চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মদ ও গাজাসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ি গ্রেফতার হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় আখাউড়া থানার এস আই মো: জয়নাল আবেদীনসহ পুলিশের একটি টিম আখাউড়া বাইপাস সড়কে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ২০ বোতল হুইস্কি ও একটি সিএনজিসহ মো: রুহুল আমিন (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিন কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ছোট কেজুরী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র।
এদিকে আজ দুপুর দেড়টায় পুলিশ আখাউড়া পৌরসভার মসজিদ পাড়ায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দুই কেজি গাজাসহ জারু মিয়া (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জারু মিয়া পৌরসভার মসজিদ পাড়া গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জিরাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের এটিই প্রথম চালান। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন জিরা আমদানি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। সোমবার মেসার্স পড়শী ইমপেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫ টন জিরা আমদানি করেছে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এম. টি. ই. এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি কেজি ৩ দশমিক ৪৯ ডলার মূল্যে এসব জিরা রফতানি করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনিয়মিত ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জিরা আমদানি হয়েছে। এর মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য আবারও সচল হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারির পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক প্রসূতি মা নব জাতকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে দুপুরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত প্রসূতি সাহিদা আক্তার খুকি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং কসবা উপজেলার ধ্বজনগর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী। স্বজনদের অভিযোগ, রক্তক্ষরণ বন্ধে এবং শিশুটির তাৎক্ষনিক সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে প্রসব ব্যথা উঠলে সাহিদাকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের মিড ওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনার তত্ত্বাবধানে বেলা সোয়া ১১টার দিকে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সাহিদা আক্তার। সন্তান প্রসবের পর সাহিদার প্রচুর রক্ষক্ষরণ শুরু হয় এবং নবজাতকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ গোলাম মোস্তাফা এবং মিড ওয়াইফ আমেনা আক্তার তখন প্রসূতি সাহিদা আক্তার এবং নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। বেলা ১২টার পরে নিহতের স্বজনরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন সাহিদা ও নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে তাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তাদেরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বেলা ৩টার দিকে স্বজনরা সাহিদার মরদেহ আখাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সাহিদার বড় বোন মাহমুদা বেগম অভিযোগ করেন, চিকিৎসার অভাবে সাহিদা ও তার শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান বলেন, হাসপাতালে স্বাভাবিক ডেলিভারির পর রক্তক্ষরণ শুরু হলে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছেন। শিশুটির শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। কোন চিকিৎসক এবং নার্সের কর্তব্যের অবহেলার জন্য যদি প্রসূতি ও তার সন্তানের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম ইসলাম বলেন এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিঃ থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রæটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে যাদের ভারতের বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১২টা) দেশড় থেকে ২’শ জন যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট করেন বেশি। এসময় তারা যাত্রী ছাউনী ও গাছ তলায় বসে সময় কাটান।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোন যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও শূণ্য রেখায় যাই।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা আমাদেরকে বলেন, যে সকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিন বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকেট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম আরও বলেন, বেলা সোয়া দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পাহারায় আখাউড়াতে আলাদা কমিটি করবে বিএনপি ও জামায়াত। দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় ওই দুই দলের নেতারা এ কথা জানান। এ বছর উপজেলায় মোট ২৪টি মন্দিরে পূজা উদযাপিত হবে।
সভায় জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত থেকে শুরু করে ছাত্ররা হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর রক্ষায় কাজ করে গেছে।
পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলে মিলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নির্বিঘ্নে পূজা করার আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার ল্যা. ইফতেখার মাহমুদ, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাসিম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতের আমির মো. ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি বোরহান উদ্দিন খান, জাসদ সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালু।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাফি উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন ঘোষ, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মুরাদ হোসেন নামে এক প্রার্থীকে দলীয়ভাবে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় বিধি লংঘন করে বানানো ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের ছবি ব্যবহার করা হয়।
নির্বাচনী বিধিতে উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতিক ব্যতীত অন্য কারো নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার ও লিফলেটে ছাপাইতে পারিবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় পরিচিতি সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফার সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক জয়নাল আবেদীনসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
সভার শুরুতেই তাকজিল খলিফা ঘোষণা দেন যে, মুরাদ হোসেনকে সমর্থন দেওয়ার জন্যই এ সভা। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে মুরাদ হোসেনকে আনারস প্রতিকে জয়যুক্ত করতে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।