চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালী-ঢাকা পথে চলাচলকারী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ১১ জানুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়ায় আসার পর একটি যন্ত্র (কাপলিং) ভেঙে যায়। মেরামত শেষে প্রায় ২০ মিনিট পর ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবামূলক ফেসবুক গ্রুপ ও এর সাথে জড়িত একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এসময় সংশ্লিষ্টরা ‘ঠ’ ও ‘ড’ বগির মাঝের কাপলিং ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে যান্ত্রিক বিভাগের লোকজন এসে এটি মেরামত করেন। পরে ৯টা ৪৩ মিনিটে আখাউড়া ছেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ট্রেনটি এক ঘণ্টা পর যাত্রা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা-আখাউড়ার দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র পিতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মরহুম অ্যাড. সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া এঁর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আলোচনা সভা ও মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, মোঃ সেলিম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, সিরাজুল হক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌসুলি। বক্তারা সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়ার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
টিউবওয়েলের মাথা (মাটির উপরের অংশ) নেই ৬/৭ মাস ধরে। কে বা কারা খুলে নিয়ে। এরপর আরলাগানো হয়নি। টিউবওয়েল না থাকায় পানি পানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের দুতলায় পানির ব্যবস্থা রাখা হলেও অনেকটা হেঁটে সিঁড়ি ভেঙ্গে দুতলায় গিয়ে পানি পান করা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর। আবার অনেক সময় জগে পানিও থাকে না। ফলে তৃষ্ণা পেলে বিদ্যালয় গেইটের বাইরে চা-দোকানে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। তবে ছাত্ররা বাইরে যেতে পারলেও ছাত্রীরা পারে না। ফলে তৃষ্ণা চেপেই ক্লাশে বসে থাকতে হয়। পানির অভাবে বিড়ম্বনায় পড়েন বিদ্যালয়ে অপেক্ষমান অভিভাবকরা। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের। দ্রুত টিউবওয়েল স্থাপনের দাবী ছাত্রছাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীণ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির বয়স শত বছরেরও বেশি। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের পাশাপাশি স্থানীয় ছেলে-মেয়েরাও এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। উপজেলার একমাত্র সরকারি স্কুল এবং ফলাফল ভালো হওয়ায় এ স্কুলে পড়ার জন্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে এক হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এত বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পানির পানের জন্য একটি টিউবওয়েল নেই। বিগত ৬/৭ মাস আগে টিউবওয়েলের উপরের অংশটি কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। এর পর আর মাথা লাগানো হয়নি। এজন্য পানি পান সহ অন্যান্য প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করতে পারছে না ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। পানি পানের জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে চা-স্টল এবং মসজিদের টিউবওয়েল ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মেয়েরা বাইরে যেতে না পারায় পানির জন্য বেশি কষ্ট করছে। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুতলায় জগে পানি রাখা হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনে দুতলায় গিয়ে পানি খেয়ে আসতে পারে। তবে ছাত্রছাত্রীর তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়। অনেক সময় জগের পানি শেষ হয়ে গেলে পানির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার অনেক সময় পানি না পেয়ে ফিরে আসতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এদিকে, তীব্র গরমে হঠাৎ একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত পানি দেওয়ার মত কোন ব্যবস্থা নাই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টিউবওয়েলের উপরের অংশটি নাই। জানতে চাইলে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বলে, ৬/৭ মাস ধরে টিউবওয়েল নষ্ট। পানি খেতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। খেলাধুলা করার পরে হাত-পা ধুতে পারি না। দুতলায় গিয়ে অনেক সময় পানি পাই না। এসময় এক নারী অভিভাবক বলেন, গরমের মধ্যে খুব পানি তৃষ্ণা পায়। কিন্তু স্কুলের টিউবওয়েল না থাকায় পানি খেতে পারি না। হঠাৎ একটা ছেলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যে পানি দেওয়া তবে সে রকম ব্যবস্থাও নাই। একটা সরকারি স্কুলে এতদিন যাবত টিউবওয়েল নষ্ট। এটা কি শিক্ষকদের নজরে পরে না। তিনি দ্রুত টিউবওয়েল মেরামতের জন্য দাবী জানা।
এদিকে পানির পানের গুরুত্ব বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান বলেন, পানির অপর নাম জীবন। পানির অভাবে শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাব জ্বালাপোড়া ইনফেকশন হতে পারে। কিডনি ফেইলিউরও হতে পারে। তাছাড়া এখন তীব্র গরমে প্রচুর ঘাম বের হচ্ছে। তাই এসময় প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এ ব্যাপারে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদেরকে বলেছি বাড়ি থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে আসার জন্য। তাছাড়া দুতলায় জগে পানি রাখা থাকে। ছাত্রছাত্রীরা এসে পানি পান করে। টিউবওয়েলটি কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। আবারও করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অজ্ঞাত পুরুষ (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মৃত ব্যক্তিকে ভিক্ষুক বলে ধারনা করছে পুলিশ।
আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ নফিল বলেন সকালে মৃতদেহ দেখতে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই।
প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুক বলে ধারনা করছি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করতে পিবিআইকে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাতে বন্যায় ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন ৩০ পরিবার পেয়েছেন আর্থিক সহায়তা।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ৩০টি পরিবারের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া বন্যায় মারা যাওয়া সুবর্ণ আক্তারের স্বামীকেও সম পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু, আয়োজকদের পক্ষে সুজন চৌধুরী, মো. মাসুম, শিক্ষার্থী আসিফ খান, ফখরুল হাসান সরকার প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, বন্ধুদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তারা এই টাকা বিতরণ করেছেন। বন্যার্তদের পাশে থাকতে পেরে তারা খুবই খুশি। সহায়তা পাওয়া বঙ্গেরচর গ্রামের আয়েশা আক্তার বলেন, বন্যায় আমার মাটির ঘরের ক্ষতি হয়। পানি কমলেও ভয়ে ঘরে উঠতে পারছি না। এই সহায়তার টাকা ঘর মেরামতের কাজে লাগাবো।