ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গ্রিনল্যান্ডে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে ডেনমার্ক

আন্তর্জাতিক, 25 December 2024, 467 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের গ্রিনল্যান্ডের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার।

banner

২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোলস লোন পওসেন বলেছেন, এই প্যাকেজ ক্রোনায় ‘হাজার কোটির উপরে’। যা অন্তত দেড় বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ।

প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণার এই সময়কে তিনি ‘আইরনি অব ফেইট’ বা দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে বর্ণনা করেন।

এর আগে ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে লেখেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ‘একটি আবশ্যকতা’।

ডেনমার্ক সরকার ঘোষিত প্যাকেজে নতুন দু’টি পরিদর্শন জাহাজ, দু’টি দীর্ঘপাল্লার ড্রোন এবং দুইটি কুকুর স্লেড দলের জন্য তহবিল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও গ্রিনল্যান্ডের নুক শহরে আর্কটিক কমান্ডের কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এবং গ্রিনল্যান্ডের তিনটি প্রধান বেসামরিক বিমানবন্দরের একটি আপগ্রেড করার জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হবে যাতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করা যায়।

পাওসেন বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা আর্কটিকে যথেষ্ট বিনিয়োগ করিনি, এখন আমরা সেখানে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করছি।

গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিলে ডেনিশ নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। সেই সাথে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন এই ধারণাটিকে ‘অবাস্তব’ বলে বর্ণনা করেন। এরপর ট্রাম্প ডেনমার্কে একটি রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করতে বাধ্য হন।

সে সময় ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে বলেন, ‘আমরা এটি বিক্রি করছি না’। তিনি প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা মূলক আচরণের আহ্বান জানান।

ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন যিনি গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন; এই ধারণাটি প্রথম উত্থাপিত হয় ১৮৬০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের সময়।

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রকল্পে বিশাল সব স্থাপনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপটির অবস্থান উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম জলপথে। এই দ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ খনির মজুদ আছে।
সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

বিপুল ভোটে জয়ী এরদোগান

আন্তর্জাতিক, 28 May 2023, 1408 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাব ফেলেছে পুরো বিশ্বে। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এই বিজয়ে ফলে তিনি টানা দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হলেন। ভোট গণনা শেষে তার সমর্থকরা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেছেন। প্রথম দফা ভোটেও তিনি এগিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন বিদেশি পরিসংখ্যান ও সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিনি আবারও তুরস্কের মসনদে আসীন হয়েছেন।

banner

দেশটির বিরোধী দল গুলোর গণমাধ্যম আনকা নিউজ এজন্সিও জানিয়েছে যে এরদোয়ান বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে এরদোয়ানের দল এক পার্টির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি জনগণের দৃঢ় সমর্থন আছে।’

বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, এখন পর্যন্ত গণনা হওয়া ৯৮.২ শতাংশ ব্যালট বাক্সের মধ্যে এরদোগান পেয়েছেন ৫২.১২ শতাংশ এবং বিরোধী নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৮ শতাংশ ভোট।

রোববার (২৮ মে) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়।

প্রথম দফায় কেউ নিয়ম অনুসারে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করতে হয়।

গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম দফার ভোটে এরদোগান পান ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগ্লু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট।

ওই ধাপে তৃতীয় হয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পান ৫.১৭ শতাংশ ভোট। এ ধাপে অবশ্য তিনি এরদোগানকে সমর্থন জানিয়েছে।

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির তথ্যমতে, দেশটির ৬ কোটি ৪০ লাখ বৈধ ভোটারের মধ্যে প্রথম ধাপে ৪৪.৮৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার তুরস্কে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দেশটির ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ। ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি। সূত্র : ডেইলি সাবাহ, আলজাজিরা

আবার চলতে শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, তদন্ত ধামাচাপার অভিযোগ মমতার

আন্তর্জাতিক, 7 June 2023, 1216 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর ফের ট্র্যাকে ফিরল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আজ ৭ জুন বুধবার কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ফের যাত্রা শুরু করল যাত্রীতে পরিপূর্ণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নির্দিষ্ট সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৬ মিনিট দেরিতে এদিন শালিমার স্টেশন থেকে রওনা দেয় চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে।

banner

ভারতের তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রথমবার ট্র্যাকে ফেরা করমণ্ডল সফরে আতঙ্কই যেন ছিল যাত্রীদের সঙ্গী। যাত্রীদের মধ্যেও চলে শুক্রবারের বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা। তা সত্ত্বেও যেতে হবেই, বলছেন যাত্রীদের অনেকে। তা প্রিয়জনকে বিদায় জানিয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন যাত্রীরা। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার পর প্রথম যাত্রায় ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

উদ্বেগের মধ্যেই ট্রেনটি ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাঁতরাগাছি পৌঁছনোর পর এসি বিকল হয়ে যায় ট্রেনের তাপানুকুল কামরার। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দমবন্ধ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর দ্রুতগতিতে মেরামত কাজ শুরু করে রেল। বি–১ এবং বি–২ কোচে এসি চালু হলেও বি–৩ কোচে ফের এসি বিভ্রাট দেখা দেয়। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায় সেটিও।

