হজরত ওমর (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

ধর্ম, 12 January 2025, 476 Views,

ওমর ফারুক ফেরদৌস
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) আল্লাহর রাসুলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান একজন সাহাবি। ইসলামের আবির্ভাবের কয়েক বছর পর ইসলাম গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে তিনি সাহাবিদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিতে পরিণত হন। সাহাবিদের মধ্যে আবু বকরের (রা.) পরই ছিল তার অবস্থান। নবিজি (সা.) তাকে ও আবু বকরকে সাহাবিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন এবং তাদের অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ওহাব আস-সুয়ায়ী থেকে বর্ণিত আলী (রা.) একদিন খুতবা দিতে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, আপনারা কি জানেন নবিজির (সা.) পর এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি কে ? সবাই বললেন আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি বললেন, না, নবিজির (সা.) পর এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আবু বকর, তারপর ওমর। (মুসনাদে আহমদ: ৮৩৪)

banner

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সা.) বলেছেন, আমার পরে আপনারা আমার সাহাবিদের মধ্যে আবু বকর ও ওমরের অনুসরণ করুন। (সুনানে তিরমিজি: ৩৬৬৩)
ইসলামের আবির্ভাবের পর প্রথম কয়েক বছর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি। অন্যান্য মক্কাবাসীর মতো তিনিও ইসলামের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি কুরাইশদের একতায় বিশ্বাস করতেন এবং ইসলামের উত্থানকে কুরাইশদের মধ্য বিভাজন সৃষ্টির কারণ হিসেবে বিবেচনা করতেন। এক পর্যায়ে তিনি নবিজিকে (সা.) হত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বলে কিছু কিছু বর্ণনায় পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।

তিনি কততম মুসলমান ছিলেন এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। অনেকের মতে তিনি ৩৯ জন পুরুষ এবং ২৩ জন নারীর ইসলাম গ্রহণের পরে ইসলাম গ্রহণ করেন। অন্য একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, তিনি ৪০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারীর পরে ইসলাম গ্রহণ করেন। আরেকটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, তিনি ৪৫ জন পুরুষ এবং ২১ জন নারীর পরে ইসলাম গ্রহণ করেন।

নিজের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের আগে একদিন আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খুঁজতে বের হলাম। দেখলাম তিনি আমার আগেই মসজিদে হারামে পৌছেছেন, আমি তার পেছনে দাঁড়ালাম। তিনি সুরা আল-হাক্কাহ পড়া শুরু করলেন। কোরআন কীভাবে আমার হৃদয়কে আকৃষ্ট করছে, তা দেখে আমি অভিভূত হলাম। মনে মনে বললাম, কুরাইশরা যেমন বলেছে, ইনি নিশ্চয়ই কবি। পরক্ষণেই তিনি পড়লেন,

إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ. وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ قَلِيلًا مَّا تُؤْمِنُونَ

নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রাসুলের আনীত বাণী। এটা কোনো কবির কথা নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর। (সুরা হাক্কাহ ৪০, ৪১)

এরপর আমি মনে মনে বললাম, ইনি একজন গণক বা জ্যোতিষী হতে পারেন। পরক্ষণেই তিনি পড়লেন,

وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْأَقَاوِيلِ لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِينِ ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ فَمَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَاجِزِينَ

এবং কোনো গণকের কথাও নয়। তোমরা কমই উপদেশ গ্রহণ কর। এটি সৃষ্টিকুলের রবের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত। যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত, তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম। তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম। তারপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, তাকে রক্ষা করতে পারবে। (সুরা হাক্কাহ: ৪২-৪৭)

এভাবে তিনি পুরো সুরাটি শেষ করলেন এবং ইসলাম আমার অন্তরে পরিপূর্ণভাবে বদ্ধমূল হলো। (মুসনাদে আহমদ: ১০৭)

অন্য একটি বর্ণনায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি হজরত ওমরকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে কেন ফারুক নামে ডাকা হয়? ওমর (রা.) বললেন, হামজা (রা.) আমার তিন দিন আগে ইসলাম গ্রহণ করেন। আবু জাহল নবিজিকে (সা.) গালি দিয়েছিলেন। হামজা (রা.) এ খবর পেয়ে নিজের ধনুক নিয়ে মসজিদুল হারামে আসেন এবং কুরাইশের একটি মজলিসে আবু জাহলের সামনে দাঁড়িয়ে যান। হামজার চেহারায় ক্রোধ দেখে আবু জাহল বলেন, কী হয়েছে, আবু উমারাহ? তখন হামজা ধনুক দিয়ে আবু জাহলের কপালে আঘাত করেন, যার ফলে কপাল থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। কুরাইশের অন্যরা পরিস্থিতি শান্ত করতে সচেষ্ট হয়, যাতে বিশৃঙ্খলা আর না বাড়ে।

