অনলাইন ডেস্ক :
স্বামী জহির ইকবালকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তার এই অভিযোগের কথা শুনে শুরুতে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। তাহলে কী অভিযোগ দ্বারা এই ছয় মাসের দম্পতি বিচ্ছেদের খবর শোনাবেন? এই প্রশ্নও উঠে এসেছিল অনেকের মনে। তবে সেটা অভিযোগ নয় বরং সেটা আসলে স্বামীর প্রতি এক ধরনের অনুযোগ।
অভিনেত্রীর কথায়, জহির সবসময় এর সাথে দুষ্টুমি আর খুনসুটিতে মেতে থাকেন। সেজন্যই একটুও শন্তিতে নেই সোনাক্ষী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সোনাক্ষী। আর বেড়াতে গিয়েই দু’জনে মেতে উঠেছেন ছেলেমানুষিতে। কীভাবে সারাক্ষণ জ্বালাতন করেন জহির, তার নমুনা হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এই বলিউড তারকা।
ভিডিওতে দেখা গিছে, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ দম্পতি। সেখানে পানিতে পা ভেজাচ্ছেন অভিনেত্রী। এমন সময় জহির পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে জলে ফেলে দিলেন। ঢেউয়ের তোড়ে সোনাক্ষী এ দিকে পড়ছেন একবার, কখনও আছাড় খাচ্ছেন সমুদ্র পাড়ে। দূরে দাঁড়িয়ে হেসে কুটিকুটি জহির। ক্যামরাবন্দির সেই মুহূর্তটা শেয়ার করে অভিনেত্রী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাকে এক ফোঁটা শান্তি দেবে না। একটু ভিডিও করতে দেবে না।’
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, সোনাক্ষী বিমানে ঘুমাচ্ছেন তখনও স্ত্রীকে বিব্রত করছেন, কখনও আবারও ভয় দেখাচ্ছেন জহির। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলায় ছিল ক্রীড়ামোদী উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। গতকাল ১ মে শনিবার বিকালে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উক্ত লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাদা ধুতি কাপড় পড়ে ভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত হয়ে ঢোলের তালে তালে হেলে দোলে ও নেচে গেয়ে লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর নানা কসরত প্রদর্শন করেন লাঠি খেলোয়ারগণ। বিভিন্ন এলাকার ৭ টি টিম উক্ত লাঠি খেলায় অংশগ্রহন করেন। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে খেলা উপভোগ করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার উৎসুক লোকজন।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজের সভাপতিত্বে লাঠি খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু।
খেলার বাড়তি আকর্ষণ ছিল সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজ এর মধ্যকার লাঠি খেলা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠি খেলা এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে হলেও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঢোলের শব্দের তালে তালে এই খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় যা ক্রীড়ামোদী মানুষকে বিশেষ আনন্দ প্রদান করে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারনা।
অনলাইন ডেস্ক :
দেখতে দেখতে এসেই গেল মহেন্দ্রক্ষণ। অপেক্ষার পালা শেষে। এবার মাঠের খেলা শুরু। আজ থেকে ভারতের মাটিতে ১০ দেশের জাতীয় দলকে নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানাডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেওয়া দলগুলো হচ্ছে স্বাগতিক ভারতসহ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস। ভারতের ১০টি ভেন্যুতে ৪৬ দিনে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। লিগপর্বে প্রতিটি দলই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। লিগপর্ব শেষে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। দুই সেমিফাইনালের দুই জয়ী দল ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
আহমেদাবাদে আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এবারের আসরের। লর্ডসে ২০১৯ সালের স্মরণীয় ফাইনালের সুখস্মৃতি যেন ফিরে আসবে এই ম্যাচের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে উদ্বোধনী ম্যাচটি। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি দেখা যাবে গাজী টিভি ও টি স্পোর্টসে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ অক্টোবর, ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে। ১০ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটিও বাংলাদেশ খেলবে এই ধর্মশালাতেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচ দুটি সামনে রেখে বাংলাদেশ দল আসামের গোহাটি থেকে এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় পৌঁছে গেছে।