এদিকে বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে চেক বিতরণের পর নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ট্রেন দুর্ঘটনার সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁরা এঁদের কাছে কৈফিয়ত চান। সত্য সামনে আসুক। কেন দুর্ঘটনা হল? কেন এতজন মারা গেলেন? বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। সিবিআই কী করবে? ক্রিমিনাল কেস হলে সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেননি? তৎকালীন রাজ্যপাল তো বলেই দিয়েছেন।’ একইসঙ্গে করমণ্ডল-বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১০০ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন মমতা। পাশাপাশি যারা এ দুর্ঘটনায় দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিন মাসের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক, 10 April 2025, 245 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বেশিরভাগ দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সে সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তবে চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি।

banner

পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, আমি ৯০ দিনের জন্য একটি শুল্ক বিরতি অনুমোদন করেছি এবং এই সময়ে পারস্পরিক শুল্ক হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ১০% করেছি, যা এখনই কার্যকর হচ্ছে।

তবে চীনের জন্য এর ব্যতিক্রম ঘোষণা করে তিনি বলেন, চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫% করার ঘোষণা দেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। তিনি এ সিদ্ধান্তের পেছনে চীনের “বিশ্ববাজারের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ”-কে দায়ী করেন।

হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ১২৫% শুল্ক আরোপ এবং অন্যান্য দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য কমিয়ে আনা ১০% শুল্ক কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, “যখন কেউ যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জোরে জবাব দেন।” এজন্যই চীনের বিরুদ্ধে এই উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার মাধ্যমে এগোবে এবং আলোচনার সময় শুল্ক হার সর্বজনীনভাবে ১০% এ নামিয়ে আনা হবে।”

এই ঘোষণার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বাইসাইকেলে ভারতের ৮ নাগরিক বাংলাদেশে

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 17 February 2023, 2762 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য বাইসাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৮ জন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছেন তারা।

banner

চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী প্রদেশের চন্দননগর থেকে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট দর্শনা হয়ে আলমডাঙ্গা দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দর্শন করে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট হয়ে নদীপথে প্রবেশ করেন জেলা শহর পাবনাতে।

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে পাবনার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে কাজিরহাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরবেন নিজ দেশে। ইন্দবাংলা বাইসাইকেল র‌্যালি নামে এই সংগঠন বাংলাদেশে চতুর্থ বারের মতো ভ্রমণ করছে।

১০ দিনের এই বাইসাইকেল ভ্রমণকালে বিভিন্ন জেলা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনসহ সাধারণ মানুষের সাথে তারা সংযোগ স্থাপন করবেন। ভ্রমণের দল প্রধান হিসাবে রয়েছেন দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া ব্যানার্জি। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তার স্বামী শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি। এছাড়া যারা এসেছেন তাদের মধ্যে দুইজন ব্যবসায়ী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। যে সকল সদস্য এবারের এসছেন তারা হলেন, শিক্ষক শ্রীকান্ত মন্ডল, শিক্ষক প্রণব মাইতি, শিক্ষক প্রসনজিৎ সরকার, শিক্ষক রমজান আলী, ব্যবসায়ি অঞ্জন দাস ও সত্যব্রত ভান্ডারী।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুসরাত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফেডারেল মুসলিম নারী বিচারক

আন্তর্জাতিক, 17 June 2023, 1207 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফেডারেল মুসলিম নারী বিচারক হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটিতে পূর্ব নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হয়। সিনেটের উচ্চকক্ষে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হন নুসরাত।

banner

তিনি ৫০ জন সিনেটরের সমর্থন পেয়েছেন; বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৯ জন। খবর সিএনএন ও এনবিসি নিউজের।

নুসরাতের ডিস্ট্রিক্ট জজ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে টুইট করেন নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক সিনেটর চাক শুমার। তিনি বলেন, নুসরাতকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পেরে আমি গর্বিত। নুসরাত প্রথম বাংলাদেশি মার্কিন নাগরিক ও প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ফেডারেল বিচারক হয়ে ইতিহাস গড়েছেন।

গত বছরের জানুয়ারিতে জো বাইডেনের প্রশাসন আইনজীবী নুসরাতকে ফেডারেল বিচারকের পদে মনোনয়ন দেয়। নিউ জার্সিতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম ডিস্ট্রিক্ট জজ জাহিদ কুরাইশি জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অঙ্গীকার পূরণ করতে এবং মার্কিন বিচার বিভাগে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে নুসরাতসহ সাতজনকে ফেডারেল বিচারক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফেডারেল বিচারক জাহিদ কুরাইশির নিয়োগও বাইডেন প্রশাসন দিয়েছিল। ২০২১ সালে তিনি নিয়োগ পান।

নুসরাত নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ততম আদালতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ আদালতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, বেশ কিছু বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা জর্জ সেন্তোসের অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটিও এ আদালতে বিচারাধীন ছিল।

বর্তমানে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) ইলিনোয়েস চ্যাপ্টারের আইনি পরিচালকের দায়িত্বে আছেন নুসরাত। সেখানে তিনি বৈষম্যমূলক আচরণ ঠেকাতে পুলিশে সংস্কারের সুপারিশ করেন, যা কার্যকর হয়েছিল। এসিএলইউর নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি রোমিও বিবৃতিতে বলেন, নুসরাত একজন দারুণ বেসামরিক অধিকার আইনজীবী। আমাদের জাতির সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর উল্লেখযোগ্য রেকর্ড আছে।

৪৭ বছর বয়সী নুসরাতের নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ব্যবস্থায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারাহ সিনেটের ভোটে তাঁর নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভোটে নুসরাত চৌধুরী ফেডারেল বেঞ্চে নিয়োগ পেলেন, যা ‘নানা কারণে ঐতিহাসিক’।

৪০ বছর আগে আইনজীবী নুসরাতের বাবা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তাঁরা শিকাগোতে থাকতে শুরু করেন। বাবা পেশায় চিকিৎসক হলেও নুসরাত আইনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে মিশেল আর্লি নামের মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন নুসরাত।