অনলাইন ডেস্ক :
পর্যটনের বিকাশে প্রথমবারের মতো শ্রীমঙ্গলে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগানে কাকিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।
এ মেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন।
তিন দিনব্যাপী এ মেলায় থাকছে নৃগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবন ও সংস্কৃতি। তুলে ধরা হবে তাদের সম্প্রীতির মেলবন্ধন। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
আয়োজকরা জানান, শ্রীমঙ্গল ও কলমগঞ্জে বসবাসরত ২৬টি সম্প্রদায় ৪৪টি স্টলের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য, খাবার, জীবনাচার ও পোশাক প্রদর্শনী বিক্রয় করবে। এ ছাড়াও তাদের সংস্কৃতি, নাচ-গান, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহম্মদ বলেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটনকে প্রমোট করতে হারমোনি ফেস্টিভ্যাল মেলা আয়োজন একটি ভালো উদ্যোগ। এতে স্থানীয় পর্যটন খাত উপকৃত হবে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎসবের খবর নিচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গেজেটেড ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে চা শ্রমিকসহ ২৬টি ক্ষুদ্র নৃ-জাতি গোষ্ঠী বসবাস করে। এখানে বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে তারা একাত্ম হয়ে একসাথে মিলেমিশে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলেছে। তাদের এই সম্প্রীতি দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ফুটিয়ে তুলতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি।
তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড ইতালি, সৌদি আরব, আমেরিকা ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তির মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইডিইএ এর প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন হাসি বেগম নামে এক গৃহবধূ। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলায় পাওয়া যায় এক নারীর অর্ধগলিত লাশ। লাশটি হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তার মা। পরে ওই লাশ দাফন করে হাসি বেগমের পরিবার। এদিকে দাফনের পাঁচ দিন পর হাসি বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর নিয়ে আসেন। হাসি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহ আলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের সাত বছর বয়সি একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এ ঘটনায় হাসি বেগমের বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন জামাতা মোতালেব শেখ। এর দুই দিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর মোতালেব সদরপুর থানায় পালটা একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গেছেন।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার কচুরিপানার ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে হাসি বেগমের মা সালমা বেগম ওই লাশটি হাসির বলে শনাক্ত করেন। এরপর ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী কবরস্থানে ওই লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে পালটাপালটি অভিযোগের তদন্ত চলা অবস্থায় শনিবার হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানান তিনি জীবিত আছেন। এরপর সোমবার সদরপুর থানার পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. খবির মোল্যা বলেন, এ রকম খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত তেমন কিছু জানি না।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ওসি মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসিকে নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়। ঘটনাটি ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার। ফলে সব তথ্য পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আকস্মিক ও বড় ধরনের বন্যায় যথাসময়ে পূর্বাভাস দেওয়ার লক্ষ্যে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ উজানের দেশগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য চাওয়া হবে। এজন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও যোগাযোগ জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, জনগণকে যথাসময়ে সহজ ভাষায় বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী ও কুমিল্লায় গণশুনানি করা হবে। জনগণের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সব বাধা দূর করতে হবে। উপদেষ্টা এ সময় ফেনী নদীর মাছের ঘেরসহ সব অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, হাওরে যাতে বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। হাওরে স্থাপনা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সব পাম্প চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় যৌথ নদী কমিশনের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ব্যবস্থা, হাওর এলাকায় কার্যক্রম এবং গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা এসব প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
একদফা দাবিতে সারাদেশে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই অবস্থায় ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে একটি সরকারি সংস্থা। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচিতে সারা দিয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিন বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে জায়গা ছেড়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কোথায় কোথায় পুলিশকে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করলে ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকারি একটি সংস্থা। এর খানিক পরই বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক ও হোয়াইটসঅ্যাপ।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ফের চালু করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। তবে এবার ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তবে ব্রন্ডব্যান্ড লাইনে সামাজিক মাধ্যম চালু আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুর শহরের উপশহর এলাকার এক বাড়ি থেকে বিষধর একটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি মাছুয়া সাপ। কৌশলে সাপটিকে বয়ামে ভরে রাখেন বাড়িওয়ালা। শনিবার সাপটি দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। বনবিভাগের কর্মকর্তা বলেন, এটি বিষধর পদ্ম গোখরা সাপ।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের সামাজিক বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বনে উন্মুক্ত করতে সাপটি হস্তান্তর করেছেন শিক্ষক রাশিদুল হাসান কচি।
কলেজের প্রভাষক রাশিদুল হাসান কচি জানান, শুক্রবার নিজ বাড়ির দরজার পাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সময় সাপটি দেখতে পান। ভয়ে সাপটির মাঝখানে আঘাত করলে সাপটি একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে তিনি ও তার ছেলে তানজিরুল হাসান আবির সাপটিকে লাঠি দিয়ে কৌশলে প্লাস্টিকের বয়ামে ভরে রাখেন। দেখে মনে হয় এটি বিষধর পদ্ম গোখরা।
তিনি আরো জানান, সাপটিকে তিনি মারতে চান না। এ কারণে সাপটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। সেখান থেকে তিনটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ করলে তিনটি নম্বরের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার বনবিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা হয় এবং তারা এসে সাপটি নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর বনবীট কর্মকর্তা ও রামসাগর উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নান জানান, শনিবার বিষয়টি জেনেছি। সাপটি দেখে মনে হচ্ছে বিষধর পদ্ম গোখরা। সাপটি নিয়ে আমরা বনে উন্মুক্ত করে দেব।