চলারপথে রিপোর্ট :
চীনে দেখা দেওয়া ভাইরাস এইচপিভি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আশংকাজনক হারে বাড়তে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরিক্ষা ডেস্ক চালু করা হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেস্ক চালু করেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেস্ক চালু করা সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান।
জানা যায়, নতুন করে দেখা দেওয়া এইচএমপিভি ভাইরাস রোধ করার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। সতর্কতাস্বরূপ প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নামের তালিকাভুক্ত করে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা, যাত্রীদের মুখে মাক্স ব্যবহার, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধ রোধে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে একটি অস্থায়ী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এখানে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই ধাপে ৪ জন স্বাস্থ্য সহাকরী কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে করোনাকালীন যে সতর্কতাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছেনো হয়েছিল সেই সতর্কতাগুলোই এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, মাস্ক পরিধান করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে আগত যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এই ভাইরাস নিয়ে জনমনে যেন কোন ধরনরে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে ছেলের বিয়ে দিয়ে পুত্রবধূকে ঘরে তুলবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফ গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মো.জহিরুল হক জুরুর।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার জেলার আখাউড়া পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মো. সাকের আহমদ কবিরের মেয়ে তাবাচ্ছুম আক্তার স্নেহার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর ইতালি প্রবাসী হৃদয় হক।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফের ছতুরা শরিফ স্কুল মাঠ থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে অবতরণ করেন বর। পরে পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে নববধূকে নিয়ে আবারো একই হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসেন।
এদিকে নববধূ ও হেলিকপ্টার দেখতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ মাঠে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। আর এসব সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিয়ের বিষয়টা তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। তাই যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরের বাবা মো. জহিরুল হক জুরু জানান, আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টার দিয়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আমার বাকি ছেলে ও এক মেয়েকেও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাব।
মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি বরের শ্বশুর সাকের আহমদ কবির। তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত। আল্লাহ যেন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ও তানজিবুল ইসলাম খাদেম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ মে রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিবুল ইসলাম খাদেম ওই গ্রামের আরিফুর রহমান খাদেমের ছেলে। সে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়তো। পড়ার কথায় বলায় বাবার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিছু দিন পর স্কুলের পরীক্ষা। পড়ালেখায় অমনোযোগি হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তানজিবকে তার বাবা পড়তে বসতে বলে। এ নিয়ে বাবার উপর অভিমান করে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বসতঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবা বকা দেওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, ঋণের চেক ও প্রশিক্ষণের সনদ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, যুব, যুবতীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভিন রুহি।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম, আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রওশন আলী প্রমুখ।
বক্তারা ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-যুব-জনতার আন্দোলনের ফসল আমাদের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
যুব-যুবতীদেরকে বেকার না থেকে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের মেধা শ্রম কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া প্রেসক্লাবে সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইফতাখারুল আলম শিমুল।
সবশেষে ৪০ প্রশিক্ষণগ্রহণকারী যুবক-যুবতীকে সনদ ও উপকরণ প্রদান এবং ২ জনকে ঋণের চেক দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রবিবার ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে পিঠা উৎসব হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের মিলন মেলা বসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবতীর্, জেলা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন।
কাজী হান্নান খাদেমের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে ম্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা যুবলীগের যু্গ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারুক বকুল।
বক্তারা বলেন, বাঙালী ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ শীতের পিঠা। শীতকালে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে মানুষ নানান রকম সুস্বাধু পিঠা তৈরি করে পরিবার ও প্রতিবেশি নিয়ে আনন্দ করে খায়। পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বানিহীর (আরএনবি) চীফ ইন্সপেক্টর মোঃ আবু সুফিয়ান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন চন্দ্র দাস, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছাল আহমেদ খান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল হান্না, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতালি থেকে বিমানবন্দরে এসে হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি ফিরলেন আখাউড়ার এক প্রবাসী পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইতালি থেকে ঢাকায় আসার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে নিজ বাড়ির সামনে মাঠে এসে নামেন তারা। প্রবাসীদের এমন আগমন দেখতে ভিড় জমান হাজারও উৎসুক জনতা।
ইতালি প্রবাসী আতিকুল ইসলাম সেন্টু মৃধা আখাউড়া উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মৃধা বাড়ির প্রয়াত হাজী ছনু মৃধার ছেলে। তিনি সপরিবারে ইতালিতে বসবাস করেন।
এ সময় প্রয়াত হাজী ছনু মৃধার ছেলে মাজেদুল ইসলাম মিন্টু মৃধাসহ পরিবারের অন্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা জানান, বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল এই মাঠে তার ছেলেরা একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে অবতরণ করবে। আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কিন্তু বাবা জীবিত নেই।
এ সময় প্রবাস ফেরত ইতালি প্রবাসী পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের প্রশংসা করে বলেন, আগে যেখানে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরতে অনেক ভোগান্তি ও সময়ক্ষেপণ করতে হতো; অথচ এখন হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে মাত্র ২০-২২ মিনিটে আখাউড়ায় নিজ বাড়িতে চলে আসা যায়।
এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুসহ কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম ছিল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।