেজ প্রতিনিধি শ্রাবন চকদার,ওবায়দুল হক ফসরু,মুস্তাকিম ভূইয়া দিদার,শেফালি আক্তার প্রমুখ। এসময় বক্তারা মাগুরার শিশু আছিয়াসহ ধর্ষণ,নারীদের নিপীড়ন এই সব ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে রফিকুল ইসলাম, ইসতেহাক আহমেদ তপু, আকরাম হোসেন, দিলরুবা মিম, ইমন মুস্তফাভী, আশরাফুল ইসলাম রাকিব ও নাঈম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বাসচাপায় এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর লিচুবাগান গ্রামের মো. আবদুল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নামাতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক মারা যান। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
খুশির বন্যা বইছে এক প্রবাসীর ঘরে। পর পর চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী সুমী আক্তার। এদের মধ্যে দুইটি ছেলে আর দুটি কন্যাশিশু। একসাথে নতুন চার অতিথি পেয়ে খুশিতে যেমন আত্মহারা গোটা পরিবার, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও শেষ নেই ভাবনার। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে সরেজমিনে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পর পর চারটি সন্তানের জন্ম দেন টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের সুমী আক্তার। বর্তমানে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই রয়েছে চার নবজাতক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. রীনা নাসরিনের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই চার নবজাতকের জন্ম হয়। চারটি নবজাতকই সুস্থ আছে। তবে তাদের মধ্যে দুজনের ওজন অপেক্ষাকৃত কম। প্রত্যেকেই রাখা হয়েছে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘চার নবজাতকের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা চলছে।
৩১ সপ্তাহে ভূমিষ্ঠ হওয়ায় শিশুদের ওজন থাকে ১১০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রামের মধ্যে। এদের মধ্যে দুজনের বেশি অক্সিজেন লাগছে। এখানকার সবাই বেশ যত্নবান।’
নবজাতকদের মা সুমী আক্তার সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, ‘হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রের খরচ বহনের মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। ওষুধ আর বিল পরিশোধের দুশ্চিন্তা সব আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। ওদের বাবা সাত মাস দেশ থেকে কিছুদিন আগেই রুমানিয়া গেছেন।’
রুমানিয়া থেকে নবজাতকদের বাবা আব্বাস খান বলেন, ‘একসঙ্গে চার নবজাতকের জন্ম নেওয়ার খবরে আমি এত খুশি হয়েছি যে মনে হচ্ছে এক্ষুনি বাংলাদেশে ছুটে যাই। কিন্তু ইচ্ছে হলেও আমার সেই উপায় নেই। সংসারের অভাব ঘোচাতে আমি রুমানিয়া এসেছি। অভিবাসন ব্যয় উঠাতে এখানে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তার ওপর আইসিইউতে চারটি নবজাতকের চিকিৎসা বিল কোথা থেকে পরিশোধ করব সেই টেনশনে আছি।’
নবজাতকদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে থাকা এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইসমাঈল হোসেন বলেন, অপরিপক্বতাজনিত বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো অতিক্রম করতে পারলে সুস্থ অবস্থায় আমরা তাদের মায়ের কাছে স্থানান্তর করব। একটি সুস্থ-সবল নবজাতকের বয়স হতে হবে ৩৭ সপ্তাহ। আর ওজন হতে হবে ২৫০০ গ্রাম। ওরা হয়েছে ৩১ সপ্তাহে। তাই নতুন করে ওজন কম ও অপরিপক্বজনিত কোনো সমস্যা না হলেও আমরা আশা করছি ওদের দ্রুত ছাড়পত্র দিতে পারব।