চলারপথে রিপোর্ট :
মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। ধীরে ধীরে প্রেম। শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। নাম বদলে এখন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা মিলে বৃষ্টি ও প্রকিপের। কথা বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। জানালেন বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু। গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন প্রকিপ। সে দিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে।
কথা হলে বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত সে কথা রেখেছে তার। আমিও তার সাথে চলে যেতে প্রসেস করছি।
প্রকিপ জানায়, তার বিয়ে করা দরকার ও সে মুসলিম হবে- এ দুটি বিষয় আকৃষ্ট করেছে তাকে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে সে খুব খুশি। বাংলাদেশ তার ভালো লাগছে।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এ দম্পত্তিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর শাখার উদ্যোগে এক কর্মী সমাবেশ গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রায় মোহন চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য সঞ্জয় রায় পোদ্দার, মো. বিল্লাল মিয়া, দুলাল মিয়া, সন্তোষ মোহণ ঋষি, আব্দুল আজিজ, হামদু মিয়া, অপূর্ব দেব, জামির আলী, সুহেল মিয়া, মো. মামুন, জন্টু রাজ পাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একদিকে কর্ম সংস্থানের অভাব, প্রতিদিন কর্মহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ, অন্যদিকে হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যে র দাম। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ^াস উঠেছে। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব দেখার দায়িত্বে ভোক্তা অধিদপ্তর, বিভিন্ন সংস্থা ও সরকার নির্বিকার। এভাবে চলতে থাকলে মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়বে। তাই আমরা অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য পণ্যের দাম কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। দুর্নীতিবাজদের আইনের আওয়ায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রাম শহরে গরীব মানুষের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করো। সভায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা কমানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানান। সভায় আসন্ন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
খুলনার পাইকগাছার দীপ্তি সরকার নামে এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। গত ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে তালা উপজেলার গুনালী নলতা এলাকার বিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ওই কলেজ ছাত্রী। সে পাইকগাছার দেবদুয়ার মালো পাড়ার সুব্রত সরকার ও রঞ্জিতা সরকারের মেয়ে। দীপ্তি দরগাহপুর কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তালা ও পাইকগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
কলেজ ছাত্রীর সন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। প্রেম ঘটিত কারণে নিখোঁজ হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে অনেকেই। কলেজ ছাত্রীর পিতা সুব্রত সরকার বলেন প্রায় মাস খানিক আগে মেয়ে দীপ্তি তার মামার বাড়ি ডুমুরিয়ার শোভনায় বেড়াতে যায়।
এরপর ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গুনালী নলতায় তার মামার বিয়েতে যায়। বিয়ে শেষে রাত দুইটার দিকে ফিরে আসার সময় দীপ্তি কে খুঁজে পাওয়া যায় না। রাতভোর খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সকালে বরপক্ষের লোকজন বাড়ি ফিরে আসে। মামা উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন দীপ্তি বিয়ে বাড়িতে মামা জয় বিশ্বাসের মোবাইল ব্যবহার করেছিল এছাড়া তেমন কোন সূত্র নাই।
বিয়ের অনুষ্ঠান তালা উপজেলা হওয়ায় এ ঘটনায় তালা থানায় কলেজ ছাত্রীর পিতা সুব্রত সরকার লিখিত অভিযোগ করেন। কলেজে লেখাপড়া করলেও তার মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জ্ঞান কিংবা বুদ্ধি তার নাই এজন্য কেউ তাকে ফুসলাইয়া বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যেতে পারে তবে যেকোনো ভাবে তার পিতা মাতার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রতিবেশি গৃহবধূ অনিতা রাণী রায়। গত দুই তিন দিনেও মেয়ের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পাগল প্রায় কলেজ ছাত্রীর মাতা রঞ্জিতা সরকার।
সহজ সরল মেয়ে কে কেউ প্রলোভন দেখিয়ে অথবা অসৎ উদ্দেশ্যে তার হেফাজতে রাখতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। তালা থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ ছাত্রীর সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পাইকগাছা থানার এসআই হাফিজুর রহমান হাফিজ। এ ঘটনায় উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে কলেজ ছাত্রীর পিতা মাতা। তারা দ্রুত মেয়ের সন্ধান চেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ ৯ মার্চ রবিবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের মেইন গেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে একটার পর একটা ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অপরাধীদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে পাইনি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্ষকের পরিপূর্ণ শাস্তি কার্যকর করতে পারেনি। এটা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, কেয়া সরকার, মেজবাহুল হক মেজবা, প্লাবনী সরকার, মোজাহিদ হোসেন মিথুন, আউয়াল সরকার রাব্বি প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাসের সাথে মিনিবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৩১ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার জাঙ্গালিয়া মাজার গেট এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের বাসের সাথে একটি মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয়ও জানা যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গার ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকা থেকে আটক ৪ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার ৭২৩ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গত এক বছরে ভারত থেকে পাচার করা এসব মাদকদ্রব্য বিভিন্ন সীমাস্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে ৬ বিজিবির সদর দপ্তরে এসব ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিলো ৯ হাজার ২৭৯ বোতল ফেনসিডিল, ৩ হাজার ১৬৩ বোতল বিদেশী মদ, ২০ বোতল বিয়ার, ১৭২ কেজি গাঁজা, সাড়ে ৯ কেজি হেরোইন, আড়াই কেজি কোকেন, ২০৯ পিচ ইয়াবা, ১১ হাজার ৬০ পিচ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ১ হাজার ৬৯৬ পিচ নেশাজাতীয় ইনজেকশন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. মারুফুল আবেদীন উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে উদ্ধার করা মদের বোতল ভেঙে মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে বুলডোজারের চাকায় পিষ্ট করা হয় উদ্ধার করা মদ ও ফেনসিডিলের বোতল। এসময় উদ্ধার করা গাঁজা, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মারুফুল আবেদীন, ৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানসহ বিজিবি, ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম, ৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান, মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. আব্দুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার প্রমুখ।