অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রয়াত অঞ্জনা রহমানের প্রথম নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাযা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। যেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
এ সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাযা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ইনফেকশন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১ জানুয়ারি বুধবার বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে ছোটবেলা থেকে অঞ্জনা রহমান একজন নামি নৃত্যশিল্পী ছিলেন। নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে তার বাবা মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে তিনি ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন। নৃত্যে তিনি তিনবার জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেন।
১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ারকে সফলতার পথে এগিয়ে নেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, মিঠুন চক্রবর্তী (ভারত), ইলিয়াস কাঞ্চন, ফয়সাল (পাকিস্তান), নাদিম (পাকিস্তান), জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ (পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ (নেপাল), ভুবন কেসিসহ (নেপাল) জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।
প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- সুখের সংসার, যাদু নগর, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, অঙ্কুর, মাধবীলতা, জবরদস্ত, জিদ্দী, আশীর্বাদ, শাহী কানুন, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, মরুর বুকে, প্রমাণ, বিক্রম, আকাশপরি, রাজার রাজা, বিধিলিপি, দিদার, আনারকলি, অগ্নিপুরুষ, টার্গেট, আন, মহারাজ, মানা, আশার প্রদীপ, প্রতিরোধ (বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনা), বেদনা, সোনার পালঙ্ক, চোখের মনি, প্রেমের সমাধি, ঈমানদার, অংশীদার, সুখ, দোযখ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকাসহ বহু দেশে ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
অভিনয়ে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জনা রহমান দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া মোহনা, পরিণীতা ও রাম রহিম জন চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনো টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি ভারতের। এবারও হলো না। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় দিনেই এক ইনিংস ও ৩২ রানে হেরে সেঞ্চুরিয়নের বিধ্বস্ত হয়েছে ভারত। ১৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বৃহস্পতিবার ভারতীয়রা গুটিয়ে গেছে ৩৪.১ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৪০৮ রান। ১৬৩ রানে পিছিয়ে থাকা ভারত উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে মাত্রজন দুইজন ব্যাটার। এক প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন বিরাট কোহলি।
আর শুভমান গিল করেন ২৬ রান। প্রোটিয়াদের নান্দ্রে বার্গার ৪, মার্কো ইয়ানসেন ৩ এবং রাবাদা ২ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।
ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন ইয়ানসেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে শতরানের জুটি গড়া ইয়ানসেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাননি স্রেফ সঙ্গীর অভাবে।
স্বাগতিকদের নবম উইকেটের পতন ঘটে ৪০৮ রানে। চোটের কারণে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ব্যাট করেননি। তাই অপরাজিত ৮৪ রানে ফিরতে হয়েছে ইয়ানসেনকে। অবশ্য স্বাগতিকদের হাতে কর্তৃত্বের লাগাম তুলে দিয়েছিলেন এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেওয়া ডিন এলগার। প্রথমে ডেভিড বেডিংহাম এবং পরে ইয়ানসেনকে সঙ্গী করে ভারতের ওপর রানের ভারী বোঝা চাপিয়ে দেন ১৮৫ রান করা এলগার।
এতে জয়ের পথও খুলে যায় প্রোটিয়াদের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ২৪৫ রান। লোকেশ রাহুল পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। করেন ১০১ রান। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৩৮ এং শেয়াস আয়ার করেন ৩১ রান। এছাড়া বাকিরা তেমন সুবিধা করতে না পারায় অল্পতেই থামতে হয়েছিল ভারতকে। ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। নান্দ্রে বার্গারের শিকার ছিল ৩টি। তবে এই দুই বোলারকে ছাপিয়ে প্রথম টেস্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ডিন এলগার। এএফপি
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ও ফ্যাশন আইকন ছিলেন সালমান শাহ। আজ এই স্বপ্নের নায়ককে হারানোর ২৮ বছর। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশের একাধিক তদন্ত শেষে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার ও ভক্তরা এই তদন্ত কখনও গ্রহণ করেননি। বরং তাদের দাবি, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য আজো উদঘাটিত হয়নি।
বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে সালমান শাহ’র ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অমর এই নায়কের। এতে তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন সালমান। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তালিকায় রয়েছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো সিনেমা।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।
সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।
সালমান শাহ চলে গেছেন দুই যুগের বেশি সময় হয়ে গেছে। সে সময় থেকেই তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মধ্যেই, যা এখনো চলমান। এ নায়ককে নিয়ে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পোড়ামন ২’-তে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ একটি গান উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। গানের শিরোনাম ছিল ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’। এ ছাড়া সালমান শাহর সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা তাকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না।
ভক্তদের হৃদয়ে এখনও অমর তাদের ‘স্বপ্নের নায়ক’। তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে দর্শকদের অন্তরে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। পাহাড়সম এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে আফগানিস্তান। জয়ের জন্য এখনো ৬১৭ রান প্রয়োজন আফগানদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ উইকেট।
পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদের পঞ্চম বলে আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে। ৫ রান করেন তিনি। ৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাবধানী খেলতে থাকে আফগানরা।
এরপর আফগানদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদির মাঠ ছাড়া। তাসকিন আহমেদের বাউন্সার সরাসরি তার হেলমেটে লাগে। হাশমতউল্লাহ পড়ে যান সঙ্গে সঙ্গেই। দৌড়ে ছুটে আসেন আফগান দলের ফিজিও। একপর্যায়ে স্ট্রেচারও ডাকেন আফগান ফিজিও। তবে সেটির প্রয়োজন পড়েনি। উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটেই মাঠ ছাড়েন শাহিদি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দাপুটে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত। দুই বছরের বেশি সময় পরে টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হক। এছাড়া জাকির হাসান ও লিটন দাসের ফিফটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। লিড নিয়েছে ৬৬২ রানের।
তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামা নাজমুল শান্ত ১৫১ বলে ১২৪ রানে আউট হন। ১৫টি চার মেরেছেন তিনি। এর আগে জাকির হাসান ৭১ রান করেছেন। পরে মুমিনুল হক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৬৬ রানের ইনিংস।
ঢাকা টেস্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথমদিন ৫ উইকেটে ৩৬২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়দিন মাত্র ২০ রান যোগ করেই অলআউট হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে বল হাতে স্বাগতিকরা ছিল দুর্দান্ত। মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে দেয় আফগানদের। প্রথম ইনিংস থেকে ২৩৬ রানের লিড ঘরে তোলে।
প্রথম ইনিংসে নাজমুল শান্ত খেলেন ১৪৬ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান ২৩টি চার ও দুটি ছক্কার শটে। এছাড়া মাহমুদুল জয় ৭৬ রান করেন। মুশফিক ও মেহেদি মিরাজ যথাক্রমে ৪৭ ও ৪৮ রান যোগ করেন।
জবাবে দেড়শ’ রানের আগে অলআউট হওয়া আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মিডল অর্ডারের আফসার জাজাই। পাঁচে নামা নাসির জামালের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এছাড়া করিম জানাত ২৩ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে পাঁচ উইকেট তুলে নেন পেসার নিজাত মাসুদ। অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার এবাদত হোসেন চার উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।