অনলাইন ডেস্ক :
তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীদের স্বাবলম্বী করতে ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার জেলার ১৩টি উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল, মুরুং ও মনিপুরী সম্প্রদায়ের ৭৬০ জন অংশ নেন।
৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালকসহ জেলা কমান্ড্যান্ট উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী চলমান এই প্রশিক্ষণে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সংস্কারমুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে একজন সদস্যকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নতুন সিলেবাস ও যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যাতে বাহিনীর সামাজিক উন্নয়নের সকল পদক্ষেপের সুফল হতে কোন জনগোষ্ঠী বাদ না পড়ে।
এতে আরো বলা হয়, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশিক্ষণের আওতাধীন সদস্যদের পরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন থেকে বাহিনীর অন্যান্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ এবং ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক কাজে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মোতায়েন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুনারুঘাট উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৮টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দোকান মালিকদের। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ততক্ষণে দোকানে থাকা বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষীপুর বাজারে একটি দোকান ঘরে হঠাৎ করেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান তারা। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা জগ, মগ ও বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তেই থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় অন্তত ৮টি দোকানের মালামাল। দোকান মালিকদের দাবি আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের। যদিও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টশার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ রাশেদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এসময় তিনি ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে না আসার অনুরোধ করেছেন।
আজ ২৮ জুন বুধবার সকালে ঈদগাহে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ঢাকায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার লোক নামাজ পড়বেন। যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। গাড়ি কোথায় থামবে সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে অনেকদূর হেঁটে আসতে হবে তাই বৃষ্টির দিনে সবার সঙ্গে ছাতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আবহাওয়ায় যদি আরও বড় দুর্যোগ না হয় তাহলে মুসল্লিরা এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদের সময়টাতে জাতীয় ঈদগাহসহ গোটা রাজধানীজুড়ে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। কমিশনার বলেন, এবারে ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কয়েকস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, তবে অতীত ইতিহাসের বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের সব ইউনিট তৎপর রয়েছে।
ডিএমপি প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন ইউনিটের পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংও স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকবে। এছাড়া, অন্য কোনো হুমকি থাকাকালে সিটিটিসি প্রস্তুত থাকবে।
জাতীয় ঈদগাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডেরর মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। র্যাবও ফোর্স নিয়োগ করবে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাতে অনেকেই বাসা খালি রেখে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন, সেখানেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আশা করছি সে অবস্থা বজায় থাকবে। ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে যোগাগাযোগ থাকবে। কোনো তথ্য আমাদের জানালে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এটেন্ড করবে। তারপরেও যারা গ্রামে যাচ্ছেন, মূল্যবান সম্পত্তি খালি বাসায় না রেখে ঘনিষ্ঠদের বাসায় অথবা ব্যাংকে রেখে যান। যদিও পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে, তাও ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী থাকলে ঝুঁকি থেকে যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কসাইয়ের ছদ্মবেশে রেকি করে অপরাধের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে জানিয়ে দিন। যে কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
কমিশনার বলেন, ডিএমপির ৩২ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৩-৪ হাজার জনকে হয়তো ছুটি দিব। বাকিরা নগরবাসীর সেবায় ঢাকায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ঈদ নেই। আশা করি সবার নিরাপদে ঈদ উদযাপিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কমলাপুর থেকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন ধরেছে। তবে রেলওয়ে পুলিশ বলছে, এটি কোনো নাশকতা নয়।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এ আগুন ধরে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের এসপি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে আগুন নির্বাপন করা হয়।’
এসপি আনোয়ার বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সাইলেন্সার পাইপের ওপরে একটা চটের বস্তা ছিল। ফলে সাইলেন্সার পাইপের ধোঁয়া বেরোতে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে ধীরে ধীরে ওই বস্তায় আগুন লেগে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টের পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে আগুন নির্বাপন করে। পরে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।’
নাশকতা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে নাশকতা মনে হয়নি। নাশকতার কোনো ঘটনার নয়। সাইলেন্সারের পাইপ থেকে নির্গত ধোঁয়া বস্তায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আগুন লেগেছিল। পরে তাৎক্ষণিক নেভানো হয়েছে। কোনো হতাহত নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি, গাছপালা, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। এদিকে বিরিশিরি সড়কের ঘোড়াইত নামক স্থানে চলন্ত অটোরিক্সায় গাছ পড়ে গুরুতর আহত আদম আলী ফকির (৫০) নামের এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ ২ জুন শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত আদম আলী ফকির উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বন্দসাংসা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে।
এর আগে ১ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
জানা গেছে, হঠাৎ করে ঝড়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের দশাল গ্রামের রুবিনা বেগম, আবু রায়হান, হক মিয়া, এমদাদুলসহ আরো অনেকেরই বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও তুমুল বৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলাসহ বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বেগে বয়ে চলা বাতাসে উড়ে গেছে সদর ইউনিয়নের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাল।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পৌর শহরের দশাল এলাকার হক মিয়ার স্ত্রী দোলনা বেগম বলেন, ‘আমার একটি মাত্র টিনের ঘর। হঠাৎ করেই ঝড় চলে আসে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো ঘর ভেঙে গেছে।
পোলাপাইনগুলারে নিয়ে এই ঝড়ের মধ্যেই অন্য বাড়িতে গিয়ে উঠছি। স্বামী ঢাকায় কাজ করেন। ৪ সন্তান নিয়ে এই ঘরেই থাকতাম।’
একই এলাকার আবু রায়হান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড রোদ আজো রোদ থাকলেও হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের শুরুতেই প্রথমে আমার ঘরের বারান্দা উড়িয়ে নিয়ে যায় এরপর মুহূর্তেই ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঘরের ভিতরে থাকা সবাইরে নিয়ে অন্যস্থানে আশ্রয় নিতে পেরেছিলাম তাই কারো ক্ষতি হয় নাই।’
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মানির হোসাইন মানিক বলেন, ‘ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে গিয়ে আমি সবার খোঁজ নিচ্ছি।’
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে অনেক ঘরবাড়ি ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘ঝড়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।