চলারপথে রিপোর্ট :
‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর প্রজন্ম গঠনই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংকল্প’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের দানবীর লোকনাথ রায় ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে দিনব্যাপী (২০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের) ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদলকে ২-০ গোলে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল জয়ী হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান সাজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, মাদক থেকে বিরত রাখতে তারেক রহমানের নির্দেশে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের এই সংকটকালে বিশৃঙ্খলা চলছে। তারেক রহমান বারবার বলেছেন অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার যতো শক্তিশালী হোক চাইলেই তারা সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। তাই দ্রুত নির্বাচিত দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, গত ষোল বছরের আন্দোলনের ফলই ৫ আগস্টের অর্জন হয়েছে। ৫ আগস্টের অর্জন কারো একার নয়, কোন দলের নয়। ৫ আগস্টের বিজয় সমগ্র জাতির অর্জনের ফসল। কেউ যদি মনে করে এই অর্জন কোন ব্যক্তির কিংবা কোন একটি সংগঠনের তাহলে সেটা ভুল ধারণা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির পাঁচশত লোক নিহত হয়েছে শুধুমাত্র এই ৫আগস্টের আন্দোলনে। এছাড়া গত ষোল বছরে বিএনপির কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল, সদর, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদল অংশগ্রহণ করে। সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খেলা চলে। সেমিফাইনালে সদর উপজেলা ছাত্রদলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলকে হারিয়ে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজুয়ানুল হক শীষ। খেলায় ধারাভাষ্য বর্ণনা করেন সাবেক ফুটবলার ওমর ফারুক আজাদ, সোহেল রানা ও মিজানুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপি নেতা আলী আজম, জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মনির হোসেন, মাইনুল হোসেন চপল, নিয়ামুল হক, নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মঈন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, জেলা শ্রমিক দলের নেতা আজিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম চৌধুরী, রাশেদ কবির আখন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর, আশিকুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মাসুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, দুলাল আহমেদ, হাফিজ মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ হাফিজুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক ফোজায়েল চৌধুরী, আজহারুল ইসলাম দিদার, সাঈদ আহমেদ সানী, ডিকন রিজুয়ানুল হক শীষ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন পৌর এলাকার মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল টেক্সটাইল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা সড়ক ও জনপথের জায়গাসহ সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছিলো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। কিছুদিন পরেই আবার প্রভাবশালীরা ওই জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেন।
শনিবার পুনারায় ওই স্থাপনাগুলো পুনরায় উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেযারসহ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের কর্মক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে।
তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অতীতের মতো সকলে একটি ইউনিট হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ১ জুলাই সোমবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত মোঃ মাসুদ পারভেজ জেলা ও দায়রা জজ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমনময় চৌধুরী, বেঞ্চ সহকারী শরীফুল আলম, অফিস সহায়ক জিয়াউল আমিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিদায়ী পদন্নোতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ এরঁ হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশু পুত্রকে জবাই করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে চর ছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিজ ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, ছয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)। এ সময় তাদের ৭ মাস বয়সী বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার পর পরই ত্রিপল খুলের রহস্য উদ্ধার করতে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে বাড়ির একটি পাকা ভবনে বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা জেসমিন আক্তার বাসায় কাজ করতে এসে বাড়ির গেইট বন্ধ দেখতে পায়।
পরে তিনি জেসি আক্তারের জায়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ।
পরে জেসমিন আক্তার বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রুমের মেঝেতে মা জেকি আক্তার ও বড় ছেলে মাহিনের লাশ এবং পাশের বাথরুমে ছোট ছেলে মহিনের লাশ দেখতে পায়। এ সময় প্রবাসী শাহআলমের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, আমরা জেসি আক্তার ও তার বড় ছেলে মাহিনের রক্তাক্ত লাশ মেঝে থেকে ও ছোট ছেলে মহিনের লাশ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ভোরের দিকে পূর্ব পরিচিত অথবা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে বাড়ি থেকে কোন মালামাল খোয়া যায়নি। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে আটক করেছি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন ) মোঃ ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ঘটনার তদন্তকাজ করছি। রহস্য উদঘাটনে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের কাউতলী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
অভিযানকালে তিনটি মুদি মাল ও একটি কাঁচাবাজারের দোকানিকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মুদি দোকানের ফ্রিজে ওষুধ সংরক্ষণ করায় বিসমিল্লাহ সুপার শপকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আকাশ ট্রেডার্সকে ১ হাজার, মেসার্স হীরাকে দেড় হাজার টাকা ও কাঁচা মালের আড়তে আবুল মালেক নামে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরটির সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।