এদিকে, গুঞ্জন ছিল ভারতে অনুষ্ঠেয় ক্রিকেট বিশ্বকাপে হতে যাচ্ছে জমকালো উদ্বোধন। সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে সেই খবরও বাতাসে মিলিয়ে গেল! দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এবারের আসরে থাকছে না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যদিও সর্বশেষ ২০১১ সালে এই উপমহাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। যার জমকালো উদ্বোধন হয়েছিল ঢাকায়। এবার অবশ্য তেমন কিছু হচ্ছে না। তবে বুধবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হয়েছে ‘ক্যাপ্টেন্স ডে’ নামের পোশাকি ইভেন্ট। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের অধিনায়ক প্রেস কনফারেন্স ও ছবি তোলার আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। এদিকে, জশ বাটলারের ইংল্যান্ড ১০ দলের এই টুর্নামেন্টে শিরোপা ধরে রাখার অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারকা অল-রাউন্ডার বেন স্টোকসের ফেরা ইংলিশদের বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। এ কারণেই এক লাখ ৩০ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশে^র সবচেয়ে বড় নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের প্রমাণে মুখিয়ে থাকবে।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারের বিশ্বাস, ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া টানা তিনবার বিশ^কাপ শিরোপা জয়ের যে রেকর্ড গড়েছিল, এরপর একমাত্র ইংল্যান্ডই পরপর দুই আসরে শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার। সহজেই তারা এবারও ফাইনালে পৌঁছতে সক্ষম হবে। এ সম্পর্কে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টসে গাভাস্কার বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে যে পরিমাণ প্রতিভা আছে, তা অনেক দলেরই নেই। তাদের দলে দুই থেকে তিনজন বিশ্বমানের অল রাউন্ডার আছে, যারা ব্যাট ও বলহাতে যে কোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং লাইন আপে রয়েছে- রেসি টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড ও ক্রিস ওকস। তাদের সঙ্গে আরও রয়েছেন স্টোকস, যিনি সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণার পর আবারও ফিরে এসেছেন। তবে এবারের বিশ্বকাপে তিনি দলে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ২০১৯ সালে ইয়ন মরগানের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের আটজন এবারের দলে আছেন। মরগানের অবসরের পর বাটলারের জন্য অধিনায়কের আসনে আসীন হওয়াটা সহজ ছিল। গত বছর তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।
জশ বাটলার বলেন, বিশ্বকাপ শিরোপা অবশ্যই ধরে রাখতে চাই। যদিও আমরা নিজেদের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছি না। এটা একটি নতুন টুর্নামেন্ট এবং আমরা সবাই জানি, এই আসরটা অত্যন্ত কঠিন হতে যাচ্ছে। কারণ এখানে বেশ কিছু শীর্ষ দল আছে। কিন্তু আমাদের দলও ভালো, ইংল্যান্ড একটি বিপজ্জনক দল। এই দলে বেশ কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে, যাদের ওপর অনায়াসেই নির্ভর করা যায়।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ সালে লর্ডসের ফাইনাল ম্যাচটি টাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে ম্যাচের ফলাফল নিষ্পত্তি না হওয়ায় বাউন্ডারি-কাউন্ট আইনে সেরা দল হিসেবে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। চার বছর আগে বিশ^চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে দারুণ এক বেঞ্চমার্ক সেট করে চলেছে ইংল্যান্ড। গত বছর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তারা ৪৯৮ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল।
সব সময়ের মতই এবারও আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। হাঁটুর ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে দলে থাকছেন না অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়া সত্ত্বেও উইলিয়ামসন বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। কঠোর পরিশ্রম করে ফিট হয়ে দলে ফিরে আসার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ম্যাচজয়ী ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কিউই অধিনায়ক। ২০১৯ বিশ^কাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন উইলিয়ামসন। প্রস্তুতি ম্যাচের পর উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘পাকিস্তান অত্যন্ত ভালো একটি দল। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সবসময়ই আনন্দের। আমিও নিজেকে পরখ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সবকিছুই ভালোভাবে এগুচ্ছে। এখন মূল আসরে নিজেদের প্রমাণের অপেক্ষায় আছি।’
উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে আজ নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিবেন টম লাথাম। এদিকে বুড়ো আঙুলের ইনজুরির কারণে বিশ^কাপের কয়েকটি ম্যাচ মিস করতে যাচ্ছেন ফাস্ট বোলার টিম সাউদি। দুই সপ্তাহ আগে তার আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। দ্রুতই সে সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন লাথাম।
এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১২টি বিশ্বকাপের আটটিতেই সেমিফাইনালে খেলা নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে। ট্রেন্ট বোল্ট-সাউদির নেতৃত্বে বিশ্বমানের পেস আক্রমণের পাশাপাশি ভারতীয় টার্নিং পিচে মিচেল সান্টনার ও ইশ সোধির স্পিন ভালো সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। লাথামের নেতৃত্বে শেষ প্রস্তুত ম্যাচে নিউজিল্যান্ড সাত রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সেরে নিয়েছে। লাথাম বলেন, ‘বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে এখানে খেলতে হবে। প্রতি ম্যাচেই লক্ষ্য থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার। তবে আমরা ভারতে আগামী কয়েকটি দিন দারুণভাবে উপভোগ করতে চাই। আর ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’ সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৪৮ রান। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আকস্মিক ধস না নামলে সেটা হতে পারত আরও বড়। কিন্তু যা হয়েছে বোলিং সহায়ক উইকেটে সেটাই ছিল যথেষ্ট। বল হাতে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। মাঝে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হলেও, শেষদিকে আরেকবার নিজেদের বোলিং কারিশমা দেখান এশিয়ান দেশটির বোলাররা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট আবারও চোখ রাঙাচ্ছিল। আফগান সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাক্সওয়েলের অমন ইনিংসের কথাই ভাবছিলেন। সেই ম্যাচে ৯১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েও ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরিতে হারতে হয় আফগানিস্তানকে। তবে আজ আর তেমনটা হয়নি। ম্যাক্সওয়েলকে ৫৯ রানে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একা হাতে লড়াই করে আফগানদের জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টিতেও সেই শঙ্কা জাগিয়ে তুলছিলেন ম্যাক্সি। আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা যেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন; সেখানে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে এদিন গল্পের শেষটা দেখে আসতে পারেননি ম্যাক্সি। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের শেষ হয় ম্যাক্সির। সেই সঙ্গে শেষ হয় অজিদের জয়ের স্বপ্ন। ম্যাক্সিকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরা আফগানরা শেষমেশ বিশ্বমঞ্চে অজিদের বিপক্ষে পেয়ে যায় প্রথম জয়টা। তাও ২১ রানের ব্যবধানে। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। ঝুঁকিতে পড়ে গেছে অজিদের সেমিতে খেলা।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন মূলত গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। তিনি আউট করেছেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড ও প্যাট কামিন্সকে। বোলিংয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অন্য বোলাররা। ট্রাভিস হেডকে শূন্য রানে ফেরানো নাভিন উল হকও ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম ওভারে হেডকে ফেরানো নাভিন তৃতীয় ওভারে ফেরান অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবী। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস। এরপরই মুলত গুলবদিন ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। তাঁর বাউন্সারে ইনিংসের ১১তম ওভারে আউট হন স্টয়নিস। টিম ডেভিডও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁকেও আউট করেছেন গুলবদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর হার দেখল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে শুরুটা দারুণ করে আফগানিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিংয়ে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। যদিও তুলনামূলক কঠিন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সামনে খুব একটা দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি তাঁরা। দুজনে ১১৮ রানের জুটি গড়েছেন ৯৫ বলে। ৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন ইব্রাহিম। গুরবাজ করেছেন ৪৯ বলে ৬০।
এমন জুটির পর বড় একটা সংগ্রহই হওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। তবে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২৯ রান করতে পারে তারা। এর কারণ প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক করেছেন এই পেসার। এবারও দুই ওভার মিলিয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। উইকেট নিয়েছেন ১৮তম ওভারের শেষ বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে।
