চলারপথে রিপোর্ট :
গোপীনাথপুর এলাকা থেকে ৫০ কেজি গাঁজা ১টি পিকআপ ভ্যানসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯, সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গতকাল ৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫০.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. জাহাংগীর আলম (৩৮) আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া মসজিদ পাড়া গ্রামের মৃত মো. সানা মিয়ার ছেলে। এ সময় তার সাথে থাকা ১টি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের ধাক্কায় তানজিল মিয়া (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ২৮ মে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার নোয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিল পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আনিসুর রহমান জুয়েল মিয়ার ছেলে। এসময় অপর দুই আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- জেলা কসবা উপজেলার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে অলি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন (২৫)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানজিল মিয়া, অলি মিয়া ও খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন তারা তিন বন্ধু। মঙ্গলবার বিকালে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজনই ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তারা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেন আসছে দেখেও দ্রুত পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরিবার জানায়, তানজিল মিয়া দুবাই প্রবাসী। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেন। আহত অলি মিয়া আগামী ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। খাইরুল ইসলাম শাওন ব্যবসা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আজিজ আল মান্না বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তানজিল মিয়া হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা গেছে। দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস আটক করা হয়েছে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী গুরুহিত মোড় পাকা রাস্তার উপর হতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে বিজিবি টহলদল একটি ট্রাকসহ ভারতীয় উন্নতমানের ১৫৮৪ পিস শাড়ি এবং ১৭৭ পিস থ্রিপিস মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে কসবায় পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন বিজিবি’র কুমিল্লা সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রেজাউল কবির পিবিজিএম।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী গোবিন্দ জিউর মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির ও পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শকালে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাবের বিন জাব্বার পিএসসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, আখাউড়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বিসহ গোবিন্দ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
কসবা সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে বিজিবির পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেন সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রেজাউল কবির। এসময় তিনি নির্বিঘ্নে পুজা উদযাপনে এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সাহা জানান, পূজা উদযাপনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। কসবায় এ বছর ৪১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারবাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এর তত্ত্বাবধানে একটি কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে কসবা উপজেলার গুপিনাথপুর বাজারে ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে উগ্রহিন্দুবাদীদের হামলার প্রতিবাদে আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গুপিনাথপুর আলহাজ্ব শাহ আলম কলেজ গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গুপিনাথপুর বাজারের সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলজুড়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং প্রতিবাদী স্লোগান পরিবেশকে আরো উজ্জীবিত করে তোলে। বিক্ষোভ শেষে বড় বটতলায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রিপন পাঠান, বিনাউটি ইউনিয়ন ইসলামি ছাত্র শিবির এর সেক্রেটারি মোহাম্মদ সবুজ খান, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুব দল এর সদস্য সচিব মোঃ মাঈনুল ইসলাম মিনাল, মোঃ মাকিন চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উগ্রহিন্দুবাদীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হিযবুল্লাহ আল হেলালী বলেন, ‘এই হামলা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার একটি কূটকৌশল এবং এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব দেলোয়ার সরকার বলেন, ‘এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল সরকার বলেন, ‘তরুণ সমাজই পারে এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে হবে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের অধিকার রক্ষা করতে এবং এই ধরনের বৈষম্যমূলক কার্যক্রম রুখতে আমাদের আরও বৃহত্তর গণআন্দোলনের আয়োজন করতে হবে।’
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ হৃদয় ইসলাম বলেন, ‘এই হামলা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই ঘটানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সকলের একতাবদ্ধ অবস্থানের আহ্বান জানাই।’
ছাত্রনেতা তাইন মাহমুদ বলেন, ‘এই প্রতিবাদ কেবল একটি হামলার বিরুদ্ধে নয়; এটি সামগ্রিকভাবে ন্যায্য অধিকার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে। তরুণদের নেতৃত্বে সমাজের প্রতিটি স্তরে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’
বক্তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে আরো কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে আয়োজকরা জানান।