অনলাইন ডেস্ক :
গুণী অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫ জানুয়ারি রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। প্রবীর মিত্র ছিলেন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার পরিবর্তিত নাম ছিল হাসান ইমাম।
ঢাকাই সিনেমার প্রবীণ অভিনেতা ‘রঙিন নবাব’ খ্যাত প্রবীর মিত্র (৮৩) মারা গেছেন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ৫ জানুয়ারি রবিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যু হয়। ধর্মান্তরিত প্রবীর মিত্রের মুসলিম নাম হাসান ইমাম।
প্রবীর মিত্রের ছেলে মিথুন মিত্র জানিয়েছেন, ৬ জানুয়ারি সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে বাবার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নেওয়া হবে চ্যানেলে আইতে, সেখানে আরেক জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হবে।
নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গেল ২২ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীর মিত্র।
বিয়ের সময় ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। ওই সময় তার নাম রাখা হয় হাসান ইমাম। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজান্তা মিত্র মারা যান ২০০০ সালে। তার তিন ছেলে মিথুন মিত্র, সিফাত ইসলাম, সামিউল ইসলাম। এক মেয়ে ফেরদৌস পারভীন। এদের মাঝে সামিউল মারা গেছেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবীর মিত্র ‘লালকুটি’ থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে ‘জলছবি’ শিরোনামে সিনেমার মধ্য দিয়েছে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে নায়ক চরিত্রে দেখা গেলেও বেশির ভাগ সিনেমায় চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দেখা মিলেছে তার।
অভিনয়ের বাইরে প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট খেলেছেন, ছিলেন অধিনায়ক। একই সময় তিনি ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের হয়ে। এ ছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলও খেলেছেন।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় অভিনয় শুরু করেন প্রবীর মিত্র। এইচ আকবর পরিচালত ‘জলছবি’ সিনেমাতে চিকিৎসকের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে সূচনা হয় তার। এরপর একই পরিচালকের ‘জীবন তৃষ্ণা’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার পুরস্কার ভাগ্য প্রসন্ন নয়। কেবল ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী অপ ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিশেষ অধিবেশনের আগে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর নেতিবাচক শিকার। অপতথ্য প্রতিরোধ তাই এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অপরাপর সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে। এ ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অপ ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু যৌতুকবিহীনই নয়, বরং নবদম্পতিদের দেওয়া হয়েছে নতুন পরিবার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। যৌতুকের কুপ্রভাব এবং ধর্মীয়ভাবে যৌতুক দেওয়া-নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রতিটি ঘরে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সকাল থেকেই আনন্দঘন মুহূর্তে মানুষ ওই মাঠে আসে যৌতুকবিহীন বিয়ে দেখার জন্য।
পরে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীকে বর ও কনে সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাঁদের বিয়ে পড়ান মাওলানা আবেদ আলী। আগামীর দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় তাঁদের জন্য দোয়া কামনা করা হয়। পরে নবদম্পতিদের হাতে সেলাই মেশিন, ছাগল, লেপ-তোশক, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, হাঁড়ি পাতিলসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, এসব কনের বাবা-মা অত্যন্ত গরিব। তাঁদের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। তাই বিয়ের এমন আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য কনেকে যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দেওয়া, একই সাথে যৌতুকের ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে যৌতুকবিহীন বিয়েতে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
এদিকে বিয়ের এই সুন্দর আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. জাকারিয়া জাকা। এ সময় তিনি ২০ জন কনেকে উপহারসামগ্রী প্রদান করেন।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ও ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের তত্ত্বাবধানে বিয়েতে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ঢল নামে। আর এই ২০ জোড়া নারী-পুরুষের বিয়ের সব তদারক করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ দিনাজপুর প্রতিনিধি মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. আবু হুসাইন বিপু, মাওলানা নোমান সিদ্দিক, মাওলানা শাহজালাল নাঈম, মাওলানা সালমান, মো. মাসুদসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী জানান, আয়োজক ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যাঁরা খরচের ভয়ে বৈবাহিক জীবন গঠন করতে পারেন না তাঁদের জন্যই যৌতুকবিহীন বিয়ের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তা ছাড়া এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে যৌতুকের যে কুপ্রভাব সেটি তুলে ধরা এবং যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া যে ধর্মীয়ভাবে নিষেধ সেটিও জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ায় এই লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাকারিয়া জাকা বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যধি। আর এই ব্যধি দূর করার জন্য সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সকলে যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত হবে সমাজ। যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া ধর্মীয়ভাবেও নিষিদ্ধ। এ ধরনের বিয়ে সেই বার্তা পৌঁছে দেবে প্রতিটি ঘরে। তিনি নতুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের সামাজিক জীবনে সর্বত্র সাফল্য কামনা করে যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
চলারপথে ডেস্ক :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গড়াই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৩ মে শনিবার সকালে চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ মৌজা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পাঁচটি ড্রাম ট্রাক ও দুইটি সেলোইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বা গাড়ি জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. বিল্লাল হোসেন (৪০), মো. শাকিব খান (৩০), মো.সাজ্জাদ হোসেন (২০), রাসেল হোসেন (২৮), মো. মেহেদী ইসলাম (২৮), সোহাগ হোসেন (২৩), মো. সাগর বিশ্বাস (৩১), মো. কালাম আলী (১৯), ফিরোজ ইসলাম (২২), শামীম হোসেন (২৭), রাজু আহমেদ (৩০), ইসমাইল হোসেন (৩২), মো. কাজল হোসেন (২৩) ও সবুজ বিশ্বাস (২০)।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গড়াই নদের জয়নাদ মৌজায় অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পাঁচটি ড্রাম ট্রাক ও দুইটি লাটাহাম্বাসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাবাদ মৌজার বালু মহলের ইজারাদার মো. মাসুদ রানা বলেন, তিনি জেলা প্রশাসনের নিকট থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ কেন তার লোকজনকে ধরে চালান দিয়েছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, ১৪ এপ্রিল ইজারা দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ২৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত জয়নাবাদসহ চারটি মৌজায় বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করে রিট পিটিশন জারি করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য আলাপ আলোচনা চলছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
আজ ২৬ মে রবিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রতিন্ত্রী বলেন, ৮ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। উপক‚লীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে; তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য আমরা সবাইকে নিয়ে আজকে সভা করেছি। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। পেছনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়কে আরো শক্তভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি নির্দেশনাগুলো যেভাবে দিচ্ছি সবাই যদি সে অনুসারে পালন করে, এই দুর্যোগ পূর্বের মতো সক্ষমভাবে মোকাবিলা করতে পারব।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এটি আজ ২৬ মে সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকেূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ ১৯ আগস্ট সোমবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।