চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পাডায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। বলেছে সকল রাজনৈতিক দল সহ অংশিজনের মাধ্যমে তারা জুলাই বিপ্লবে ঘোষণা পত্র ঘোষণা করবে। আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই জুলাই আন্দোলনকে বেগবান করেছে এবং সমর্থন দিয়েছে আমাদের ছাত্রজনতা, দেশের খেটে-খাওয়া মানুষ সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষের কথা যেন এই ঘোষণাপত্রে থাকে। এই নতুন বাংলাদেশ হবে সকলের। এখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল। এই উদ্দেশ্যে আমরা গণসংযোগ চালাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বুশরা আক্তার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এই প্রচারণা শুরু করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষণাপত্র স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০২৪ কেন পাবে না? ২০২৪ তো ২২ হাজার আহত ভাই-বোন আছে, আড়াই হাজার শহীদ হয়েছেন। দেখা যাবে আগামী ৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আর জানতে পারবে না এই বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানের কথা। আমরা চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের শহীদ ও আহত ভাইদের কথা জানুক। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাই আমরা সবার মতামত চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ফ্রি ডায়াবেটিস চেক-আপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে শহরের বর্ডার বাজারে ব্রাদার্স ক্লাব প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
ক্লাবের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন প্রফেসর ডাঃ মো রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন এটিএম ফয়েজুল কবির এমজেএফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব ট্রেজারার লায়ন শরিফুল হক, যুগ্ম ট্রেজারার লায়ন স্বপন কুমার দেবনাথ, লিও এডভাইজর লায়ন আর্কিটেক্ট মো রুবেল মিয়া। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ১২৫ জনের ডায়াবেটিস চেক-আপ করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা করেন ঐশী, আরশী, আরিয়ান, মুতাসিম বিল্লাহ ও আবুল খায়ের। এছাড়াও স্থানীয় বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের ৪৯ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ মাঠে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মরিয়ম আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি এড. মো হাবিব উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ কমিটির সদস্য এ. বি. এম. তৈমুর, সদস্য তাসমিয়া সুলতানা, সদস্য ডা. শারমিন সুলতানা, সদস্য ডা. মো. গোলাম সারোয়ার এবং সদস্য মোসলেহ উদ্দিন।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল ও ব্যাংক কর্মকর্তা কুলসুম আক্তার বৃষ্টি প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ নাছরিন আক্তার। সকল অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়, এরপর জাতীয় সংগীত এবং বিদ্যালয়ের সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য, সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন, যা উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শকদের আকর্ষন করে।
এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৫টিরও বেশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক বিষয় যেমন নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত, চিত্রাঙ্কনে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন-শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক। ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে।
সপ্তাহ ব্যাপী পুরো আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সাজসজ্জ্বায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো রিয়াজ উদ্দিন মুন্সি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শারমিন ফেরদৌস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার ৫শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ও উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেছেন, একটি পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখনো কোন প্রকল্প পাস কিংবা অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাহলে অনিয়ম হল কোথায়? তারা রাজনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোতিভাবে এমনটি করছেন।
তিনি আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষ থেকে দেয়া এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের কার্যকালে রাজস্ব ও এডিপির বরাদ্দে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি সরকারি নিবন্ধনবিহীন মাদ্রাসার নামে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও-কালিসীমা গ্রামের শতাধিক প্রকল্পের নামে কয়েক কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, অনুসন্ধ্যানে জানতে পেরেছি, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ দারুল উলুম মাদ্রাসার নামে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ১ কোটি ৫৫লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। একই সময়ে জেলা পরিষদের সদস্য সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া সদর উপজেলার কালিসীমা-শালগাঁও গ্রামে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনয়নসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূয়া প্রকল্প বরাদ্দ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নাসিরনগর উপজেলা থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য ফারুকুজ্জামান ফারুক উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি গ্রামে এভাবে বরাদ্দ দিতে পারে না। একইভাবে একটি প্রকল্প শেষ হতে না হতেই একই প্রতিষ্ঠানে বার বার বরাদ্দ দেওয়া যায় না। যা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের নির্বাচিত ৮জন সদস্য স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (আল-মামুন সরকার) বিধি বহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে নির্বাচিত সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
