অনলাইন ডেস্ক :
নাটক ও ওটিটি কনটেন্টে অভিনয়ে গেল বছর বেশ সরব ছিলেন সাফা কবির। বছর জুড়েই এ অভিনেত্রী ভিন্ন সব চরিত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন। এ ছাড়াও বছর শেষে হাতে ওঠে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। আলোক হাসানের পরিচালনায় ‘পারুল’ নাটকের জন্য ‘বেস্ট ক্রিটিকস অ্যাক্টর’ হিসাবে বিনোদন সাংবাদিকদের সংগঠন সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড পান সাফা।
অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি জানান, চলতি বছরে নিজেকে আরো ভালো কাজে যুক্ত করতে চান। সাথে নানামাত্রিক চরিত্রে নিজেকে প্রমাণিত করতে চান। এ ছাড়াও এ বছরে সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গেও ইচ্ছা প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী।
সাফা কবির বলেন, ‘সিনেমায় আসার ইচ্ছা আমার অনেক আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু সেভাবে ভালো গল্প ও চরিত্র পাইনি। তাছাড়া পরিচালকরাও সেভাবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন না বা তাদের ডাকও পাচ্ছি না। দর্শকদের মতো আমিও অপেক্ষায় আছি ভালো সিনেমা নিয়ে হাজির হতে। সবকিছু মিলে গেলে এ বছরেই বড় পর্দায় হাজির হব। আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। তাই অভিনয়ের ইচ্ছাটা আরও প্রবল বেড়েছে। সময়ের হাতে ছেড়ে দিলাম সব কিছু। দেখা যাক কি হয়।’ গেল বছরে ‘টিকিট’ নামে একটি ওটিটি কনটেন্টে সাফাকে দেখা গেছে।
এ ছাড়াও ‘সুপার ওয়াইফ’, ‘ফিদা’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘জাদুর শহর’, ‘১০০ বিঘা ফুল বাগান’, ‘ফিল মাই লাভ’, ‘লাভ বাজ’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘একটু আধটু প্রেম’ নামে নাটকে তার অভিনয় আলোচনায় আসে। চলতি বছরও গল্পপ্রধান চরিত্রে কাজ করতে চান এ অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় মনে করি গল্প হচ্ছে আসল হিরো। কিন্তু ইদানিং শক্তিশালী গল্পের দেখা খুব কম পাচ্ছি। তবে আমার হাতে কিছু পছন্দের গল্প রয়েছে, সেগুলো নিয়ে চলতি বছরে হাজির হব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলও।
অভিনেতা ডিপজল বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে ট্রাকে করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।
ডিপজলের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, চিড়া, গুড়, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ প্রয়োজনীয় পণ্য। ডিপজলের এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তার সহকারী ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘ডিপজল সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশমতো দিন-রাত পরিশ্রম করে পণ্য প্যাকেট করে ট্রাকে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন বন্যার্তদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান ডিপজল। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার সময় সময় শত শত বাস বিনাভাড়ায় মুসল্লিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া সারাবছরই চলচ্চিত্রে বেকার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। ফলে চলচ্চিত্রে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডিপজল।
এর আগে, ২০২২ সালেও সিলেটের সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় দশ ট্রাক পণ্য পাঠিয়েছিলেন ডিপজল। বরাবরই দেশের দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই অভিনেতা।
অনলাইন ডেস্ক :
টলিউড সুপারস্টার অভিনেতা দেব অভিনয় জীবনে ১৮-তে পা দিলেন। রবিবার একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ১৮ বছরের জার্নি উদযাপন করেন দেব।
দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করে অসংখ্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘হ্যালো সবাইকে! অবশেষে আজকে প্রাপ্তবয়স্ক হলাম ( Hello everyone! Finally I’ve become an adult today.. Mane 18 years old in the Industry! Thank you for the Love, Support and Blessings over the years).