আজ কামিন্সের হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় ১৮ ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করে। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে আউট করেন করিম জানাত ও গুলবদিন নাইবকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে কোনো বোলারের হ্যাটট্রিকের ঘটনা এই প্রথম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২০ ওভার ১৪৮/৬
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.২ ওভার ১২৭/১০
ফল : আফগানিস্তান ২১ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
এবিজি বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। জোড়া গোল করে আলো ছড়িয়েছেন দরিয়েলতন গোমেজ। কিংসের অন্য দুটি গোল রাকিব হোসেন ও রবসন রোবিনহোর।
ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-২ গোলে হারিয়ে লিগ শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কিংস। পুলিশের কাছে ২-০ গোলে হারের পর আজ কিংসের কাছেও বড় ব্যবধানে হারল চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের গতিপথ বুঝে ওঠার আগেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে কিংস।
ঘড়ির কাটায় দুই মিনিট পেরোনোর আগেই দরিয়েলতন গোমেজের গোল। মধ্যমাঠের খানিকটা ওপর থেকে টুটুল হোসেন বাদশার ক্রস গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের মাথায়, দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। এবারের মৌসুমে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
দশম মিনিটেই পেয়ে যায় ম্যাচে ফেরার গোল। ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ছয় গজ বক্সে বাদশা ক্লিয়ার করতে না পারায় বল পান ডেভিড ওজুকু, তাঁর ছোট পাসেই জোরাল শটে বল জালে পাঠান আজিজ আবোলাজি।
সময় বাড়ার সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নেয় কিংস। কেন তারা সেরা, সেটির প্রমাণ রাখে দ্রুতই। ২৮ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মধ্যমাঠ থেকে রবসন রোবিনহোর বাড়ানো পাস ধরে বক্সে ঢুকে গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। প্রথমার্ধেই ব্যবধান ৩-০ করে কিংস। নিজের দ্বিতীয় এবং কিংসের তৃতীয় গোলটি করেন দরিয়েলতন। গোললাইনের ওপর থেকে রফিকুলের কাটব্যাক গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের পায়ে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি। আগের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন দরিয়েলতন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিংসের পায়েই বল ছিল বেশিক্ষণ। সুযোগও আসে একাধিক কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছিল না। হ্যাটট্রিকের সুযোগও নষ্ট করেন দরিয়েলতন। ৮৫ মিনিটে বক্সে মাসুক মিয়া জনিকে ফেলে দেন রায়হান হাসান। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি, সফল স্পট কিকে জয়ের ব্যবধান আরো বাড়ান রোবিনহো। এক বছরেরও বেশি সময় পর এ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন কিংসের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ। গত মৌসুমের শুরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। অস্ত্রোপচারের পর পুর্নাবসন প্রক্রিয়া শেষ করে আজ মাঠে ফিরলেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
অলিম্পিক ফুটবলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অনেক নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। শেষ পর্যন্ত মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরেই বসে তারা।
তবে সেই হারের ধাক্কা ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। ইরাককে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে হাভিয়ের মাচেরানোর দল।
গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৪ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেসের পাসে বক্সের মাঝখান থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান আলমাদা।
তবে, সেই গোল বিরতির আগেই শোধ করে ইরাক। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে আহমেদ মাকঞ্জির ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান আয়মেন হুসেইন।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কেবল আর্জেন্টিনারই দাপট। ৬২ মিনিটে কেভিন সেনোনের ক্রস থেকে হেডে দলকে এগিয়ে দেন লুসিয়ানো গোন্দু। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এসেকিয়েল ফার্নান্দেস। এবারও বলের জোগানদাতা সেনোন। তার পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নেন ফার্নান্দেস। বাঁ প্রান্তের উঁচু কোনা দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এরপর ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী ৩০ জুলাই ইউক্রেনের মুখোমুখি হবে তারা।
এদিকে আর্জেন্টিনার মতো ডমিনিকান রিপাবলিকের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে স্পেনও। টানা দুই ম্যাচে দুই জয় তুলে শেষ আটে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।