অনলাইন ডেস্ক :
বার্সেলোনা কচি-কাঁচার দল। স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে কাতালানদের শুরুর একাদশে ২২ বছর বা তার কম বয়সী ৬ জন ফুটবলার ছিলেন। অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে তাদেরই দুইজন গোল করেছেন। দলকে ২-০ গোলে জিতিয়ে তুলেছেন ফাইনালে।
বুধবার রাতে সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকোর জালে ম্যাচের ১৭ মিনিটে প্রথম গোল দেয় বার্সা। ২০ বছরের তরুণ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পাবলো গাভি দলকে প্রথমে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান ২-০ করেন লামিনে ইয়ামাল।
১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের ওই গোলেই ফাইনালে পা রাখে হানসি ফ্লিকের দল। ইয়ামালকে ওই গোলও করিয়েছেন স্পেনের ভার্সাটাইল মিডফিল্ডার গাভি। শুধু গোল দিয়ে নয় গাভি ও ইয়ামা নিয়ন্ত্রণ করেছেন পুরো ম্যাচ। তাদের রসায়নে কর্তৃত্ব করেই ফাইনালে গেছে বার্সা। যদিও অ্যাথলেটিকো বিলবাও ১০টি আক্রমণ তুলে গোলবারে দাঁড়ানো সেজনিকে ৫বার বেশ ভালোই পরীক্ষা দিয়েছেন।
১২ জানুয়ারি স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল মাঠে গড়াবে। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল মায়োর্কার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোসরা জিতলে ফাইনালে সুপার ক্লাসিকো অর্থাৎ রিয়াল ও বার্সার লড়াই দেখা যাবে। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনা রিয়ালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির (বিআরসি) আয়োজনে চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌঁড় হয়। এর মধ্যে ছিলো ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ২১ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারী দলটি স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পর্যায়ক্রমে রওনা দেয় ৫ এবং ১০ কিলোমিটারের দলটি এবং সর্বশেষ শিশুদের ২ কিলোমিটারের দলটি সোয়া সাতটায় রওনা দেয়। ২১ কিলোমিটারে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন। ১০ কিলোমিটারে ২০০ জন, ৫ কিলোমিটারে ৬০ জন ও ২ কিলোমিটারে ২০শিশু। এর মধ্যে ৩৫০ জন পুরুষ, ৩০জন নারী, ২০ জন শিশু এবং পাঞ্চাশোর্ধ ৩৬জন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা সড়ক (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে ছড়িয়ে পড়েন দৌড় প্রতিযোগীরা। নির্দেশিত পথে যাঁর যাঁর দূরত্ব অনুযায়ী তাঁরা ছুটে চলেন।
দৌড় শেষে শেখ হাসিনা সড়কের (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিমরাইলকান্দি সেতুর দক্ষিণপাশের একটি জমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান।
অংশগ্রহণকারী সবার জন্য একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট, সকালের নাশতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
মোট ৯ টি পর্যায়ে ২৭ জনের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি নগদ টাকা দেয়া হয়। সোনালী সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সসহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহায়তা করেন। মেডিকেল সহায়তায় ছিল নোভেল জেনারেল হাসপাতাল। ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক এই আয়োজন সফলে কাজ করেছেন।
এর আগে কনকনে হিম বাতাস আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলার দৌড় পাগল চার শ নারী-পুরুষ জড়ো হন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কেউ বয়সে তরুণ-তরুণী, কেউ শিশু। অনেকেই আবার বয়স্ক। তবে উচ্ছাসে সবাই সমানে সমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে দৌড়ানোর জন্য এসেছেন তাঁরা। ভোরের আগেই নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছিলো উৎসাহী মানুষের ভিড়ে জম। পরে বিজয়ীদের ট্রফি এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ব্যাডমিন্টন অঙ্গনে আজ শোকের একদিন। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আম্পায়ার নাজিব রাসেল ইসমাইল আর নেই। ভারতের গৌহাটিতে একটি আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই হোটেলে ঘুমের মধ্যে মারা গেলেন দেশের সেরা আম্পায়ার। মৃত্যুর আগে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
তার মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ও ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা আম্পায়ার রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারতের গৌহাটিতে একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ চলছিল। রাসেল বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের প্যানেলের আম্পায়ার হওয়ায় ম্যাচ পরিচালনা করতে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজ তার ম্যাচ ছিল। কোর্টে যখন সে আসছিল না, তখন আয়োজকরা হোটেলে যায়। রুম ধাক্কার পরও না খোলায় দরজা ভাঙা হয়। তখন তারা দেখেন রাসেল আর নেই।’
এছাড়া জানা যায়, বিশেষ কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলেন না তিনি। ব্যাডমিন্টনের কৃতি আম্পায়ার নাজিব রাসেলের মরদেহ আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।