গুটি গুটি পায়ে বাংলা সিনেমা জগতে দেব একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা দীপক অধিকারি ( দেব) আজ হয়ে উঠেছে সুপারস্টার অভিনেতা।
তবে সিনেমার জগতে দেবের সব চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে। তবুও থেমে থাকেননি দেব।এখনও সামাজিক মাধ্যমে দেবকে ট্রোল করার জন্য রয়েছে একাধিক পেজ। তাতে অবশ্য ভাঁটা পড়েনি জনপ্রিয়তা একচুলও।
তারপর সুপারহিট বাংলা ছবির মধ্যে ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘খোকাবাবু’, ‘খোকা ৪২০’, ‘সেদিন দেখা হয়েছিল’, ‘রংবাজ’, ‘পাগলু’-র অন্যমত।
এভাবেই বারবার অনুরাগীদের সারপ্রাইজ দিয়ে সুপারস্টার দেব হয়ে উঠেছেন কাছের মানুষ।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছিল না জয়ের রেকর্ড। একবারের মোকাবিলায় ৮ উইকেটে হার। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যরূপে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বাটলার শিবির। বাংলাদেশ পেয়েছে ৬ উইকেটের দাপুটে এক জয়, দুই ওভার হাতে রেখেই। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের লিড ১-০ ব্যবধানে। জয়তু টাইগার শিবির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে দুই ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ, ১৫৮/৪।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। কুরান, ওকস, আর্চার নিজেদের প্রথম ওভারে মার খাওয়ার পর চতুর্থ ওভারে আসেন স্পিনার আদিল রশিদ। এসেই উইকেট পান তিনি। বোল্ড করে দেন ১৪ বলে ২১ রান করা রনিকে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।
এরপর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে আর্চারের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। শান্ত ও হৃদয়ের বিধ্বংসী জুটি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে চট্টগ্রামে ঝড় তুলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে করে রানের চাকা ঘুরান তিনিই। উডের এক ওভারে টানা চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করেন। ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় পঞ্চাশ এটি তার।
এরপরই অবশ্য বিদায় নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়। মঈন আলির বলে কুরানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করেন হৃদয়।
ফিফটির পর আগাতে পারেননি শান্ত। উডের বলে হয়ে যান বোল্ড। ৩০ বলে আট চারে ৫১ রান করে ফেরেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাকিব-আফিফ। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ২৪ বলে ছয়টি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে দুই চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড ও মঈন আলি।
বাংলাদেশ দল : রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
বিশেষ প্রতিনিধি:
অনলাইন ডেস্ক :
জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো । কিন্তু শেষ দিনে প্রথম সেশন পর্যন্তও টিকল না ভারত।
তাদের উড়িয়ে দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ‘গদা’ নিজের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারত চতুর্থ ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানেই। যার ফলে ২০৯ রানের দাপুটে জয় পায় অজিরা।
দ্য ওভালে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। বিরাট কোহলি ৪৪ ও অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করছিলেন ২০ রান নিয়ে। মূলত তাদের ব্যাটে টেস্ট বাঁচানোর আশা দেখেছিল ভারত। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতেই সাজঘরে যেতে হয় কোহলিকে। স্কট বোল্যান্ডের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে রোহিত শর্মার দল। জয় তো দূরের কথা ড্রয়ের আশাটাও তখন ফিকে হয়ে যায়। ন্যাথান লায়নের স্পিন তোপে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও সেরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাই ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। অজিদের হয়ে লায়ন চারটি, বোল্যান্ড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি ও প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।
মর্যাদার লড়াইয়ে এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। জবাব দিতে নেমে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। বড় লিড পেয়ে ভারতের জন্য লক্ষ্যটা পাহাড়সম করে তোলে অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে, যেখানে ভারতকে জিততে হলে ভাঙতে হবে বিশ্বরেকর্ড। ২০ বছর আগেও ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই ইতিহাস আর ভাঙা হয়নি ভারতের, পরপর দুইবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিরতে হলো খালি হাতে। একইসঙ্গে ঘুচাতে পারেনি ১০ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পূরণ করলো আইসিসি ট্রফি জয়ের চক্র। প্রথম দল হিসেবে আইসিসি স্বীকৃত সব শিরোপা জিতেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে চাপের মুখে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলায় ফাইনাল-সেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড।