অনলাইন ডেস্ক :
শীতের দিনগুলিতে অনেকের সর্দি, কাশি, জ্বর এর সমস্যা লেগেই থাকে। এ কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু বীজ। এসব বীজ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী হবে। কারণ এই বীজগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ থাকায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। যেমন-
ফ্ল্যাক্সসিড : শীতকালে ফ্ল্যাক্সসিড খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের অভ্যন্তরে প্রদাহ কমায়, ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে। এই বীজ হৃদরোগের জন্যও উপকারী। এই বীজ শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণতা দেয়। ফ্ল্যাক্সডিস কাঁচা বা পাউডার হিসেবে দই, স্মুদি বা ওটমিলের সাথে যোগ করে খেলে উপকার পাবেন।
সূর্যমুখীর বীজ:এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে। এসব উপাদান শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সূর্যমুখী বীজ হালকা ভেজে এবং স্ন্যাকস হিসাবে খেতে পারেন। সালাদে মিশিয়েও খেতে পারেন।
চিয়া সিড : চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ফাইবার থাকায় এটি হাড় মজবুত ও শক্তি বৃদ্ধি করে। শীতে পানি কম খাওয়ার ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়, কিন্তু এই সিড সেই ঘাটতি দূর করতেও সাহায্য করে। চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং আকারে বা স্মুদিতে মিশিয়েও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন
ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?
কুমড়ার বীজ : কুমড়ার বীজে থাকা ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি শরীরে তাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে এই বীজ খেলে তা ফোলাভাব কমাতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করবে। হালকা ভাজা কুমড়ার বীজ সকালের নাশতায় খেতে পারেন। এছাড়া কোনও সালাদে ছড়িয়েও খেতে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। যা একটি ফিল্টারের মতো কাজ করে। এর কাজ হলো দেহ থেকে টক্সিন বা খাদ্য বিষ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের করে দেওয়া। কিন্তু এখন প্রচুর মানুষই কিডনিতে পাথর হওয়ার অভিযোগ করেন। প্রস্রাবে থাকা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক থেকে কিডনিতে পাথর হয়। এই পাথর প্রস্রাবের নালিতে ব্যথা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিডনির পাথরসমুহকে ক্যালসিয়াম ফসফেট, সিস্টিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ইউরিক এসিড হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এসবের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটই মানুষেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য প্রধানত খাদ্যাভ্যাস দায়ী। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শীম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেন না বা বাদ দিতে হবে।
১. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন: আপনি যদি কিডনিতে পাথর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে কফি খাবেন না। দিনে দুই কাপের (২৫০-৫০০) বেশি কফি, চা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।
২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যানজাত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। তারচেয়ে বরং কম লবণযুক্ত খাবার খান।
৩. বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার: মাংস, মাছ এর মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তার চেয়ে বরং চর্বিহীন মাংস সামান্য পরিমাণে তেলে রান্না করে বা সেদ্ধ করে খান। আর বেশি মশলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।
৪. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার: পনিরের মতো উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তারচেয়ে বরং নিম্নহারে চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। নাস্তার জন্যও আপনার পাস্তুরিত দুধ খাওয়াই উচিত। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য: আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে উচ্চমাত্রায় এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। এন্টাসিড ওষুধও এড়িয়ে চলুন কেননা তাতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়া মাছের তেল বা ভিটামিন ডি খেতেও সাবধান। কেননা কিডনিতে পাথর থাকলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলতে পারে এসব খাবার।
