চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. জামাল মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শ্রমিক দলের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস এ শাওন, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহিম সরকার, সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গলাচিপা বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ মাছ ধরছেন ইজারাদার। বাঁধের কারণে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁধের দু’পাশে কচুরিপানা আটকে ফসলি জমিতে উঠে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রূপসদী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের পশ্চিমপাশে রূপসদী মৌজায় গলাচিপা বিল। এর পাশে ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাঠামারা, রূপসদী ইউনিয়নের খাউরপুরা, হোগলাকান্দি ও রূপসদী গ্রাম। গ্রামগুলোতে অবস্থিত বাজারে বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া করেন ব্যবসায়ীরা। চলতি বছর ২২ একর আয়তনের বিলটি ৫৩ হাজার ৩০০ টাকায় ইজারা নেন রূপসদী ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রবীন্দ্র দাস। ইজারা নিয়ে বিলের দক্ষিণ ও উত্তরপাশে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করেন। বাঁধের কারণে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন চার গ্রামের মানুষ।
গলাচিপা বিলে গিয়ে দেখা গেছে, হোগলাকান্দা বাঞ্ছারামপুর সড়কের গলাচিপা সেতুর দক্ষিণপাশে বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিলে কোনো নৌকা প্রবেশ করতে পারছে না। বিলের উত্তরপাশেও বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধের কারণে রূপসী দক্ষিণপাড়া জামাই বাজার, হোগলাকান্দা বাজার, দক্ষিণ বাজার ও খাউয়ূরপুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনতে পারছেন না। বাঁধের কারণে কচুরিপানা সরতে না পারায় ফসলি জমিতে উঠে যাচ্ছে।
খাউয়ূরপুরা গ্রামের কৃষক লিল মিয়া জানান, বাঁধের কারণে কচুরিপানা সরতে না পেরে বর্ষার পানি বাড়ায় তা ফসলি জমিতে উঠে গেছে। ধইঞ্চা, পাট ও ধানক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ।
হোগলাকান্দি গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, ‘বর্ষাকালে আমরা নৌকা দিয়ে পাশের জমিতে ও খালে মাছ ধরতাম। কিন্তু বিলে বাঁধ দেওয়ার কারণে নৌকা নিয়ে কোথাও যেতে পারছি না। বর্ষাকাল এলে আমরা এটার ওপরেই চলতাম। এখন মাছ ধরতে না পারায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
রূপসদী দক্ষিণপাড়া জামাই বাজারের ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়ার দাবি, বর্ষাকালে গলাচিপা বিল দিয়ে নৌকায় করে পণ্য বহন করতেন তারা। কিন্তু এখন বিলে বাঁধ থাকায় পণ্য বহন করতে পারছেন না। এতে অনেকদূর ঘুরে পণ্য আনতে হচ্ছে। ফলে খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
গলাচিপা বিলের ইজারাদার রবীন্দ্র দাস জানান, বিল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সময়মতো মাছ ধরতে পারেননি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতে হচ্ছে। এতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। বিলের পাশের জমিও বিলের আওতায়, তাই সেখানেও বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভূমি অফিসের লোকজনও জানে। তবে গলাচিপার বিলে বাঁধের বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছেন রূপসদী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
রূপসদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের ভাষ্য, বিলে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি তাঁকে অনেকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। বাঁধ দেওয়ার কারণে এই এলাকার মানুষের নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার জানান, প্রবহমান জলাধারের কোনো জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের সুযোগ নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কি মিত্র চাকমার ভাষ্য, বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা যাবে না। বিশেষ করে নৌচলাচল ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার র্যালি ও মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন নেতাকর্মীরা। পরে বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহিম সরকার, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ শাওন, তেজখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছাত্রনেতা সোহাগ আহমেদ, সিফাত, নাকিব, সাগর, শুভ ও প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, দেশবিরোধী শত্রুরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর ১৯ বার হামলা চালিয়েছে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ছেলেরা স্বপ্ন দেখো একদিন তোমরা শেখ মুজিব হবে, মেয়েরা স্বপ্ন দেখো একদিন শেখ হাসিনার মতো হবে। আমাদের স্থানে বসতে হবে। তোমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশপ্রেমিক হতে হবে।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ ডব্লিউ এম আবদুল হক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সেলিম মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সদস্য আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
পরে তিনি ৩৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ৭ম থেকে ১০ম পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মাঝে ১৪শত, ১২শত, ১ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করেন। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২৩৪ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ১ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশের সব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
দেশের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির আশা ও ভরসার শেষ ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনা।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশ-বিদেশে ঘুরে কৌশলে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সব ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পুনরায় ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম দানিসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর ওয়াজেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, মহসিনুল হক বাবু, মাসুদ করিম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, এ কে এম শহিদুল হক বাবুল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য সুনিয়া আক্তার সুচি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, শ্রমিক লীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক প্রমুখ।
পূর্বে তিনি ইমামনগর-দরিকান্দি রাস্তার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, খাল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, খাল্লা দারুস সুন্নাহ ইমাম মেহেদী (আ.) দাখিল মাদরাসার নবনির্মিত চারতলা আইসিটি ভবন শুভ উদ্বোধন করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।