তিনি নিজ ক্ষমতাবলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে চার লাখ টাকা, মেয়রকে চার লাখ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে তিন লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেছেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ও এডিপির বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা ২০২২ এর পরিপন্থী।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল গেজেট বিপ্তপ্তিতে জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর অধিকতর সংশোধনীর প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের প্রণীত ২০২২ সালে ১০ নং আইন মোতাবেক প্রত্যেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ক্ষেত্রমতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য।
এছাড়া জেলা পরিষদের এডিপি ও রাজস্ব খাতের অর্থে প্রকল্প গ্রহন, বাস্তবায়ন ও বন্টন নীতিমালা ২০০০ এর ৩ ধারা এর ৩ মোতাবেক জেলা পরিষদের প্রকল্প প্রণয়নের সময় জেলাধীন সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসংখ্যার সংখ্যানুপাতে প্রকল্প গ্রহন ও অনুমোদন করতে হবে। সেই অনুসারে তাদের প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
আল মামুন সরকার বলেন, তাদের অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ পরিষদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাব দিলে সেটি পরবর্তী সভায় পাস হবে। পরবর্তী সভা এখানো হয়নি। অনুমোদনের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় সেই প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিবেন। পরে দরপত্র আহবান করা হবে। যার কোনো কিছুই এখনো হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যদি কোন অনিয়ম করি তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখবেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আজিজ ও রুমানা ফেরদৌসিসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য (সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত) ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মোঃ বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ বছরে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দিয়েছি। সকল প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অবহেলিত ও যাদের প্রয়োজন তাদেরকেই প্রকল্প দিয়েছি। সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়। উল্লেখ্য মোঃ বাবুল মিয়া জেলা পরিষদের বিগত পরিষদেও সদস্য ছিলেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমকে কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কালোব্যাজ ধারণ, কবর জিয়ারত, পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে জীবন ফাউন্ডেশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৪২তম ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও শহীদ পলু দিবস উদযাপিত হয়েছে। জীবন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পশ্চিম পাইকপাড়াস্থ অসুস্থ সাংবাদিক মোঃ মোখলেছুর রহমান জীবন এর উপস্থিতিতে জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মোঃ আসিফুর রহমান রোজেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, মাসিক ম্যাগাজিন তিতাস বার্তা সম্পাদক এম এ মতিন সানু, সাংস্কৃতিক সংগঠক মো. আনিছুল হক রিপন।
জেলা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এড. শেখ মো. জাহাঙ্গীর, অবঃ সৈনিক কল্যাণ সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ শামসুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জি এস) মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জিয়া কারদার নিয়ন। জেলা আন্দোলনে শহীদ ওবায়দুর রউফ পলু’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ জায়েদুল করিম। আলোচকগণ তাদের বক্তব্যে ১৯৮৩ সালে সংগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলনের ইতিহাস জানার জন্য বর্তমান প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় ভোরে ফজর নামাজের পর জেলা সদরের বিভিন্ন মসজিদে জেলা আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী ওবায়দুর রউফ পলু’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত, সকালে জেলা উন্নয়ন পরিষদ নেতাকর্মীদের কালোব্যাজ ধারণ, শহরতলীর শেরপুরস্থ পলু’র কবর জিয়ারত, তাঁর পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুছ মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ সারোয়ার কাইছার টিপু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুর রহমান, এড. তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক ফ্রন্টিয়ার সম্পাদক আব্দুল মালেক, লায়ন মোঃ আসিফুর রহমান রোজেন, মানবাধিকার কর্মী মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল, এড. কফিল উদ্দিন আহমেদ।
সাংস্কৃতিক সংগঠক আনিছুল হক রিপনের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, শামছুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মাউন পিয়াস, কার্যকরী সদস্য এড. শেখ জাহাঙ্গীর, মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোঃ মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, ইউনেস্কো ক্লাব সভাপতি আমির হোসেন ফারুক, জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটন, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন মালদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ। কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাবেক প্রচার সম্পাদক হাফেজ শাহ মোহাম্মদ উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন শহীদ ওবায়দুর রউফ পলু’র নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, শহীদ পলু সড়ক নামকরণ কার্যকর বাস্তবায়ন, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও পাবলিক মেডিকেল কলেজ, জেলা পর্যায়ের যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হয়নি তা দ্রুত এখানে চালু করার দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি আনুকূল্য পেলে শহীদ পলু ছাত্রাবাসটি সংস্কার বা পুণঃনির্মাণ করে নতুন ভাবে চালু করা হবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখনো অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড হতে বঞ্চিত রয়েছে। জেলা উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে বলে আমি আশাবাদি। দোয়া শেষে তাবারুক বিতরণ করা হয়।