অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আবারও বেড়েছে। ক্ষমতার মেয়াদ আরো ৬০ দিন বাড়িয়ে আজ ১২ জানুয়ারি রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ দুমাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদেশিদের পরামর্শে নয়, নিজেদের প্রয়োজনে ও দেশের বাস্তবতায় শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলওর বিশেষজ্ঞ টিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের তিনদিনের টানা আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা শ্রম আইন সংশোধন করছি। তবে আইএলওর সুপারিশ অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধনে কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে। সুপারিশগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় শ্রমিক অধিকার, যেটি বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আইন সংশোধনে সরকারের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএলও। তাদের সুপারিশগুলোর মূল উদ্দেশ্য শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের করা। শ্রমিক সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার ক্ষেত্রে শতভাগ শ্রমিকের সম্মতির ব্যাপারে তাদের সুপারিশ থাকলেও ১৫ শতাংশের সম্মতি নেওয়ার বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনি-মিনি খেলতে দেওয়া হবে না, আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ‘সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না; যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। আমরা অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাসকে আর বরদাস্ত করব না। এটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।’
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আজ ৩১ জুলাই সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনি-মিনি খেলতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখবেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তবে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকবে।’
তিনি বলেন, জীবনে সমস্যা আসবে এটা স্বাভাবিক, তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই শক্তি (মনোবল) নিয়ে এগিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমি এটি বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে, এমনকি দুস্থ সম্প্রদায়েরও। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুর্দশা গ্রামীণ এলাকায় প্রায় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।পাশাপাশি তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের সর্বদা উদ্ভাবনী ধারণা খুঁজে বের করার এবং তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। থানার ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওসিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। ২০ জুন তাদেরকে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক। বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
বাদী মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ী।
বাদী মজিবুর ও এজাহার সূত্র জানায়, শাহজাহানদের সঙ্গে মজিবুরদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে শাহজাহান তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন জেল খেটে মজিবুর জামিনে মুক্ত হয়। এদিকে তিনি জেলে থাকাকালীন ২৪ এপ্রিল শাহজাহানরা তার (মজিবুর) দোকানের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে। একপর্যায়ে তারা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে জেল থেকে বের হয়ে ৪ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা দায়ের করে। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেফতারি পরোয়ানা নথিভুক্ত করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার রাত ৩টার দিকে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেন।
একইদিন সকাল ৬টায় শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাসার সামনে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন। এ নিয়ে বাদী পরিবার নিয়ে আতংকে রয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোন চিঠিও পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের জামিন হওয়ায় সারাদেশে ব্যক্তিগত চেম্বার ও অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। আজ ১৯ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব অল সোসাইটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সোসাইটি অব সার্জনসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হসপিটালে দুই চিকিৎসক ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় চিকিৎসকদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। তাই আজ থেকে সারাদেশে চিকিৎসকের চেম্বার ও অস্ত্রোপচার শুরু হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা।
এর আগে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের কার্যালয়ে সেন্ট্রাল হসপিটালের ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তারের বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে তিন দিনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। রবিবার সারাদেশে মানবন্ধন এবং সোমবার ও মঙ্গলবার সারাদেশে বেসরকারি চেম্বার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুতুবদিয়ায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমার নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইট ও ধূরুং বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, অভিযানে লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও অপরিষ্কার প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় নিউ মেডিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা, ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা এবং নিরুপম সেবা কেন্দ্রকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, উপজেলার তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসাধারণের স্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক রেজাউল হাসানসহ পুলিশের একটি দল।