চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় ধানী জমিতে সেচ দিতে মোটর চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে শামিম মিয়া (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ধানী জমিতে। নিহত শামিম মিয়া একই গ্রামের মোল্লাবাড়ির হুমায়ুন মিয়ার ছেলে৷
হাসপাতাল ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বিকালে স্থানীয় মোবারক মিয়ার ধানী জমিতে শামিম মিয়া সেচ দিতে যান। এ সময় জমির বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কারেন্টের তার লাগিয়ে মোটর চালু করতে গিয়ে শামিম শক লেগে জমিতে ছিটকে পড়েন।
পরিবারের লোকজন শামিমকে উদ্ধার করেন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নবীনগর থানাকে অবগত করেছি। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাগরিক সংগঠন নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে৷
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র অডিটোরিয়ামে নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন শেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোন আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভূঞা, সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকারিয়া সরকার তসলিম, কোষাধ্যক্ষ সামসুদ্দোহা (সারোয়ার), সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ইমাউল হক সরকার টিটু, সদস্য এডভোকেট মোর্শেদ হোসেন কামাল, মেজর জেনারেল (অবঃ) কামরুজ্জামান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবরের দেয়া আগুনে গৃহবধূ লতিফা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত দেবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি শোভা পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেলি আক্তার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড সাজিদুর রহমান, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ-উর-রহমান, নোঙ্গর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি শামীম আহমেদ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতির ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবর জালাল তার ভাবী লতিফা বেগমকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বক্তারা অবিলম্বে লতিফা বেগমকে হত্যাকারী জাললকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লতিফা বেগম। তিনি দাররা গ্রামের প্রবাস ফেরত মোঃ জাকারিয়া আল-আমিনের স্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বাকবিতণ্ডার জেরে সুহিনূর ওরফে সফিক (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সফিক ওই গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাই আব্দুর রহমান ও ফয়জুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। তারা একই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, সম্প্রতি স্থানীয় অলেক শাহ মাজারে ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একই গ্রামের রুবেল নামক এক যুবকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন আব্দুর রহমান। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে আব্দুর রহমানের বাড়িতে লোকজন নিয়ে যান রুবেলের ভাই সফিক।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সফিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন আব্দুর রহমান ও তার ভাই ফয়জুর রহমান। পাশাপাশি তারাও আহত হন। পরে আহত সবাইকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর-কড়ইবাড়ি নামক স্থানে দুই পাশে দীর্ঘ দিন ধরে ভূমিদস্যদের দখলে থাকা সরকারি খাল অবশেষে উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে এই খাল উদ্ধার অভিযান করেন। এ সময় খালের আশেপাশের ভুক্তভোগী উৎসব জনতা আনন্দ উল্লাস করে।
জানা যায়, উপজেলার মালাই গ্রামের যুবলীগ নেতা ভূমিদস্যু বিল্লাল হোসেন, জিনদপুর গ্রামের হাসান উদ্দিন, কড়ইবাড়ি গ্রামের ছগির আহম্মেদ,হুরুয়া গ্রামের আবুল বাশার,আলামিন,নজরুল ইসলামসহ অন্তত শতাধিক ভূমিদস্যুরা মিলে নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের দুইপাশের খাল সংলগ্ন ফসলি জমি প্রতি শতাংশ ৪০ হাজার টাকা করে ক্রয় করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনুমতি বিহীন জমির শ্রেনী পরিবর্তন করা সহ জমির সামনের অংশে থাকা সরকারী খাল ভরাট করে খালসহ প্রতি শতক জায়গা ৩ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা।
এতে করে জিনদপুর,কড়ইবাড়ি,লাউরফতেহপুর,বাড়িখলা সহ আশেপাশের শত শত একর ফসলি জমি শুঁকনো মৌসুমে সেচের অসুবিধায় অনাবাদি থেকে যায়। এবং বর্ষা মৌসুমে বর্ষার পানির সাথে পলি মাটি না আসতে পারায় জমিগুলোর উর্বরতা হারিয়ে যাওয়াসহ খাল ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলী জমি পানির নিচে চলে যায়।এছাড়াও খাল ভরাট করতে গিয়ে তারা মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন করে পাশের ফসলি জমি কেটে নাল কে ডুবা করায় হুমকির মুখে পড়ছে আশেপাশের জমিগুলো।
এদিকে খাল ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আশেপাশের গ্রামগুলোতে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান, এসময় উপস্থিত ছিলেন, জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি,ইউএনও অফিসের সি এ কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন,নবীনগর থানার এস আই মিশন বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এবিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান জানান,নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক স্যারের নির্দেশক্রমে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে সরকারি খাল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক জানান, সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ও ফসলে জমি রক্ষার্থে সড়কের দুপাশের সরকারি খাল উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে।
এ অভিযান চলমান রয়েছে। নবীনগর -কোম্পানিগঞ্জ সড়কের দুই পাশের ভরাটকিত সরকারি খালের সকল জায়গা উচ্ছেদ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ। আজ ১০ মে শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দূর্গারামপুরে মেঘনা নদী থেকে এই মাছটি ধরেন জেলে পরিতোষ বর্মনের নৌকার জেলেরা।
জানা যায়, উপজেলার গোপীনাথপুর মনতলা গ্রামের জেলে পরিতোষ বর্মনসহ অন্য জেলেরা প্রতিদিনের ন্যায় আজও মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। বাছুরি নৌকায় জাল দিয়ে তারা মেঘনা নদীতে মাছ ধরেন। সকালে তাদের জালে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পরে। পরে জেলেরা মাছটি নবীনগর বাজারে নিলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন ৮৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ১৫০ টাকায় মাছটি কিনেন।
নৌকার মালিক পরিতোষ বর্মন বলেন, আমাদের বাছুরি নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে আমরা মাছ ধরতে যায়। আমাদের জালে ধরা পড়া কাতলা মাছটির ওজন ১৯ কেজি। পরে মাছটি নবীনগর বাজারের সুনীল বর্মনের আড়তে তোলা হলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন মাছটি ৮৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ১৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। সৌভাগ্যক্রমে এই মাছটি জালে লেগেছে। নৌকার আরেকজন জেলে সত্যগুণ বলেন, মাঝে মধ্যে তিতাস ও মেঘনা নদীতে কাতলা, রুই, বোয়ালসহ অন্যান্য মাছ আমাদের জালে ধরা পড়ে। কিন্তু অনেকদিন পরে আমাদের জালে এ রকম বড় একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ল। এ বছর এত বড় কাতলা এটাই প্রথম, তাই আমরা অনেক খুশি।