মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
আজ ১৪ জানুয়ারি যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগণ তাদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মকর সংক্রান্তি উদযাপন করেছে ।
এ এলাকার শত বছরের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পৌষের শেষ রাতে কিশোর ও যুবকরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে খোলা যায়গায় তৈরি করে ছোট ছোট কুড়ে ঘর, সেখানে ভালো খাবার খেয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ করে সারা রাত। মাঘের ১ম ভোরে স্নান করে এই ঘর আগুনে পুড়ে এর তাপ দিয়ে আগুন পোহানোর মাধ্যমে সুচনা করে নতুন মাসের। রীতি অনুযায়ী প্রতিটি বাড়িতে সকালে তৈরি করা হয় নানান জাতের পিঠা, এরপর পর শুরু হয় দান/ লোট উৎসব। গ্রামের বিভিন্ন সমাজের লোকজন নিজ নিজ এলাকায় ঢোল, করতাল, হারমোনিয়াম ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দল বেধে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করতে করতে বাড়ি বাড়ি যায় আর সবাই বিভিন্ন ধরনের ফল, বাতাসা তিল্লাই ইত্যাদি সামগ্রী দান/লোট দিলে শিশু, কিশোর ও যুব সমাজের মাঝে ব্যাপক আবেগ-আনন্দের সৃষ্টি হয়। এখানকার কোন কোন এলাকায় হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলমান জনগনও ভাগাভাগি করে এই আনন্দ।
হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে মকর সংক্রান্তিতে স্নান ও দান অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক। দেশের বিভিন্ন স্থানে অঞ্চল ভেদে পৌষ সংক্রান্তি, পোঙ্গল, উত্তরায়ন ইত্যাদি আলাদা আলাদা নামে উদযাপিত হয় এই অনুষ্ঠানটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস.এম নূরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান নূর।
এসময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওর্য়াডে এখন কৃষকলীগের নেতারা সক্রিয়।
বক্তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
কর্মী সভা শেষে আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়ার সমর্থনে উপজেলা সদরে একটি র্যালি বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৬ জন মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন তাঁদের এই কারাদণ্ড দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নাসিরনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা পূর্বপাড়া তাজু ফকিরের বাড়ি থেকে মাদকসেবনের সময় তাঁদেরকে আটক করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃত কুন্ডা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,আক্তার হোসেন,তৌহিদ মিয়া, নজরুল ইসলামকে ৩ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড এবং তাজু ফকির ও সোহরাব মিয়াকে ৬ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কারাদণ্ড প্রাপ্তদেরকে রাতেই জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশব্যাপী ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা গাউছিয়া কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, প্রথমবারের মতন ইমাম সাহেবদের তালিকা করে ভাতা দেওয়া চালু করেছেন। এছাড়াও তার বক্তব্যে তিনি ইসলামের খেদমতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নানান কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
গাউছিয়া কমিটি নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. এখলাছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফেজ মুফতি নেছার উদ্দিন।
উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, গুণিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, খান্দুরা দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আহমদ বখত মতিন ও পীর সৈয়দ জোবাইর কামাল, নাসিরপুর দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আশ্রাফুল আবদাল মুকাল্লিদ, নাসিরনগর নূরে মদিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, দাঁতমন্ডল আজিজিয়া দরবার শরীফের পীর মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, নাসিরনগর সদর খানকায়ে গাউছিয়া চকদার মঞ্জিল এর পীর শাহজাহান হোসাইন চকদার প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় মাওলানা সৈয়দ অলি হায়দার, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হুসাইন আশ্রাফী, মাওলানা নূর আলম রেজা, মুহাম্মদ মতিউর রহমান, মাওলানা ক্বারী মনিরুল ইসলাম শান্তিপুরীসহ উপজেলার অন্যান্য পীর মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও স্থানীয় মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ বাংলাদেশ’র উদ্যোগে ২৬০ জন অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ করেন লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫-এ-৩ এর জেলা গর্ভনর লায়ন ফারহানা বক্স।
লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কাউন্সিল চেয়ারপার্সন, মাল্টিপল ডিস্ট্রিক ৩১৫ বাংলাদেশ এবং সাবেক জেলা গভর্নর, জেলা ৩১৫-এ-৩ বাংলাদেশ লায়ন এস.কে কামরুল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, জয়েন্ট কেবিনেট সেক্রেটারী লায়ন এ.এইচ.এম ফয়সাল, লিও ক্লাবস চেয়ারপারসন লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, রিজিয়ন চেয়ারপার্সন হেডকোয়ার্টার লায়ন মোঃ ইমরান আজমির, প্রেসিডেন্ট লিও মাল্টিপল ডিস্ট্রিক ৩১৫ বাংলাদেশ লিও কাজী লামিয়া করিম, প্রেসিডেন্ট লিও ডিস্ট্রিক ৩১৫-এ-৩ বাংলাদেশ লিও সাইফ ইকবাল, লিও মাল্টিপল ডিস্ট্রিক ট্রেজারার লিও তুবা।
অনুষ্ঠানে গোকর্ণ ইউনিয়নের ২৬০ জন সুবিধা মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, ডাল, আটা, চিড়া, আলু, লবণ ও দিয়াশলাই।
লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের জেলা ৩১৫-এ-৩ কনভেনশন চেয়ারম্যান, ও সভাপতি সৈয়দ মোঃ শরীফ জানান, লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দান জনসেবামূলক কাজ করে থাকে। অসহায় ও গরীব মানষের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সহযোগিতা ছাড়াও ত্রাণ বিতরণসহ জনসেবামূলক কাজ করছে।