চলারপথে রিপোর্ট :
গোপীনাথপুর এলাকা থেকে ৫০ কেজি গাঁজা ১টি পিকআপ ভ্যানসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯, সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গতকাল ৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫০.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. জাহাংগীর আলম (৩৮) আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া মসজিদ পাড়া গ্রামের মৃত মো. সানা মিয়ার ছেলে। এ সময় তার সাথে থাকা ১টি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে (৫১) শ্যুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের তাকে উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শরীফুল উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হকের ছেলে। গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানান, আগামী ০৬ এপ্রিল উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনসহ উপজেলা বিএনপির নেতা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফখর উদ্দিন আহাম্মদ খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী-পাতাইসার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দারোগাবাড়ী এলাকায় স্বপনের শরীর তল্লাশি করে একটি লোডেড শ্যুটার গান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এবং আগের একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ০৬ মে কসবায় উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা বিএনপি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় গ্রেফতার হওয়া শরীফুল হক স্বপনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মাসুম মিয়া (৯) ও উপজেলার আকছিনা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফাহিম মিয়া (১০)।
দুই শিশু সম্পর্কে খালাতো ভাই। বৃহস্পতিবার ধর্মপুর গ্রামে নানা জিতু মিয়ার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলো দুই শিশুর মা বিলকিছ বেগম ও লিপি বেগম। শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে নিখোঁজ ছিলো মাসুম ও তার খালাতো ভাই ফাহিম। কোথাও খুঁজে না পেয়ে সন্দেহবশত বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুরে খুঁজতে নামে বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে পানির নিচ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড মেম্বারের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় সাতজন।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কসবা উপজেলার আহ্বায়ক মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মুক্তার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে গোপীনাথপুর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত তসলিম রেজা ও মুক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।