রিমান্ডের জন্য সকল থানায় স্বচ্ছ কাঁচের আলাদা কক্ষ রাখার সুপারিশ

জাতীয়, 15 January 2025, 14 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আটক কিংবা রিমান্ডে নেওয়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি থানায় স্বচ্ছ কাঁচের ঘেরাটোপ দেওয়া একটি আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ অবশ্যই রাখার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

banner

আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন। প্রতিবেদনে আটক, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন এসব সুপারিশ করেছে।

সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্রদত্ত নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

‘রাষ্ট্রপক্ষের দায়েরকৃত আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনটি প্রত্যাহার কিংবা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে উহার আলোকে প্রয়োজনে, ফৌজদারি কার্যবিধিসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-প্রবিধান সংশোধন করা যেতে পারে।’

কমিশন আরো সুপারিশ করেছে, আটক ব্যক্তি বা রিমান্ডে নেওয়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি থানায় স্বচ্ছ কাঁচের ঘোরাটোপ দেওয়া একটি আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ অবশ্যই থাকবে। এছাড়া পুলিশের তত্ত্বাবধানে থানা-হাজত ও কোর্ট হাজতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বন্দিদের কোর্ট থেকে আনা-নেওয়ার সময় ব্যবহারকারী যানবাহনগুলোতে মানবিক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হলো। নারী আসামিকে যথেষ্ট শালীনতার সঙ্গে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।

তল্লাশির সময় পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিতে অস্বীকার করলে অথবা সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকলে জরুরি যোগাযোগের জন্য নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে একটি জরুরি কল সার্ভিস চালু করা যায়।

সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জব্দকৃত মালামালের যথাযথ তালিকা না হলে এবং তল্লাশি কার্যক্রমটি সন্দেহজনক মনে হলে তা তাৎক্ষণিক জানানোর জন্য মেট্রো এলাকায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনার/জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর জরুরি কল সার্ভিস চালু করা যায়।

এছাড়া অভিযান পরিচালনা করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের কাছে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ও ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসসহ ভেস্ট/ পোশাক পরিধান করতে হবে।

Leave a Reply

রিমান্ডের জন্য সকল থানায় স্বচ্ছ কাঁচের…

অনলাইন ডেস্ক : আটক কিংবা রিমান্ডে নেওয়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য Read more

নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলা সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের Read more

নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন…

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি Read more

জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগর উপজেলায় ধানী জমিতে সেচ দিতে মোটর Read more

বাঞ্ছারামপুরে শ্রমিক নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. Read more

কসবায় ৫শ টাকার জন্য ফুফাতো ভাইয়ের…

চলারপথে রিপোর্ট : কসবা উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের Read more

এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও…

অনলাইন ডেস্ক : কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন Read more

টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির এমডিসহ ১৯…

অনলাইন ডেস্ক : ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা Read more

অফিসার পদে চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ব্র্যাক,…

অনলাইন ডেস্ক : বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে ‘অফিসার’ পদে জনবল Read more

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে…

অনলাইন ডেস্ক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর Read more

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেন…

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ Read more

বলিউড থেকে নার্গিস ফাখরি যে কারণে…

অনলাইন ডেস্ক : ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ছকভাঙা অভিনয়। নার্গিস ফাখরিকে Read more

ট্রেনে কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার

জাতীয়, 9 August 2023, 765 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোর শহরের অদূরে কালিকাপুর আমহাটি এলাকার ৩২ নম্বর রেলওয়ে ব্রিজের নিকট রেল লাইনের পাশ থেকে ট্রেনে কাটা এক যুবকের মাথা বিচ্ছন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নিহত যুবক মির্জাপুর তেঘর পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাহাবুর।

banner

নিহতের দুলা ভাই পারভেজ মোল্লা,বন্ধু শহীদ সহ উপস্থিত স্বজনরা জানান, ৮/৯ মাস আগে মাহাবুরের বিয়ে দেয়া হয়। সে বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে আসছিল। তারপরেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারা জানান, ছেলেটি মস্তিস্কে সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে ঠিক থাকলেই মাঝে মধ্যেই উল্টা পাল্টা আচরণ করতো। তাদের ধারণা সে ট্রেনের নিচে মাথ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয়ে শান্তাহার জি আর পি থানারএস আইনরেশ চন্দ্র জানান, তার আত্মীয় স্বজন জানিয়েছেন মাহাবুরে মস্তিস্ক বিকৃতি ছিল। সে ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যাই করেছে।

ভরা বর্ষায় নদনদী মরা নৌকার হাটে খরা

জাতীয়, 5 August 2023, 749 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আষাঢ় আগেই বিদায় নিয়েছে, বিদায়ের পথে শ্রাবণ মাসও। এখনও প্রকৃতিতে ধরা দিচ্ছে না বর্ষা। এ কারণে গোমতী, তিতাস, কাঁঠালিয়া, হাবাতিয়া ও মাটিয়া নদী ঘেরা কুমিল্লার তিতাসে নৌকার হাটে চলছে খরা। লোকসানে পড়ছেন নৌকার ব্যবসায়ীরা; হতাশ হয়ে পড়ছেন নৌকা তৈরির কারিগররা।

banner

বাতাকান্দি নৌকার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রির জন্য ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের সারি সারি নৌকা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। কারও মুখে হাসি নেই। রোদ্রের খরতাপে ছাতা কিংবা মাথায় গামছা দিয়ে ক্রেতার আশায় বসে আছেন বিক্রেতারা। নৌকার হাটের ইজারাদার জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার নৌকা বিক্রি খুবই কম। এখন সারাদিন দুই থেকে তিনটি নৌকা বিক্রি করা কষ্টকর।

