অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন আগামী ২০ জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুখপাত্র পলা পিনহো জানিয়েছেন, ‘আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়নি এবং শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাও নেই। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের আশা করছি।’
প্রথাগতভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, ভন দার লিয়েন সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। চার বছর আগে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ইউরোপীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা চান, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বিরুদ্ধে কোনো অস্বস্তিকর সমঝোতা চাপিয়ে না দেয়।
এছাড়া ট্রাম্পের সম্ভাব্য বাণিজ্য শুল্ক আরোপ নিয়েও ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে দখলের ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
ভন দার লিয়েন বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সুরক্ষায় ইইউ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং আমরা ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চাই।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
নথিপত্রহীন অভিবাসীদের আটকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ বাংলাদেশিকে। অভিবাসী ধরপাকড়ে সাঁড়াশি অভিযান স্কুল-গির্জা-হাসপাতালেও চালানো হবে। সংবেদনশীল এই স্থানগুলোতে অভিবাসী আটক কার্যক্রমের ওপর থেকে এক দশকের বেশি সময়ের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে এ সকল স্থানে ধরপাকড়ে আর কোনো বাধা নেই। অভিবাসীরা এ সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাল বিলম্ব করেননি। শপথ নিয়েই শক্ত হাতে অবৈধ অভিবাসী দমন শুরু করেছেন তিনি। ধরপাকড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঙ্গরাজ্যে। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এর মধ্যে চার বাংলাদেশি রয়েছে।
নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে ওই চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট-আইস। জানা গেছে, পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। এ ঘটনার পর বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকার সড়ক ও রেস্তোরাঁয় লোকজনের ভিড় নেই বললেই চলে। চরম আতঙ্কে বৈধ কাগজপত্র বিহীন অভিবাসীরা।
এদিকে এখন থেকে স্কুল, গির্জা এমনকি হাসপাতালগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের গ্রেফতার করতে পারবে। আইস এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থাগুলোর ওপর গেলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এসব স্থানে অভিযান পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করাসহ জারি করা হয় নতুন নির্দেশনা। এতে উল্লেখ করা হয় সংবেদনশীল স্থানগুলোতে যাতে কেউ লুকিয়ে না থাকতে পারে এ জন্য নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়। অপর নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় হয়, বৈধ কাগজপত্র না থাকা কেউ গ্রেফতার হলে সেই ব্যক্তি যদি যুক্তরাষ্ট্রে দু’বছরের বেশি সময় ধরে তার অবস্থান প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুতই দেশ থেকে বের করে দিতে পারবে।
এদিকে, সংবেদনশীল স্থানগুলোতে গ্রেফতারের অনুমতি দেয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন আইনজীবীরা। সেন্টার ফর ল অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসি এক বিবৃতিতে জানায়, এই পদক্ষেপের কারণে অভিবাসীদের পরিবার ও তাদের সন্তানের পাশাপাশি মার্কিন শিশুরাও মারাত্মক মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে পারে।
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে দুইটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। ব্ল্যাকস বিচের কাছে ওই নৌকা দু’টি সমস্যার মুখে পড়ার পর অনুসন্ধান শুরু হয়, তবে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছার আগেই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
আজ ১৩ মার্চ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি পরিষেবাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯১১ নম্বরে কল করে একজন নারী মার্কিন জরুরি পরিষেবাকে জানান- তিনিসহ আটজন একটি নৌকায় রয়েছেন এবং তীরে পৌঁছেছেন। কিন্তু অন্য একটি নৌকায় আট থেকে ১০ জন লোক রয়েছে এবং সেটি ডুবে গেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় তারা নিহতদের জাতীয়তা বা তারা ঠিক কোন দেশের নাগরিক তা জানেন না, তবে তারা (নিহতরা) সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে নৌকাডুবির এই ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়।
সান দিয়েগো লাইফগার্ড’র প্রধান জেমস গার্টল্যান্ড বলেছেন, বালির বার এবং স্রোতের কারণে ওই এলাকাটি ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। উদ্ধারকারীরা কোনো জীবিতকে খুঁজে পায়নি, তবে কেউ কেউ জরুরি পরিষেবা আসার আগেই হয়তো সৈকত ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
সান দিয়েগো কোস্ট গার্ডের সেক্টর কমান্ডার জেমস স্পিটলার বলেছেন, ছোট নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে ‘ঢেউয়ের মধ্যে সেটি উল্টে যায়’। তবে, অন্যটি তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এর আগে ২০২১ সালে সান দিয়েগোর উপকূলে একটি নৌকা দুর্ঘটনার শিকার হলে চারজন মারা যায়। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও দুই ডজন মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছে বলেন, বৈঠকে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই দেশে একই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় পারস্পারিক সম্পর্কের মাত্রা আরো দৃঢ় হবে। যার মাধ্যমে উপকৃত হবে উভয় দেশের মানুষ।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেয়ার পরই নরেন্দ্র মোদির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দুই নেতা একে অপরের খোঁজ-খবর নেন। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান নরেন্দ্র মোদি, যোগ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুরের দেওয়া নৈশভোজে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জিরাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের এটিই প্রথম চালান। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন জিরা আমদানি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। সোমবার মেসার্স পড়শী ইমপেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫ টন জিরা আমদানি করেছে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এম. টি. ই. এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি কেজি ৩ দশমিক ৪৯ ডলার মূল্যে এসব জিরা রফতানি করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনিয়মিত ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জিরা আমদানি হয়েছে। এর মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য আবারও সচল হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পিয়ার্স মরগানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শান্তি সংলাপে বসতে তিনি প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যদি ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং প্রাণহানি ঠেকানোর এই একটি মাত্র পথই খোলা থাকে, সে ক্ষেত্রে আমি বলব, আমরা এই সেটআপে যেতে এবং শান্তি সংলাপে বসতে প্রস্তুত।
পুতিনের সাথে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে নিজের পূর্ব অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন জেলেনস্কি। কারণ এর আগে তুরস্ক, বেলারুশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেশ কয়েকবার রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি সংলাপের জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। জেলেনস্কি সেসব আহ্বান ও আয়োজনে সাড়া দেননি। মঙ্গলবার জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ৪৫ হাজার ১০০ সেনা নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার। যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপরিসীম– বলেন তিনি। এদিকে কিয়েভের জন্য শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে নতুনভাবে ৬ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা করবে লন্ডন। গতকাল বুধবার ইউক্রেন সফরকালে এ বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ঘোষণা দেবেন।
ল্যামি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। যে কোনো ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে শক্তিশালী পর্যায়ে নিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।