অনলাইন ডেস্ক :
লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিধ্বংসি দাবানলের মধ্যে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী জোলি সম্প্রতি জানান, তিনি এই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকা থেকে সরে যাওয়া বন্ধুদের জন্য তার বাড়িটিকে উন্মুক্ত করে রেখেছেন। সেইসাথে তিনি সবাইকে এই বিপর্যয়ে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
একটি সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে জানায়, অ্যাঞ্জেলিনা খুবই দুঃখিত হয়েছেন বাড়ি হারিয়েছেন যারা তাদের জন্য। অনেকে আছেন যারা নিঃস্ব হয়েছেন। দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন সবার পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
৭ জানুয়ারি প্যাসিফিক পালিসেডস থেকে শুরু হওয়া দাবানল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ হাজারেরও বেশি স্থাপনা, যার মধ্যে বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত- ধ্বংস হয়ে গেছে। এই দাবানল ৮০ হাজারেরও বেশি বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদের মধ্যে আছেন লেইটন মিস্টার, প্যারিস হিলটন, জেমস উডস, অ্যাডাম ব্রডি, ম্যান্ডি মুর, আন্না ফ্যারিস, রিকি লেকের মতো সেলিব্রিটি।
১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দাবানলের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এমন সময়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই মহানুভবতা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। এছাড়াও জানা গেছে, অনেক সেলিব্রিটিই ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সে তালিকায় আছেন হ্যালি বেরি, শ্যারন স্টোনরা। তারা আর্থিক সহায়তা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন। জেমি লি কার্টিস এবং তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দান করতে দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আজ ১৪ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সকল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম পরামর্শে বলেন, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলও’র নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য আমাদের একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরি করতে হবে। এই সামাজিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হবে- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য যে, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলও’র দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক দুটি নতুন মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন, একটি বড়ো শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে।’
শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আটটি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এ সংশোধন করা হয়েছে। এ বছর নাগাদ শ্রম আইন, ২০০৬-এ আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োগর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া, সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের কারখানাগুলোর জন্য একটি ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী।
টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন। আজ ৫ জুলাই শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে ভোটে লড়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। এই জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিকের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা।
টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। এদিকে আরেক বাংলাদেশি পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে আপসানা বেগম ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। আপসানার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৫, কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং ৪ হাজার ৭৩৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপসানার সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঙালির ঐহিত্যবাহী পিঠাকে প্রবাস প্রজন্মের সাথে পরিচিত রাখতে মনোজ্ঞ এক উৎসবের আয়োজন করেছিল নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহুল পরিচিত ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’।
জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টারে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগমে শুরুতেই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। এ সময় পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং আবুল বাশার চুন্নু। হোস্ট সংগঠনের প্রধান ড. সবিতা দাস, শাকিলা রুনা, রুনা রায়, মুনমুন সাহা প্রমুখ।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন এলাকার স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা, কম্যুনিটি লিডার ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু। বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের ফাঁকে হোস্ট সংগঠন এবং নিরন্তরভাবে কর্মরতদের মধ্যে স্টেট অ্যাসেম্বলীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননাপত্র বিতরণ করেন অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা।
বহ্নিশিখার শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা সমবেত কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোকে শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য আলোকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও।
একক, দ্বৈত, সমবেত সঙ্গীতে অংশ গ্রহণ করেন ড. সবিতা দাস, রুনা রায়, জুলি খাস্তগীর, ইমন বিশ্বাস, পূজিতা দাস, শিলা চন্দ, সুশীল সিনহা, প্লামী দাস, শাকিলা রুনা, মাধু রায়সহ আরো অনেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ব্রিটিশ-লেবানিজ মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় ব্যারিস্টার আমাল ক্লুনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
টাইমস জানায়, তিনি ব্লাভাটনিক স্কুল অফ গভর্নমেন্টে আন্তর্জাতিক আইনের অনুশীলনের ভিজিটিং প্রফেসর হবেন। ৪৭ বছর বয়সী এই আইনজীবী অক্সফোর্ডের স্নাতক। সেন্ট হিউজ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ক্লুনি বলেছেন, নিজের আঁতুড়ঘরে অধ্যাপক হিসেবে ফিরে আসতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
ব্লাভাটনিক স্কুল অফ গভর্ণমেন্ট জানিয়েছে, ক্লুনিকে নিয়োগ করতে পেরে তারা “আনন্দিত”। তার দক্ষতা স্কুলে গবেষণা এবং শিক্ষাদানকে উন্নত করবে।
ক্লুনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ বিশ্বের কয়েকটি শীর্ষ আদালতে গণহত্যা, যৌন নিপীড়ন এবং নিপীড়নের শিকারদের প্রতিনিধিত্ব করে যুগান্তকারী আইনি মামলায় জয়লাভ করেছেন।
২০১৬ সালে তার স্বামীর সাথে ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি ৪০ টিরও বেশি দেশে বাকস্বাধীনতা এবং নারী অধিকার মামলার জন্য আইনি সহায়তা প্রদান করে।
ক্লুনি আন্তর্জাতিক আইনের উপর দুটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছেন এবং নিউইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া ল স্কুলে একজন ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।
ক্লুনি বলেছেন, পরবর্তী প্রজন্মের বিশ্ব নেতাদের সাথে যুক্ত হওয়ার এবং অক্সফোর্ডের প্রাণবন্ত একাডেমিক সম্প্রদায়ে অবদান রাখার এই সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ন্যায়বিচারের সুযোগকে এগিয়ে নিতে আমি অনুষদ এবং শিক্ষার্থী উভয়ের সাথেই সহযোগিতা করার জন্য উন্মুখ।