চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক এবং এক্সভেটরের ব্যাটারি জব্ধ করা হয়েছে। এসময় ট্রাক চালককেও আটক করা হয়। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। তবে মাটি কাটার মূল মালিককে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত ট্রাকগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকের মালিক না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাায়ই কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ আসছিল। বিশেষ করে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বেশি মাটি কাটা হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ধরখার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার-উজানিসার ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কৃষি জমি থেকে মাটির কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক চালকসহ জব্ধ করা হয়। পরে জব্ধকৃত ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রাকচালকরা বেতনভূক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, ধরধার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে এক্সভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় ড্রাম ট্রাকে কুমিল্লার বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করে। প্রতি রাতে ৪০/৫০টি ড্রাম ট্রাক ৭ থেকে ৮ বার মাটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত্র পর্যন্ত মাটি কাটা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাজা দেওয়ার বিধান আছে। ট্রাক চালকরা বলেছে তারা মাটি কাটার মূল ব্যক্তিকে চেনে না। বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে মাটি নিতে এসেছে। ট্রাকগুলো নিতে এলে মাটি কাটার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে জরিমানা করা হবে। নতুবা জব্ধকৃত ট্রাকগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল থেকে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ছুটির সময় বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে আজ ৩ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে রপ্তানি হয়। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় হুজুরের উপর হামলা মামলায় আটক সুমন ও রিমনের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চাওড়া দৌলতবাড়ি গ্রামে সুমনের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনায় সুমন ও রিমনকে নির্দোষ দাবি করেন তাদের স্বজনরা। শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় মানবিক কারণে তাদের জামিন এবং মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুমনের বৃদ্ধ পিতা-মাতা, স্ত্রী, শিশু সন্তান এবং রিপনের মা উপস্থিত ছিলেন। সুমন ও রিমন সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
এসময় সুমনের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন আমার স্বামী একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে পঙ্গু অবস্থায় আছে। হুজুরের হামলার সাথে আমার স্বামী জড়িত নয়। চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার পঙ্গু স্বামীর জামিন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমার সংসারে রোজগার করার মতো কেউ নাই। ৪ টি শিশু সন্তান, বৃদ্ধ শশুড়-শাশুড়িসহ ১০/১২ জন মানুষ নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সুমন ও রিমনের স্বজনরা আহজারি করে বলেন তাদের জামিন না হলে অনাহারে বিষ খেয়ে মরা ছাড়া উপায় থাকবে না।
এসময় রিমনের মা তাহমিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী নাই। ছেলে মেয়ে নিয়া বাবার বাড়িতে থাকি। হুজুরের হামলার ঘটনার সাথে আমার ছেলে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমার ছেলের জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শনিবার রাতে আখাউড়ার আজমপুর এলাকায় মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী নামে এক হুজুরের উপর হামলায় হয়। হামলা হুজুরের জিহ্বায় আঘাত লাগে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি একটি মাহফিল থেকে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় সুমন ও রিমনসহ চারজনকে আটক করে র্যাব। বর্তমানে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের হাজতে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সুকুমার বড়ুয়া ও প্রণব কান্তি বড়ুয়া নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতারের পর তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুকুমার বড়ুয়া চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া প্রণব কান্তি বড়ুয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তারা সম্পর্কে শ্বশুর-জামাতা।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক খায়রুল আলম জানান, তাদের দুইজনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আখাউড়া ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছে। পরে তাদের আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের উদ্যোগে র্যালি ও পথসভা হয়েছে।
“প্রকৃতি বাঁচাও, প্রাণবিক ধরিত্রী গড়ো’ সবাই মিলে করি পণ বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ৫ জুন সোমবার সকালে পৌর শহরের কলেজ পাড়া থেকে একটি র্যালীটি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে পথসভা করে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের উপদেষ্টা, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আকছির এম. চৌধুরী, ক্লাবের আহবায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদ, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, পরিবেশ ক্লাবের সদস্য সচিব রকিব উদ্দিন প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, খননের অভাব, ময়লা আবর্জনা আর প্লাস্টিকের বর্জ্য আখাউড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী, হাওড়া নদী, কালন্দি খালসহ বিভিন্ন জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খাল খনন করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রাখতে হলে মাটি, পানি এবং বায়ু এই তিনটি উপাদানকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে হবে।
পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। তাই প্লাস্টিক বর্জ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। সবাই মিলে পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ দু’জনকে আটক করেছে বিজিবি। ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি (২৩) ভারতের সাংলী বোম্বে জেলার তাঁজগাও এলাকার মৃত রাজারাম কলির ছেলে ও বাংলাদেশি নাগরিক লিটন দেবনাথ (৩৬) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াহাটি গ্রামের অবনী দেবনাথের ছেলে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, একজন ভারতে যাচ্ছিলেন, আরেকজন ভারত থেকে এসেছিলেন। বিজিবি ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ২০২২/৫-এস এর নিকটবর্তী হীরাপুর নামক স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি এক বছর দুই মাস আগে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে এসে নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণকারের কাজে নিয়োজিত ছিল।
স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল ও হীরাপুর গ্রামের হেফজু মিয়ার ছেলে বিজয় মিয়া (২৮) এবং আরমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৮) এর সহযোগিতায় তিনি ভারতে ফেরত যাচ্ছিল। এছাড়া বাংলাদেশী নাগরিক লিটন দেবনাথ গত ১০ দিন আগে চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে দূর্গাপুজা উপলক্ষে ভারতের আগরতলায় এক ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আটক হওয়া ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে ভারতের আধার কার্ড তৈরীর আবেদন ফরম পাওয়া যায়। তাদেরকে আখাউড়া থানায় হন্তান্তর এবং মানব পাচারে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে।