চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে সাধারণ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে প্রতারণা করার দায়ে একটি চাতাল কলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মোড়কীকরণ, অস্বাভাবিক চালের মজুদ এবং মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন খাদ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার একাধিক চাতাল কলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অবস্থিত সেবা রাইস মিল নামক প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক চালের মজুদের পাশাপাশি বিআর-২৮ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে পাটের বদলে প্লাস্টিক বস্তায় মোড়কজাত করতে দেখা যায়। এছাড়া মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকা এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করার বিষয়টিও ধরা পড়ে। এসব অসঙ্গতি ধরা পড়ার পর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সরকারের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভীর নেতৃত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সেক্রেটারি শাহীন আলম, ছাত্র প্রতিনিধি সিয়াম আফ্রিদিসহ আশুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশুগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো মোজাম্মেল হক, দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া, লালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিয়া, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী, হাজী আব্দুল জলিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, চরচারতলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মহিউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া কোন দেশ ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞান শিক্ষাকে বিকশিত করতে শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, এই সরকার বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়তে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন। দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮টি ষ্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৬৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
আজ ১৯ মে রবিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের মোঃ ছানু মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক রুমন আহম্মদ শরীফ (৩৪) ও একই উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে মোঃ বিল্লাল আহমদ(২৬)।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাহিদ আহাম্মেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় গাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়। অভিযানকালে একটি নোহা মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ৬৯৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসময় গাড়ির চালকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। আটক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরইমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতার জানান দিলেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান। হাই প্রোফাইল আমার নাই। আমি চেয়ারম্যান ছিলাম তাই মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা জানি। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখন বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে চাই। আমি সার্বজনীন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। কারো হক মেরে খাওয়ার চিন্তা আমার নাই।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে যখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে ঠিক তখন যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় এই উপজেলা উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। আমি এই এলাকার সাধারণ মানুষদের মাঝ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। এ সময় তিনি স্থানীয় রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ, এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চুসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। শপথও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর আগেই সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যায়। জীবনে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েও অধিবেশনে যোগদান না করার আক্ষেপ তার। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর গত ৫০ বছরে আর কেউ এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করতে পারেনি। এরমধ্যে ২২ বছর নৌকা প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এ আসনে। সর্বশেষ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে উপ-নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অনুষ্ঠিত হওয়া উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।
এদিকে গণমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আশুগঞ্জে দুটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সত্যতা পায় কমিটি। এ দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই কেন্দ্র ছাড়া জয়ী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম সাজুকে জয়যুক্ত করে গেজেট প্রকাশিত করে নির্বাচন কমিশন।
১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী শাহজাহান আলম সাজুকে শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু এর আগেই ২ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হয়েছে। ফলে শপথ নিলেও জাতীয় সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
এ নিয়ে আক্ষেপের কথা জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য হয়ে অধিবেশনে যোগ দিতে না পারা অবশ্যই কষ্টের ব্যাপার। এরপরও বাস্তবতা মানতে হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য দুমাসের মধ্যে এ নির্বাচন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। অধিবেশনে না বসতে পারলেও ৫০ বছর পর আসনটি উদ্ধার হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হবে। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাকে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তখন সংসদ অধিবেশনে গিয়ে আমি সাধারণ মানুষের কথা হয়তো বলতে পারবো।