৬. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: আপনার কিডনিতে হওয়া পাথরগুলো যদি হয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট তাহলে আপনাকে অবশ্যই অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো, চা, কফি, বিট, লাউজাতীয় তরকারি, মিষ্টি আলু, স্পিনাক, টমেটো স্যুপ, ক্যানজাত ফলের সালাদ, রুবার্ব বা রেউচিনি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এছাড়া চকোলেট, টোফু, বাদাম এবং মোটাভাবে চূর্ণিত শস্য বাদ দিতে হবে। আপনার যদি ইউরিক এসিড পাথর হয়ে থাক তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবেৃ৭. অ্যালকোহল: কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিদে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে। ৮. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ
এই চর্বিবহুল মাছটি বেশ সুস্বাদু। কিন্তু কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে এই মাছ। সুতরাং এই মাছ না খাওয়াই নিরাপদ। ৯. অ্যাসপ্যারাগাস: অনেক মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কিডনিতে পাথর হলে এটি না খাওয়াই ভালো। ১০. সেঁকা বা গেঁজানো খামির: আপনার কিডনিতে যদি ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে তাহলে সেঁকা বা পোড়ানো অথবা গেঁজানো খামির এড়িয়ে চলাই জরুরি। কেননা এতে উচ্চহারে পিউরিন থাকে। এ ছাড়া শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সকালের নাশতায় ওটস খুবই ভালো একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প—বিশেষ করে যদি আপনি পুষ্টিকর, সহজে হজমযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে এমন কিছু খুঁজছেন।
ওটসের উপকারিতা-
১. উচ্চ ফাইবারযুক্ত: বিশেষ করে বেটা-গ্লুকান নামে একটি দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. লম্বা সময় ধরে পেট ভরা রাখে: এর কারণে আপনি বারবার ক্ষুধা পাবেন না, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. হার্টের জন্য ভালো: কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. হজমে সহায়ক: ফাইবার থাকায় হজমের সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. প্রোটিনের ভালো উৎস: বিশেষ করে যদি আপনি ওটসের সাথে দুধ, বাদাম বা দই যোগ করেন।
কীভাবে খেতে পারেন-
দুধ বা পানিতে সেদ্ধ করে, সঙ্গে মধু, ফল (যেমন: কলা, আপেল, বেরি), বাদাম ইত্যাদি যোগ করে।
ওভারনাইট ওটস: রাতে দুধে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঠান্ডা করে ফল আর বাদাম দিয়ে খেতে পারেন।
সেভরি ওটস: নোনতা ওটস রান্না করে সবজি, ডিম দিয়ে খাওয়া যায়।
সাবধানতা-
ইনস্ট্যান্ট ওটস এড়ানো ভালো, কারণ তাতে অনেক সময় অতিরিক্ত চিনি বা প্রিজারভেটিভ থাকে।
ডায়াবেটিস থাকলে ফলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখা দরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিদিন এর ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে ইদানীং অনেকেই ভুগছেন পিঠের ব্যথায়। কিন্তু জানেন কি–ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে?
সারা দিন চেয়ারে বসে কাজকর্ম করতে গিয়ে আমাদের শরীরে জেঁকে বসে নানা রোগব্যাধি। পেশিতে টান ধরা, হাত-পায়ের যন্ত্রণা, হাড়ের বিভিন্ন রোগ–এসব তো আছেই; কিন্তু দিনের একটা বড় সময় চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে পিঠেও শুরু হয় ভীষণ যন্ত্রণা।
দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসে কাজ করেন কম্পিউটার বা ল্যাপটপে মুখ গুঁজে। রয়েছে বাড়ির হাজার কাজ। ফলে রাতে যখন বিছানায় গিয়ে বালিশে মাথা ঠেকান, সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়ে যায় নানা অঙ্গে ব্যথা। বিশেষ করে পিঠের ব্যথা। ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। বিভিন্ন বয়সের মানুষজন এ সমস্যায় এখন নিয়মিত ভুগছেন।
ব্যথা-বেদনা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ‘পেইন কিলার’ বা ব্যথার ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এভাবে নিজের মর্জিমতো ওষুধ ক্রমাগত খেলে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার বদলে উপায় থাকলে ব্যথা উপশমের জন্য নানা প্রাকৃতিক উপাদান বা পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে একটি মসলা, যা নিয়মিত খেলে কমতে পারে পিঠের ব্যথা।
একটি মসলায় মিলতে পারে এ সমস্যার সমাধান। নিয়ম করে তা খেতে হবে। তাহলেই আর সারা দিন ঘাড় নিচু করে কাজ করলেও কষ্ট হবে না।
কোন মসলায় কমে ব্যথা?
দারুচিনিতে রয়েছে নানা ধরনের উপকারী উপাদান। তাতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক সব রয়েছে। থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। সব কটি উপাদান মিলে শরীরের বিভিন্ন অংশে তৈরি হওয়া ক্ষত ঠিক করে। কমতে শুরু করে সব ধরনের ব্যথা।
কীভাবে খাবেন?