নৌকা বিক্রি করতে হাটে আসা গোপাল চন্দ্র দাসের বাড়ি হোমনা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নৌকার হাট জমে ওঠে। এবার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে ১০ হাত নৌকা তৈরিতে তাঁর সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ ক্রেতা বলছেন তিন হাজার, সাড়ে তিন হাজার টাকা। নৌকা বিক্রি করে সংসার চালানো ও কিস্তি দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার টাকার কাঠ কিনছি এখন পর্যন্ত। মাত্র ১২টি নৌকা বিক্রি করেছি।’

নৌকা ব্যবসায়ী রতন সাহা জানান, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকে নৌকার বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার পানি না হওয়ায় নৌকা বিক্রি নেই বললেই চলে। ক্রেতার অভাবে তৈরি করা নৌকা এখন রোদ্রে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাটে কথা হয় হোমনার খন্দকার চরের জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে ১০ হাজার টাকার একটি নৌকা ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তবে আমার ওপর জুলুম করা হইছে। এক হাজার টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের ভাষ্য, বর্ষার রূপ এখন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে তিতাসে বিভিন্ন অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করায় শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতার মধ্যে আবার কচুরিপানার আগ্রাসন। ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে মানুষ মাছ ধরে খেত, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দিন দিন তিতাস নৌকার চাহিদা কমতে শুরু করেছে।

জাল নোটের দৌরাত্ম্য রুখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

জাতীয়, 6 March 2024, 466 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদকে ঘিরে দেশে জাল নোটের দৌরাত্ম্য রুখতে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

banner

আজ ৬ মার্চ বুধবার কুর্মিটোলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদরদপ্তরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানে সংযমের পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে।

ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। অভিযান তো চলছে, তবে এদিকে আরো খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

এ সময় সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জলদস্যুরা যেন আবারও বিপথে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের জীবনের প্রয়োজনে যা দরকার সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জীবিকার পথ আরো ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র‌্যাব।

এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। র‌্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

পুলিশকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সবকিছুর লক্ষ্য হলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। র‌্যাবে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, মহাপরিচালক পদক চালু করা হবে। আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সহায়তা করবে, বাহিনীগুলোকে আরো প্রশিক্ষিত হতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে। তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেব।

দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ছিল র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো। যারা এখানে গণতান্ত্রিক ধারার অব্যাহত যাত্রা চায়নি, তাদের কাছে বিগত নির্বাচন ভালো লাগবে না। মনুষ্য সৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবকিছুকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সবাইকে।

এছাড়া দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে আর্থসামাজিক উন্নতি করতে হবে বলেও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

কয়লা গ্যাসের অভাব বিশ্বব্যাপী, কেনা মুশকিল : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 4 June 2023, 1049 Views,
সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক :
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব সারা বিশ্বব্যাপী। এখন কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়ে গেছে। জলবিদ্যুৎ আমদানিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়লা কেনার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আবার চালু করা যায়। আজ ৪ জুন রবিবার সংসদের বৈঠকে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

banner

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারি আর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সমগ্র বিশ্বে যে খাদ্যমন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি- এটা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

আওয়ামী লীগ দলীয় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়। চলতি সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে বৈঠক মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে। শোক প্রস্তাব গ্রহণের পরের দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে। আজকে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাবের কারণে এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী।

তিনি বলেন, জানি না আর কখনও এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল কিনা। হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।

সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। চেষ্টা করে যেতে হবে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

মরহুম আফসারুল আমীনকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়। তিনি মন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর ২১টি বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ারও সাহস পেতেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সংগ্রামে আফরারুল আমিনকে পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবসময়ই দুর্গতদের সেবা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় হয়েছে, মানুষ মারা গেছে। তৎকালীন বিএনপি সরকার জানেইনি যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। সকলের আগে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যায়। আমি নিজেও ছুটে যাই। সেই কুতুবদিয়া, মহেলখালী, বাশখালী- মানুষের লাশ, মহিলা ও শিশুর লাশ ভাসছে। তখন আফসারুল আমিনসহ চট্টগ্রামের সকল নেতারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা সাধ্যমতো রিলিফ দেওয়া ও লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। এটা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি। তিনি তখনও জানেননি। তাঁর কাছে কোনো খবর ছিল না। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কত মানুষ হলে আপনার তত মানুষ হবে।

শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সরকারি দলের মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়াসিকা আয়শা খান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৭৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দিলো আনসার বাহিনী

জাতীয়, সারাদেশ, 10 January 2025, 65 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীদের স্বাবলম্বী করতে ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার জেলার ১৩টি উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল, মুরুং ও মনিপুরী সম্প্রদায়ের ৭৬০ জন অংশ নেন।

banner

৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালকসহ জেলা কমান্ড্যান্ট উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী চলমান এই প্রশিক্ষণে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সংস্কারমুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে একজন সদস্যকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নতুন সিলেবাস ও যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যাতে বাহিনীর সামাজিক উন্নয়নের সকল পদক্ষেপের সুফল হতে কোন জনগোষ্ঠী বাদ না পড়ে।

এতে আরো বলা হয়, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশিক্ষণের আওতাধীন সদস্যদের পরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন থেকে বাহিনীর অন্যান্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ এবং ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক কাজে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মোতায়েন করা হবে।