চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছানের সভাপতিত্বে কল্যাণরাষ্ট্র গঠন বিষয়ে মুক্ত আড্ডা ও বর্ণাঢ্য ওয়াকাথন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন।
সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান, বি.আর.ডি.বি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, সমবায় কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সাংবাদিক ফায়জুল কবির ও মো. রিমন খান। এ ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, ঋণ গ্রহীতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির সুবিধা ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একজন প্রতিবন্ধীর হাতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তার ২০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। এ ছাড়া এই সরাইলে ৭০ জনকে ৩৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা সুদ বিহীন প্রদানের বিষয়টি জানানো হয়।
বক্তব্য রাখেন- মিতালী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান ও উচালিয়াপাড়া মাদ্রাসার এতিমখানার প্রতিনিধি মো. শাহিদুর রহমান। বক্তারা সমাজসেবা কার্যালয়ের সুদ বিহীন ঋণ, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ৬ ধরণের জটিল রোগীদের আর্থিক সহায়তাসহ ৭টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির প্রশংসা করে বলেন, দেশের অস্বচ্ছল দরিদ্র অসহায় মানুষদের ভরসার একমাত্র জায়গাই হচ্ছে সমাজসেবা অফিস। প্রধান অতিথি বলেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সেবা দেয়ার সংস্থাটি সমাজসেবা। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিসহ যেকোন ধরণের সুবিধা ভোগ করতে কোন ধরণের সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়লে কোন দালাল নয়, সরাসরি সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানাবেন। সমাধান না পেলে আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই সমাধানের ব্যবস্থা নিব। ভাতা পাওয়ার যোগ্য অথচ পাচ্ছেন না। আবার যোগ্য নয় অথচ ভাতা পাচ্ছেন। এমন তথ্য আমাকে জানাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিশ্বরোড মোড়কে যানজটমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
পথচারীরা জানায়, অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটের জন্য রাস্তা দিয়ে ঠিকমত চলাচল করা যায় না। এখন চলাচল করতে তাদের অনেক সুবিধা হবে। তারা আশা করেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে যানজট কম হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মানুষকে যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি এনে দিতেই এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনীর আয়োজনে দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফেনী জেলা পরিষদের ড. সেলিম আল-দীন মিলনায়তনে ৩০ জন সাংবাদিকের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনীর সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন।
ফেনীতে সাংবাদিকতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সংবাদের উপাদান, সংবাদের ধরন ও লেখার কৌশল বিষয়ে বিটিভির জেলা প্রতিনিধি শওকত মাহমুদ, সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, সাংবাদিকের গুণাবলি, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সাক্ষাৎকারের বিষয়ে এমএমসি প্রশিক্ষক আবু নাছের মঞ্জু, সাংবাদিকতা ও তথ্য অধিকার, সংবাদ সংগ্রহের কৌশল বিষয়ে জেলা তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন, সাংবাদিকতার ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ক ধারণা নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, বাংলাদেশের গণমাধ্যম, আইন এবং বিধিমালা বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
দিনব্যাপী সেশন শেষে প্রশিক্ষকরা বলেন, “সংবাদপত্র হলো সমাজে ছায়া সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। সরকারের ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়া, সরকারের নীতিগুলো, আইনগুলো নির্বাহী বিভাগ যথাযথভাবে পালন করছে কি না, তা দেখাই হলো সাংবাদিকের দায়িত্ব। এই বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষার্থীরা তাদের বাস্তব ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে।”
অংশগ্রহণকারী নবীন সাংবাদিকরা এই প্রশিক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে আরো কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিটিভির প্রতিনিধি জসিম ফরায়েজী, চ্যানেল ২৪-এর প্রতিনিধি দিলদার হোসেন স্বপন, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি আজাদ মালদার, নিউজ ২৪-এর প্রতিনিধি ইয়াছিন সুমন, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি জিয়া উদ্দিন সোহাগ, দিনকালের প্রতিনিধি মফিজুর রহমান, দ্য মর্নিং গ্লোরির প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধি মুহাইমিম তাজিমসহ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ভূমি দস্যুদের কবল থেকে সরকারি ঘাটলা উদ্ধার করেছেন উপজেলা প্রশাসন। গত ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে ঘাটলাটিতে মাটিচাপা দিয়ে দখলে রেখে বাণিজ্য করছিল স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। ঘাটলাটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ি ও সাধারণ মানুষ একাধিকবার আন্দোলন সংগ্রাম মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গণমাধ্যমে বিষয় গুলো ফলাও করে প্রচার হয়েছে। ৮ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ বিষয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা চলছে। অবশেষে গত বুধবার অরুয়াইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সরজমিনে দিনভর অভিযান চালিয়ে ওই ঘাটলা উদ্ধার করা হয়েছে। স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেছে বাজারের ব্যবসায়ি ও সাধারণ লোকজন।