সাধারণত বাঙালি বহু রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তা নিয়মিত খাওয়া হয়ে ওঠে না। নিয়ম করে দারুচিনি খেতে হলে চায়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে খানিকটা আরাম মিলবে। রোজ সকালে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে চা খান। ক্রমেই কমতে থাকবে ব্যথার সমস্যা।
অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে সাইটটি। প্রতি মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকশ কোটি বার্তা আদান প্রদান হয়। তবে এতো সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে। যেমন সাধারণ কল রেকর্ড করা যায়। ফলে ব্যস্ত সময়ে কেউ যদি ফোনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন, তা নোট করতে না পারলেও সমস্যা নেই। কারণ রেকর্ডের কলটি শুনে নিলেই পরে তা আবার শুনে নেয়া যাবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ কল তো সরাসরি রেকর্ড করার কোনো সুযোগ নেই। আর এখানেই বাঁধে গোল। তবে সমস্যা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে সমাধানের উপায়ও।
হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করার খুব সহজ একটি উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন। কাউকে কল বা ভিডিও কল করুন। এবার ফোনের কুইক সেটিং বা কন্ট্রোল সেন্টারে যান। সেখানেই পাবেন স্ক্রিন রেকর্ডিং বাটন। অন করলেই রেকর্ডিং শুরু হয়ে যাবে। ফোন শেষ হলেই রেকর্ডিং বন্ধ হবে। এবার রেকর্ডিংটি সেভ করে নিলেই তা গ্যালারিতে মিলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমানে থাকা মানেই অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে বিভ্রান্ত না হওয়া। বর্তমানে থাকার আরেকটি অর্থ হচ্ছে নিজের সামনে যা কিছু আছে তার ওপর মনোনিবেশ করা। তা একটি পাখির কিচিরমিচিরের শব্দ হোক কিংবা এক কাপ কফির স্বাদ হোক-সেদিকে ইতিবাচক মনোযোগ দিতে পারলে নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত এবং সুখি ভাবতে পারবেন। নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার জন্য এই মুহূর্তে যা হচ্ছে, যা শুনতে পাচ্ছেন এবং যা দেখতে পাচ্ছেন তার দিকে মনোযোগ দেওয়া হতে পারে সবচেয়ে ভালো উপায়। আরো কিছু উপায়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে পারেন।
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস হতে পারে বর্তমানে থাকার অন্যতম সহজ উপায়। আপনার শরীরে বাতাসের প্রবেশ এবং প্রস্থানের দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন। এ জন্য কয়েকটি গভীর শ্বাস নিন। যা মনকে শান্ত করবে এবং বর্তমান মুহূর্তে কি ঘটছে সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। আপনার চিন্তাগুলো পর্যবেণ করুন: শুধুমাত্র চিন্তায় ডুবে না থেকে, সিনেমা দেখার মতো সেগুলো পর্যবেণ করার চেষ্টা করুন। দৃশ্যগুলো লক্ষ্য করুন দেখবেন সেগুলো মেঘের মতো একের পর এক ভেসে চলে যাচ্ছে। এতে আপনি বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ইন্দ্রিয়গুলো কাজে লাগান: মুহূর্তগুলো পরিপূর্ণভাবে বোঝার জন্য আপনার চারপাশকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করতে, শুনতে, স্পর্শ করতে, স্বাদ নিতে এবং গন্ধ নিতে কিছু সময় ব্যয় করতে পারেন। কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন: আপনি যে জন্য কৃতজ্ঞ, বা যার জন্য কৃতজ্ঞ তার ওপর মনোযোগ দিন। এতে নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। কার প্রতি কৃতজ্ঞ, কেন কৃতজ্ঞ এসব ভাবার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করতে পারেন। এতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে। বিচার করা ছেড়ে দিন: আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা এবং কাজকে কঠোরভাবে বিচার করি এবং একটি রায় দিয়ে থাকি। এই অভ্যাস ছেড়ে দিতে পারেন। আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলোকে গ্রহণ করুন। এই গ্রহণযোগ্যতা আপনার মনকে শান্ত করতে সহায়তা দেবে। সূত্র: মিডিয়াম