হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা মহিলা সম্পাদক আইরিন পারভীন এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি গানিউর রহমানের তনয়া ডাঃ রুকসানা রহমানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রয়াত ড. খন্দকার মনসুর এবং মেরী মনসুর এর তনয় ড. কাবিড মনসুর এর বিবাহ উত্তর সংবর্ধনা ২৯ ডিসেম্বর রবিবার নিউইর্য়ক এর লং আইল্যান্ডের একটি অভিজাত পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ও কলাকুশলী সহ প্রায় দুই শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে লাইভে রেখে রুমন মিয়া (৩৫) নামের এক প্রবাসী আত্মহত্যা করেছে। ২৬ জুলাই ওমানের সালালাহ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওমান থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামে ওই প্রবাসীর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৯ বছর আগে পারিবারিক পছন্দে খালাতো বোনের সাথে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর রুমন ওমান চলে যান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বউ শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহের সৃষ্টি হয়। ২৬ জুলাই শনিবার লাইভ ভিডিও কলে পরকীয়ার একটি ভিডিও নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুমন স্ত্রীকে লাইভে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার জানান, আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করছে দেখে লাইভ কল কেটে একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাতো বোনের জামাই ওবায়দুল হককে বিষয়টি জানাই। তিনি গিয়ে দেখেন স্বামী ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তখন আমি জানতে পারি স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
তবে পরকীয়ার ভিডিও নিয়ে ঝগড়ার পর আত্মহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন পান্না।
রুমনের মা জানান, আমি শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করাই। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখতোনা। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এ কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে থাকে। আমি এর বিচার চাই।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা বিশ্বময় গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না,”সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেট প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন, কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম ,আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী,তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন -১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি ।সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম্যের শিকার ।সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না,চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা – দীক্ষা, জ্ঞান – গরিমা,সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল, গ্যাস, পাথর, চা শিল্প, পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের।
সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন। অনেক সিলেটের জনগণ এবং প্রবাসীরী সংবাদ সংস্থা বলেছেন, ছোট আয়তনের বাংলাদেশে যেখানে বিভাগের ই কোন প্রকার প্রয়োজন নেই, সেখানে প্রদেশ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তারা আরো বলেছেন, প্রদেশ কেন হবে? মাতাবারী বিভাগই বাতিল করে শুধু জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন, পৌর সভা এবং সিটি করপোরেশন এই পাঁচ ভাগে লোকাল সরকার থাকার কথা জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মরুর দেশ সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসহাক সায়েদ (২১) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্থানীয় সময় রাত ৩টার এবং বাংলাদেশ সময় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইসহাক সৌদি আরবে হাংগেরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে হিসেবে কাজ করত। সে কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানায়, সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদে গত বছরের আগস্ট মাসে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানো তাকে। রাতে কোম্পানির ডিউটি পালন করতে মোটরসাইকেল যোগে ফুড ডেলিভারি করতে যায়। এসময় সড়কে ট্রাক চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সকালে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। কান্না জড়িত গলায় সন্তান হারানো পিতা সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন, তার সন্তানের লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। সন্তানের লাশটা যেন নিজ হাতে দাফন করতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবরে আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার শহরের প্রাণকেন্দ্রে বোম্বে গ্রীলে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় অমর একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সালেহ করিমের সঞ্চালনে সন্ধ্যা সাতটায় এই মহতী অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনের সাগত বক্তব্যর মাধ্যমে কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সকল শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাভাষার অবদান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র সম্মান শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন জসীম উদ্দিন, সালেহ করিমুজ্জামান, আকম রুমেল ও মোয়াজ্জেম ইকবাল। সকলের বক্তব্যে ফুটে উঠে মহান ভাষা আন্দোলন এবং অমর একুশ ছিল বাঙালির অমিত প্রেরণার অনিঃশেষ উৎস। একুশের অভিলাষী যাত্রায় বাঙালী ফিরে পেয়েছে মুক্তির ঠিকানা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার অধিকার। বাঙালির আত্মর্যাদা গৌরবের বিজয় তিলক, এই পবিত্র ভাষা আন্দোলন। ভাষা শহীদরা রফিক জব্বার সালাম বরকতরা তৈরী করেছিল আসাদ জোহা মতিউর সহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ।
যাঁদের অমর রক্তের কণিকায় দাঁড়িয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, বিশ্ব ফিরে পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার অধিকার। আজ সারাবিশ্বে ভাষা আন্দোলনের পীঠস্থান অমর একুশকে স্মরণ করছে বিনম্র শ্রদ্ধায়। ভাষা শহীদ, স্বাধীনতা শহীদ সকল মুক্তি আন্দলোনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জসীম উদ্দীন। অনুষ্ঠানটির সাফল্য ও ভাব গাম্বীর্য রক্ষায় সদা সর্বদা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব রহমান মিলন এবং উপদেষ্টা ফখরুল আহসান শেলী। স্বাধীন বাংলার শিল্পী মুক্তিযোদ্দা খসরু”র সুললিত কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্পন পর্ব। সে এক অপূর্ব শিহরণ। প্রথমে নেতৃবৃন্দ, অতিথি বৃন্দ পরে সর্ব সাধারণ লাইন দিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নতুন প্রজন্ম মা বাবা সহ ফুল নিয়ে এগিয়ে আসে, যা ছিল প্রজন্ম তরে স্মৃতি তর্পনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। এসময়ে তাদের সহায়তা করেন ফারজানা, নবনী, তাননি, ইউসুফ, ইউনুস, শহীদ, জাহাঙ্গীর, রাহাত প্রমুখ।
মাইকে তখন চলতে থাকে প্রতিথযশা গুণী শিল্পী খসরু”র কালজয়ী দেশপ্রেমের গান। অতঃপর বোম্বে গ্রীলের পক্ষ থেকে সকলকে সুস্বাদু বিরানি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরিশেষে সভাপতি দূর দূরান্ত থেকে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায় ইংরেজি ভাষাভাষি এক ব্যক্তির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তুমুল বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।’ এখানে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করায় তিনি এমনটি বলেছেন।
শুধু এতটুকুই নয় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কথা জিজ্ঞেস করায় মেজাজ হারান টিউলিপ।
এসময় সেই ব্যক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক হোন, ওসব ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।
এদিকে ঢাকায় পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আদালত।
মূলত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রকাশ পেতে থাকে তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির চিত্র।
এদিকে, লন্ডনে নিজের বাড়ির বাইরে বাংলাদেশে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, তিনি “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের শিকার।”
অন্যদিকে, শুধু এই এক অভিযোগই নয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে আরো বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই ভাগ্নির বিরুদ্ধে।