অনলাইন ডেস্ক :
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বলুহর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মিল্টন (২৬) ও একই গ্রামের ক্ষিতিশের ছেলে রাম কুমার (৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় মিজানুর রহমানের ডিজাইন কারখানার বয়লারে বিকেলে কাঠে তাপ দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ বয়লার বিস্ফোরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই কারখানার মিস্ত্রি মিল্টন ও রাম কুমার মারা যান। এসময় দুই শ্রমিক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোরে পাঠানো হয়।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বয়লারে অতিরিক্ত তাপ দেয়ার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) অভিযানে গত ডিসেম্বর মাসে ২০ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
৪ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সিগন্যালস্ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২০,১৮,৩২,৫২৯ টাকা মূল্যের ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য জব্দ উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯,৪৫,০৯,৬৭৯ টাকা মূল্যের চোরাচালানী মালামাল এবং ৭৩,২২,৮৫০ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে- ১৬,১০০ পিস, সিটি গোল্ড চেইন- ১,৩৭,৯৭৬ পিস, চশমা/সানগ্লাস ২০,৫২৪ পিস, প্রসাধনী সামগ্রী- ৭৭,২০১ পিস, ইনজেকশন/ঔষধ- ৭৪,৪১৯ পিস, পাওয়ার ব্যাটারী- ৯৬,০০০ পিস, শাড়ী- ৫২৮ পিস, থ্রি-পিস- ১০০টি, হাজী রুমাল- ৩২,২০৩ পিস, সিগারেট- ১,৩৯,৮০০ পিস, জর্জেট থান কাপড়- ২৫৪৮ মিটার, ডেন্টাল গার্ড- ৩৭,৩২০ পিস, চকলেট- ২৫,৬৫৫ পিস, ভারতীয় ওটস্- ৪৬৩ কেজি, কিসমিস- ৩০০ কেজি, উলের শাল- ৮০ পিস, মোবাইল ফোন- ১২ পিস, রসুন- ৯৫ কেজি এবং চিনি- ১৫০ কেজি।
সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এই ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে যেন কোন প্রকার চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিভিন্ন আলামতের নিস্পত্তিকৃত মামলার পৌনে ৪কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কুরুলিয়ার পাড়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মুখে আধুনিক চুল্লি এবং ভারী যান (ভোল্ডোজার) ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক ও আলামত ধ্বংস করা হয়।
এসময় আলামত ধ্বংস কমিটির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নাজির সুমনময় চৌধুরী এবং মালাখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক যোবাইদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ধ্বংসকৃত মাদক ও আলামতের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১শত ৪ কেজি ১৩০ গ্রাম গাঁজা, ৫২ হাজার ৮শত ৪৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২শত ৯২ বোতল ফেন্সিডিল, ২হাজার ৩শত ১৯ বোতল স্কফ সিরাজ, ৪শত ৯৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩১ লিটার চোলাইমদ, ৪টি বিয়ার ক্যানসহ অন্যান্য ১০৪পিস।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকুরিচ্যুৎ বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর এর নায়েব বদরুল আলম, নায়েব জাহাঙ্গীর, সিপাহী আবদুল মান্নান, নায়েব জাহাঙ্গীর, মাসুদ পারভেজসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের দায় বিডিআর সদস্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য বিডিআর বাহিনী ধ্বংস করার জন্য এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে।
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল সদস্যর সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাস প্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে কাজ করার সুবিধা দেয়াসহ গণহারে গ্রেফতার করে যাদের অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুৎ করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পৌষের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে ঝেঁকে বসেছে শীত। প্রকোপ শীত বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে দিন মজুর। এছাড়াও চায়ের দোকান গুলোতে বেড়েছে ভিড়। অনেকে খড়কুটো, কাঠ জ্বালিয়ে তাপে শরীর গরমে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতেছে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাশের আদ্রতা ছিলো ৯৩। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে শহর থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এক দিন পর আকাশে সূর্য দেখা গেলেও তাপের তেমন প্রখড়তা ছিলো না। প্রকোপ শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে। আবার অনেক দিন মজুর কর্মহীন হয়ে পড়ছে। চায়ের দোকানেও অনেকেই আড্ডা জমিয়েছে। ফাঁকা জায়গায় অনেককেই ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রিকশা চালকা আবেদ আলীর সাথে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার শীত থাকায় শহরে লোকজন কম বের হয়েছে। এতে প্রায় ৪০০ টাকা আয় করতে পেরেছি।
এলজিইডি মোড় এলাকার দিন মজুর জুব্বার মিয়া বলেন, এখন একটু কাজ কম। তারপর শীতের কারনে কাজ আরও কমে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছে।
সদর উপজেলা গালা গ্রামের উজ্জল মিয়া বলেন, শীত মানেই গ্রামে পিঠার উৎসব চলে বেশির ভাগ বাড়িতে। দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মতো হচ্ছে। শীতে কষ্টের পাশাপাশি সকলে মিলে আনন্দে উৎসবে কাটানো যায়।
অপর জন রাসেল মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বাড়িতে চাল গুড়া করার ঢেকি ছিলো। তখন দেখতাম বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গুড়া করতে গ্রামের অনেকেই সিরিয়াল দিয়েছে। শীতে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল হতে টাঙ্গাইল জেলা হাসপাতালের সামনে ৩২০ জন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার কম্বল, শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় ৬৮ লাখ ৫০ হাজার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ টাকা করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাজে বিতরণ করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বিক্রয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল দেয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় ৪৯৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য পর্যায়ক্রমে বিক্রি করা হবে।
রবিবার পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মেড্ডা কালভৈরবসহ ৩টি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। মানুষ যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, এজন্য জোরালো ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরোও বলেন, টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী ডিলার ব্যতীত খোলা বাজারে ক্রয় বিক্রয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডিলার মোঃ আলী মিয়া প্রমুখ।