চলারপথে রিপোর্ট :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলায় প্রতিপাদ্য মধ্যে দিয়ে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় অনুর্ধ্ব-১৬ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত সিক্সার্স ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সামছুর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আখতার।
আনিছুল হক রিপনের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত কোচ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রিকেট কোচিং একাডেমীর কোচ মোঃ শামীম ভূইয়া, ক্রিকেট আম্পায়ার মোঃ আজিম, মোঃ বাবু, মোঃ কামাল, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, বিশিষ্ট ফুটবলার ইয়াকুব।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে দেশ ও পৃথিবীর সাথে নিজেকেও বদলাতে হবে তাহলেই আমাদের সফলতা আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ থেকে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে এবং মাদকের মতো বিভিন্ন কুফল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে যখন গড়ে তুলতে পারবো তখনই আমরা দেশ এবং পৃথিবী বদলাতে পারবো। তারুণ্যে উৎসবের এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ১১টি দল অংশ গ্রহণ করেন। দিনব্যাপী খেলা শেষে বিজয়ী এবং রানার্স আপদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ (অনূর্ধ্ব-১৭) ফুটবল প্রতিযোগিতার (অনূর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো.সায়েদ মিয়া, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির,সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন,উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্মকর্তা মো.মাহবুবুল হক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় সরাইল সদর ইউপি একাদশ বনাম কালিকচ্ছ ইউনিয়ন একাদশ।
খেলায় কালিকচ্ছ ইউনিয়ন একাদশ সরাইল সদর ইউনিয়ন একাদশ দলকে ট্রাইবেকারে ৩-২গোলে পরাজিত করে।
খেলার রেফারি ছিলেন, মো. শফিক মিয়া, সহকারী ছিলেন, আব্দুলাহ মতিন ও খন্দকার মাসুম বিল্লাহ। খেলার সার্বিক পরিচালনা করেন, সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতা দিবসসহ অগ্নিঝড়া মার্চে নানা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি পালনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেসমিন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনে নানা কর্মসূচি গৃহিত হয়।
কর্মসূচির মধ্যে শহিদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনসহ যথাযথ মর্যাদায় দিবসগুলো উদযাপনে নানা কর্মসূচি রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুরে সালিশে ধার্য করা জরিমানার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন।
১৪ এপ্রিল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের খাল পাড় ও পীরবাড়ি এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০ রমজান লুডু খেলা নিয়ে বিরামপুর বাজারে ওই গ্রামের পীরবাড়ি এলাকার জুয়েলের সাথে খালপাড় এলাকার হাদিস মিয়ার ঝগড়া হয়। এতে জুয়েল আহত হন। এ বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করেন। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ এপ্রিল হাদিস মিয়া জরিমানার এক লাখ ২০ হাজার টাকা জুয়েলকে দেওয়ার কথা। তবে তা না দেওয়ায় রোববার রাতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ নিয়ে পীরবাড়ি এলাকার পক্ষে হুমায়ুনের নেতৃত্বে এবং খালপাড়ের পক্ষের আনিছ মেম্বার ও সাচ্ছু মিয়ার নেতৃত্বে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সোমবার ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন। তাদের কাছে ট্রেনের ৬০ টাকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা চান কাউন্টার সেলসম্যান সালাউদ্দিন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সময় রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাসও কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করছিলেন। তার কাছেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা টিকিট কিনতে যান। দাম-দর করার পর টিকিট দেওয়ার সময় আঁচ করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন বিপ্লব কিন্তু রক্ষা হয়নি। তাকে আনসার সদস্যরা আটক করেন। একইভাবে আয়েশা বেগম ও আরাফাত নামে আরও দুই টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালানো ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ইউএনওর নেতৃত্বে পরিচয় গোপন রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে কাউন্টারের এক টিকিট সেলসম্যান এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষীকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে টিকিট সেলসম্যান সালাউদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাসকে রেলওয়ে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুই টিকিট কালোবাজারি আয়েশা ও আরাফাতকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।