নবিজি (সা.) তখন দারুল আরকামে আত্মগোপনে ছিলেন। হামজা (রা.) সেখানেই গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।

তিন দিন পর আমি বাইরে বের হলে এক মুসলমান ব্যক্তিকে দেখে বলি, তুমি কীভাবে নিজের বাপ-দাদার ধর্ম ত্যাগ করে মুহাম্মাদের অনুসরণ করলে? সে বললো, আমি কী করেছি তা না ভেবে নিজের পরিবারের কথা ভাবো। তোমার বোন ও বোনজামাইও ইসলাম গ্রহণ করেছে।

এ তথ্য শুনে আমি ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের বাড়িতে যাই এবং কোরআন তিলাওয়াতের শব্দ শুনতে পাই। ঘরে ঢুকে আমি জিজ্ঞাসা করি তোমরা কী করছিলে? কথাবার্তার এক পর্যায়ে আমি বোনজামাইয়ের মাথা চেপে ধরে আঘাত করি, তিনি রক্তাক্ত হয়ে যান। তখন আমার বোন আমাকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেন এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি। আপনি যা খুশি করতে পারেন।

বোনজামাই রক্তাক্ত হয়ে গেছেন দেখে আমি লজ্জিত হই এবং বলি, আমাকে ওই পাণ্ডুলিপি দেখাও। কিন্তু আমার বোন বলেন, এটি শুধুমাত্র পবিত্র ব্যক্তিরাই স্পর্শ করতে পারেন। তখন আমি গোসল করি। তারা আমাকে পাণ্ডুলিপিটি দেন। আমি পড়া শুরু করি,

الۡعُلٰی اَلرَّحۡمٰنُ عَلَی الۡعَرۡشِ اسۡتَوٰی لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَهُمَا وَ مَا تَحۡتَ الثَّرٰی وَ اِنۡ تَجۡهَرۡ بِالۡقَوۡلِ فَاِنَّهٗ یَعۡلَمُ السِّرَّ وَ اَخۡفٰی اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ لَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی

ত্ব-হা। আমি তোমার প্রতি আল-কুরআন এজন্য নাযিল করিনি যে, তুমি দুর্ভোগ পোহাবে বরং যে ভয় করে তার জন্য উপদেশ স্বরূপ। যিনি সমিন ও সুউচ্চ আসমানসমূহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট থেকে অবতীর্ণ। পরম করুণাময় আরশের ওপর সমুন্নত রয়েছেন। যা আছে আসমানসমূহ, জমিন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং যা আছে মাটির নিচে সব তাঁরই। আর যদি তুমি উচ্চস্বরে কথা বলো তবে তিনি গোপন ও অতি গোপন বিষয় জানেন। আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই। (সুরা ত্বহা: ১-৮)

আয়াতগুলো পড়ে আমি বিস্মিত হয়ে ভাবলাম, এই বাণী থেকে কোরাইশ পালিয়ে বেড়াচ্ছে! তারপর আমি ইসলাম গ্রহন করলাম এবং বললাম আল্লাহর রাসুল (সা.) কোথায়? আমার বোন বললেন, তিনি দারুল আরকামে আছেন।

আমি সেখানে গিয়ে দরজায় আঘাত করলাম। আমাকে দেখে অন্য সাহাবিরা ভীত হয়ে যান। হামজা (রা.) বলেন, তোমাদের কী হলো? তারা বলেন, ওমর এসেছে। হামজা (রা.) বলেন, দরজা খুলে দিন, যদি তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে তাকে স্বাগত জানাব আর যদি তিনি কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এখানে এসে থাকেন, তবে তাকে হত্যা করব। এসব কথা শুনে নবিজি (সা.) বাইরে আসেন এবং আমি তার সামনে কালেমা পাঠ করি। আমাকে কালেমা পাঠ করতে শুনে ঘরের সবাই আনন্দে তাকবির দেন, যার আওয়াজ পুরো মক্কা শহর শুনতে পায়। (তারিখে ইবনে আসাকির)

