চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জিয়ামঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া মঞ্চ গত ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আদালত চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জিয়া মঞ্চের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ আলী আজম চৌধুরী, সভায় জেলা জিয়া মঞ্চে আহবায়ক অ্যাডঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক এজিএস ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহাদাৎ খান এর সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব সৈকত আলী পিন্টু, যুগ্ম আহবায় মোঃ কামাল, অ্যাডঃ রুবেল ও আব্দুল করিম মাষ্টার।
সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর দেশনেত্রী সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়ার জন্য রোগ মুক্তির কামনা করে দোয়া করা হয়।
পরিশেষে আদালত চত্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট আদালত চত্বরে বিতরন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালসহ দেশের সকল হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ ও চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে তদন্তের আগে হত্যা মামলা দায়ের এবং চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বস্তরের চিকিৎসকদের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গাইনী চিকিৎসক ডাঃ মারিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে ও মাহফিদা আক্তার হেপীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএমএ’র প্রচার সম্পাদক ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, বিএমএ’র সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডাঃ খোকন দেবনাথ, গাইনী চিকিৎসক আইরিন আক্তার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, চিকিৎসকরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমাদেরও ভুলক্রুটি হতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে তদন্ত হলেও তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন। কোন প্রকার তদন্ত না করেই ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসককে গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলে রাখা হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অথচ হাসপাতাল দিয়ে যারা ব্যবসা করছেন, তাদেরকে কিছু করা হচ্ছেনা। উল্টো ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট, চিকিৎসকদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে এবং আমাদের কর্মস্থল নিরাপদ করতে হবে। না হলে শান্তিপ্রিয় মানুষ যদি অশান্ত হয়, এর পরিনাম কি হয় তা আপনারা জানেন। আমাদের দাবি না মানলে সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর ৫৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৭ জুলাই সোমবার বিকেলে শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা সদরসহ ছয়টি উপজেলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
পৌর এলাকার লাখী বাজারে সমিতির প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে কে. দাস মোড়, কুমারশীল মোড়, কোর্ট রোড, টিএ রোড, মসজিদ রোড, মহাদেব পট্টি, জগৎ বাজার ও সড়ক বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারও লাখী বাজারে এসে শেষ হয়। র্যালিতে জেলা শহরের সকল জুয়েলারি দোকান মালিক ও কারিগরেরা অংশ নেন।
সন্ধ্যায় লাখী বাজারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী ও জুয়েলারি সমিতির সভাপতি মতিলাল দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সুনীল বণিক, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ বণিক জাদু, মৃদুল বণিক, স্থানীয় পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজান আনসারী, উপদেষ্টা সাধন বণিকসহ অন্যরা। এ সময় উপদেষ্টাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাজুসের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে যা করেছেন, তা বিগত প্রায় ৬০ বছরেও হয়নি। সারাদেশে ১২ লাখেরও বেশি লোক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
তিনি চাইছেন সারাদেশের জুয়েলারির সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে একটি ট্রেন তৈরি করা, যেই ট্রেন সোজা পথে চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট চত্বরে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, এহসান উল্লাহ মাসুদ, সালাহউদ্দিন সরকার, রাকিব আহমেদ সোহেল, রিটন রায়, আমজাদ হোসেন রনি, জসিম উদ্দিন রানা, আকবর হোসেন লিটন, আলী আজম প্রমুখ।
শান্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামাত দেশব্যাপী সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে।
যারা এদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে যুবলীগ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার তারুণ্যের রোড মার্চ রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভায় তিনি একথা বলেন।
রোডমার্চটি ওই দিন বেলা দেড়টায় সৈয়দপুর পথসভায় এসে মিলিত হয়। তিনি বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
আজকে রোডমার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যে দিন এ সরকারের পদত্যাগ ঘটবে।
সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ, বিদ্যুৎ থাকছে না, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সেচ ও কৃষিকাজ করতে পারছে না কৃষকরা। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে তারা।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের সবগুলো রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার বার বার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি সেখানে অংশ নেবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, চলচিত্র অভিনেতা ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবা শানু এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।