আম্পায়ারিংয়ের পাশাপাশি ইসমাইল নজীব রাসেল ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটিতেও ছিলেন। ব্যাডমিন্টন নিয়ে তার বিস্তর পড়াশোনা। ব্যস্ততাপূর্ণ দৈনন্দিন জীবনেও তার দিনের অনেক সময় কাটে ব্যাডমিন্টনের বই পড়ে। সূত্র : যায়যায়দিন
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল শান্ত বাহিনী। কিন্তু সিরিজের প্রথম এবং মিরপুর টেস্টেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। যার ফলে প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।লক্ষ্য ছিল চতুর্থ দিন যতক্ষণ ও যত ওভার ব্যাটিং করা যায়। এই ক্ষণটা ভেঙে বললে একটা সেশন। কিন্তু সকালে ক্ষণের হিসেবে ২৫ মিনিটি এবং ৪.৫ ওভার স্থায়ী হলো বাংলাদেশের ইনিংস। দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখানো এবং আশা দেওয়া মেহেদী মিরাজ মিস করেন সেঞ্চুরি। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ১০৫ রানের লক্ষ্য। জিততে ৩ উইকেট হারালেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার।
বৃষ্টির পরে চতুর্থ দিনের উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা একটু ধীরে এগোবে এমনটা মনে হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার কথা মাথায় রেখে রান তোলার দিকেও বেশ মনোযোগ ছিল তাদের। যে কারণে ২২ ওভার ব্যাটিং করেই তারা তুলে ফেলেছে রান। এতে কেটেছে তাদের একটি ফাঁড়াও। এর আগে ২০১৫ সালে জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে এসে বৃষ্টির কারণে মিরপুর ও চট্টগ্রামে দুই টেস্টেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের।
মিরপুর টেস্টে টস জেতে বাংলাদেশ। অনুমিতভাবে ব্যাটিং করতে নামলেও প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরায়েনে ও পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাহিরে নিয়ে যান। মুলদার ৫৪ রান করে ফিরলেও ভারায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১৪ রানে থামেন।
প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ দল। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে ৩০৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। মিরাজ খেলেন ৯৭ রানের ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন। অভিষেক টেস্ট খেলা জাকের ৫৮ রান যোগ করেন। এছাড়া ওপেনার জয় ৪০ ও মিডলে মুশফিক ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় প্রোটিয়া ওপেনার টনি ডি জর্জি ৪১ রান করেন। অধিনায়কি এইডেন মার্করাম ২০ রানের ইনিংস খেলেন। ত্রিস্তান স্টাবস ৩০ রান যোগ করেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পক্ষে ৩ উইকেটই নেন তিনি। পেসার হাসান প্রথম ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন। স্পিনার কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও লাল্লারবাগ যুব সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্যের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াগাঁও শেখ আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাও ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন মৃধা বকুল।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবু সিদ্দিক মৃধা, মো. জুলকার নাইন, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. আব্দুল আমিন, মো. রাজ্জাক মৈশান, শাহজাহান নুরতাজ খাঁ, মো. সিরাজ মাস্টার, মো. আলী হোসেন মৃধা প্রমুখ।
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই হাডুডু খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন। খেলায় বড়দল ও ছোটদল নামে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিপুল উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ছোটদল জয়লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড় এবং বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং এর বিকাশ ও লালন করতে আমি এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে সবসময়ই চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এসময় খেলা দেখতে আসা সুলতানা মিয়া বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন খেলা দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। সবাইকে নিয়ে এই খেলা দেখার মজাই আলাদা। বিশেষ দিনে এমন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’ আরেক দর্শক রফিক মিয়া বলেন, ‘খেলা দেখতে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। মাঠে হাজার হাজার মানুষ। একসাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি,বন্ধুদের নিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। হা-ডু-ডু খেলা দারুণ আনন্দ দিয়েছে। এসময প্রখর রোদে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে মানুষ। খেলার মাঠে শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। যুব সমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রোধের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আনন্দ দিতেই হারিয়ে যাওয়া হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন খেলার আয়োজন করা হবে এমনটাই জানালেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।