সরাইল উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নদী ও সরকারি জায়গা দখলে অরুয়াইলে ভূমি খেঁকো প্রভাবশালী একাধিক চক্র রয়েছে। জায়গার দখল ধরে রাখতে এরা ইউএনও’র বিরুদ্ধেও মামলা করার রেকর্ড করেছে। অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের সীমানার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিতাস নদীর শাখা। নদীটির অরুয়াইল পাকশিমুল বাজার এলাকার অগণিত অংশে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি ভূমি দস্যু চক্রের। তারা বিভিন্ন কৌশলে মাটি বা ময়লা ফেলে আস্তে আস্তে নদী ভরাট ও পরে দখল করে ফেলে। সেখানে ধীরগতিতে দিনে রাতে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করে মার্কেট ও দোকানঘর করে দখল পাকাপুক্ত করেন। অনেক সময় স্থানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করেই নির্মাণ কাজ করেন। আর উপজেলা প্রশাসন নড়চড়া করলেই সাময়িক ভাবে থেমে যায় সেখানকার ভূমি খেঁকোরা। সেখানকার ভূমি খেঁকোদের সরকারী জায়গায় নির্মিত দোকানে লাল কালির দাগ দিয়ে উচ্ছেদ পক্রিয়ায় এগুতে থাকলে ভূমি দস্যুরা সাবেক ইউএনও মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দিয়েছিলেন। আজ থেকে ১০ বছর আগে মেঘনা তিতাস দিয়ে বয়ে আসা নৌকার মালামাল সহজে উঠা নামার করার লক্ষে অরুয়াইল বাজারে বিশ্ব ব্যাংকের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল একটি পাকা ঘাটলা। ঘাটলাটি নির্মাণের কিছুদিন পরই ভূমি দস্যু চক্রের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সেখানে। ওই চক্রটি স্থানীয় সর্দার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাগে আনেন। একসময় ওই ঘাটলাটির উপর মাটি ফেলে ভরাটের কাজ শুরু করে। বাজারের ব্যবসায়ি ও স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেন। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। সংঘর্ষ সংঘাত নিরসনে পুলিশ প্রশাসন সেখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। সকল বাঁধা উপেক্ষা করে ঘাটলা মাটি চাপা দিয়ে উপরে দোকানপাট করে ফেলে। একসময় ওই চক্রটি তোহা বাজার ও সরকারী জায়গা দখল করে আরো এক দেড়শত দোকান নির্মাণ করে। অতিসম্প্রতি অরুয়াইল বাজারের ওই সকল অবৈধ দখল নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়। আমলে নেন উপজেলা প্রশাসন। তাই সকালে অরুয়াইল বাজারে মসজিদ সংলগ্ন ওই ঘাটলাটি উদ্ধারে প্রথম অভিযান শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ইউপি আ.লীগের সভাপতি আবু তালেব, স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য ও বাজারের ব্যবসায়িরা। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উদ্ধার অভিযানটি যেন কারো ইশারায় বন্ধ না হয়। এ ছাড়া আমরা দায় সারা অভিযানও আশা করি না। পুরো ঘাটলাটি উদ্ধার চাই। সরকারি একটি খালের মুখ ভরাটের মাধ্যমে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন ডেসার এক সাবেক কর্তা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই অরুয়াইলবাসী। নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, সরকারী স্থাপনা উদ্ধার একটি চলমান পক্রিয়া। এরই অংশ হিসাবে মাটি ও আবর্জনার নীচে পড়ে থাকা ঘাটলাটি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, সরকারী জায়গা এখানকার সাধারণ মানুষ দখল করেন না। দখল বাণিজ্যের সাথে যুক্ত স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। এরাই ঘুরে ফিরে সাধারণ মানুষদের শোষণ করছে। আমার কল্পনাতেও ছিল না এই ঘাটলাটি উদ্ধার হবে। বর্তমান ইউএনও মহোদয়ের সহযোগিতায় সরকারি খরচে নির্মিত মাটিচাপায় থাকা ঘাটলাটি উদ্ধার হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শিখাতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ জুন সোমবার বিকেল ৪টায় জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।
তারা হলেন হামিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) ও তার মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৮)।
জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ব্যবসায়ী বাবুল আহমদের মেয়ে, ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী হালিমা মোহাম্মদ। সেই সুযোগে সাঁতার শিখতে পুকুরে নেমেছিল মেয়ে হালিমা আর সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা বাবুল।
একপর্যায়ে মেয়ে ডুবে গেলে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন বাবা। এ সময় দুইজনই ডুবে মারা যান। আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় মেয়ে হালিমার অংশগ্রহণের কথা ছিল।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, বাবুল আহমদের স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তাদের চার সন্তান সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় বাবুল আহমদের বাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে চার-পাঁচ দিন আগে তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা বাড়িতে বেড়াতে আসে।
আজ বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয় মেয়ে হালিমাকে নিয়ে পুকুরে নেমে প্লাস্টিকের টিউবের সাহায্যে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা বাবুল আহমদ। একপর্যায়ে টিউব থেকে হাত ফসকে হালিমা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় বাবুল মেয়েকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজনই পানি থেকে উঠছিলেন না।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে পুকুরে নেমে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুইজন মারা যান। বিকেলে বাবুল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একসাথে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আলাদা দুইটি কক্ষে বাবা-মেয়ের লাশ রাখা। লাশের পাশে বসে স্বজনেরা বিলাপ করছেন। প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।