ওমর (রা.) ইসলাম গ্রহণের পর মক্কায় মুসলমানদের প্রভাব ও শক্তি বেড়ে যায়। বর্ণিত রয়েছে, নবিজি (সা.) ওমরের মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী করতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, হে আল্লাহ! আবু জাহল ও ওমার—এ দুই জনের মধ্যে আপনার কাছে যে প্রিয়, তার মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী করুন। আল্লাহর কাছে ওমর প্রিয় ছিলেন। তাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। (মুসনাদে আহমদ: ৫৬৯৬, সুনানে তিরমিজি: ৩৬৮১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওমরের জন্যই বিশেষভাবে দোয়া করেছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি ওমরের মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী করুন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৫)

ইসলাম গ্রহণের পর ইসলামের প্রচার প্রসারে ওমরের (রা.) ত্যাগ-তিতিক্ষা, আল্লাহর ইবাদত, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় তার অগ্রগামিতা তাকে মুসলমানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিতে পরিণত করে। নবিজির (সা.) ওফাতের পর আবু বকর মুসলমানদের খলিফা হন। তার ওফাতের পর খলিফা হন হজরত ওমর (রা.)।
-আলেম ও লেখক (সংগৃহীত)

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

ধর্ম, 7 February 2025, 458 Views,

ইসলাম ডেস্ক :
জুমার নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ ছেড়ে দিলে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মুসলিমকে অবশ্যই জুমার নামাজ গুরুত্বের সাথে পড়া উচিত। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। পবিত্র কোরআনে সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে,

banner

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

‘মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সূরা: আল জুমা, আয়াত: ৯)

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।

মালেক ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি ইবনে সাব্বাক থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কোনো এক জুমার দিনে বললেন, ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়! আল্লাহ তায়ালা এই দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।’ আরবি শব্দ জুমুআ- এর অর্থ একত্র হওয়া। শুক্রবারকে বলা হয় ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন।

শুক্রবারের দিন যোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামের খুতবাকে যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। সপ্তাহের এদিনে জুমার খতিব উম্মতের যাবতীয় প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও সমাধানমূলক উপদেশ দেবেন তার খুতবায়।

যে সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করে, সে একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব লাভ করে। যে দুই নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি গরু আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। যে তিন নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি দুম্বা দান করার সওয়াব পায়। যে চার নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি মুরগি দান করার সওয়াব লাভ করে। আর যে পাঁচ নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি ডিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। (মুসনাদে শাফী : ৬২, জামে লি ইবনে ওহাব : ২২৯, মুসনাদে হুমাইদি : ৯৬৩)।

হজরত সালমান (রা.) হতে একটি হাদিস বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে, অতঃপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে, তার পর মসজিদে গমন করবে, দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না, সে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন, চুপ করে মনোযোগসহকারে তার খুতবা শুনবে। দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (মুসনাদে আবু দাউদ : ৪৭৯)।

জুমার নামাজ প্রত্যেক বালেগ পুরুষের জন্যই ওয়াজিব। হাদিসে এসেছে, হজরত হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, প্রত্যেক (প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ) মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব- অপরিহার্য কর্তব্য। (সুনানে নাসায়ী)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অবহেলা অলসতা করে পর পর তিন জুমা নামাজ ছেড়ে দিল, মহান আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিবেন। (আবু দাউদ)।

আরেক হাদিসে রসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমার নামাজে অংশ গ্রহণ করে না, মুনাফিকের এমন দপ্তরে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যা কখনো মোছা বা রদবদল করা হয় না।

কারোর জুমার নামাজ এক রাকআত ছুটে গেলে বাকি আর এক রাকআত ইমামের সালাম ফেরানোর পর উঠে পড়ে নিলে তার জুমা হয়ে যাবে। অনুরূপ কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকুর আগে থেকে পেলেও ওই রাকআত এবং তার সঙ্গে আর এক রাকআত পড়লে তারও জুমার নামাজ হয়ে যাবে।

কিন্তু যদি কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ শেষ হওয়ার পর জামাআতে শামিল হয়, তাহলে সে জুমার নামাজ পাবে না। এই অবস্থায় তাকে যোহরের ৪ রাকআত আদায়ের নিয়তে জামাআতে শামিল হয়ে ইমামের সালাম ফিরার পর ৪ রাকআত ফরজ পড়তে হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সৌদি উলামা-কমিটি ১/৪১৮, ৪২১)।

আর কেউ যদি জুমার নামাজ না পায় বা মসজিদে গিয়ে দেখে জুমা শেষ হয়ে গেছে তবে তাকে যোহরের নামাজ পড়তে হবে। কারণ জামাআত ছাড়া জুমার নামাজ হয় না।

হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসঊদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকআত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকআত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকূ না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকআত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী : ৬২১)।

কোনো ইমাম সাহেব যদি বিনা ওজুতে জুমার নামাজ পড়িয়ে নামাজের শেষে মনে হয়, তাহলে মুক্তাদির নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। আর ইমাম ওই নামাজ কাজা করতে ৪ রাকআত জোহর পড়বেন। (আল-মুন্তাকা মিন ফাতাওয়াল ফাওয়া : ৩/৬৮)।

জুমার খুতবা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। জুমার খুতবা হলো ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না। এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখে ‘চুপ কর’ এ কথাও বলা যাবে না। কারণ, হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধ এসেছে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় তুমি যদি তোমার সাথীকে বল, তুমি চুপ কর, তাহলে তুমি অনর্থক কথা বললে’।

ইমাম আহমদ তার বর্ণনায় হাদিসে আরো বর্ধিত করেন, অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোনো অনর্থক কর্ম করল, তার জন্য ওই জুমায় আর কিছু রইল না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

ধর্ম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 March 2025, 219 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ৩০ মার্চ রবিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ৩১ মার্চ সোমবার সারা দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জেলা ঈদগাহ ময়দানে। এতে ইমামতি করবেন – জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর।

তবে, বৈরী আবহাওয়া থাকলে জেলা জামে মসজিদে নির্ধারিত সময়ে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত পালনে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।

এছাড়াও জেলা শহরের ট্যাংকের পর জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, কাউতলী নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম, ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর ঈদগাহ ময়দান, ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণ, পূর্বমেড্ডা বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, শরীফপুর ঈদগাহ মাঠ, মধ্যপাড়া ভাওয়াল দিঘীরপাড় মসজিদসহ জেলার ৭৮০টি ঈদগাহ ও ৫১০টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ইহুদিরা মুসলমানদের প্রধান শত্রু

ধর্ম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 7 April 2025, 208 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা, নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।

banner

প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ইহুদিরা মুসলমানদের প্রধান শত্রু এবং ইসলামের ইতিহাসে তাদের অবস্থান বরাবরই বিরোধপূর্ণ। চলমান গণহত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী।

আজ ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশে তিনি আহ্বান জানান।

এসময় তিনি বলেন, দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে। ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ইসরায়েলের গণহত্যাকে মানবতাবিরোধী কাজ উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। সব মানুষের জন্য এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানানো জরুরি। প্রয়োজনে জিহাদের ডাক দিয়ে ফিলিস্তিন গিয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়া আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

পবিত্র ঈদুল আযহা আজ

জাতীয়, ধর্ম, 7 June 2025, 94 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।

banner

ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সাথে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল শুক্রবার মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করবে। স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী ৬ জুন শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজীরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্য কার্যাদি সম্পাদন করবেন।

ঈদুল আযহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।

সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।

ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে সুরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আযহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় নয়।’ গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ছাগল, দুম্বাসহ যে কোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যায়।
শনিবার সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনি-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসায় হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান

ধর্ম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 January 2025, 612 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র হাফেজ ছাত্রদের দস্তারে ফযিলত (সম্মানসূচক পাগড়ী) প্রদান উপলক্ষে দুআ মাহফিল গতকাল শনিবার বাদ আসর মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

banner

এতে প্রধান অতিথি থেকে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান করেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার হাদিস বিভাগের প্রধান আল্লামা আব্দুল্লাহ মারুফ কাসেমী।

জামিয়া দারুল আরকাম মাদরাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা আলী আযম, ফখরে বাঙ্গাল রহ: এর সাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা অলি উল্লাহ, সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস, সোনারামপুর মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী বোরহান উদ্দিন কাসেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ঢাকা পোস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মো: আকরাম, বাংলা টিভি জেলা প্রতিনিধি আল আমীন শাহীন, জেলা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি আলহাজ্ব আশিকুল ইসলাম, গাজী টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, হকার্স মার্কেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহ, বড় হুজুর র. এর দৌহিত্র মাওলানা এমদাদুল্লাহ সিরাজী, জেলা জিপি এডভোকেট সিরাজ আবিদ, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ খান।

মুফতী আব্দুর রহিম কাসেমী, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সিনিয়র উস্তাদ মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতী আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হাফিজ, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতী আব্দুল হক মুফতী রহুল আমীন, মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, সহ শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিক, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিলে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদানের পাশাপাশি হেফজ ও নাযেরা বিভাগের ছাত্রদের সবক ও প্রদান করা হয়।

উক্ত দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান।