চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা দাবি বাস্তবায়নে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যাবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ছাড়া আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি. এম মোমিনুল হক,অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তারেকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জহিরুল হক খোকন সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার দাবিগুলো পড়েন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বার বার কারাগারে গিয়েছি। দীর্ঘদিন জেল খেটেছি আমরা। বিভিন্ন সময় আমাদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির রাজনীতি বেশিদিন চলতে পারে না। আমাদের দাবি পরিস্কার, স্বচ্ছ ভোটার তালিকার মাধ্যমে গোপন ব্যালটে কাউন্সিল হোক। এখানে কোনো স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নেই। জননেতা তারেক রহমানের কাছে দাবি তুলে আসছি, একটা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা আপনার নজরে নিয়ে কাউন্সিল হোক। কেন্দ্রীয় বিএনপি আমাদের বলেছে আজ বিকেলে তারেক রহমানের সাথে তাদের বৈঠক আছে। আমরা আশা করি তিনি এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান দিবেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সেই সম্মেলনে জেলার ১৪টি ইউনিটের মধ্যে ৮টি ইউনিটের ভোটার তালিকা করা হয়েছে। সেখানেও জাল জালিয়াতি করা হয়েছে। বাকি ৬টি ইউনিটকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেয়ার অধিকার তাদের নাই। দলের কাছে তাদের কোনো গ্রহনযোগ্যতা নাই। আমরা একটা জিনিসই চাই, ১ হাজার ৪১৪ ভোটের সংস্কার করে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্মেলন যাতে না করতে পারে আমরা রাজপথে প্রস্তুত থাকব। আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা ন্যায়ের পথে আছি। ন্যায়ের কার্যক্রমে আগামীদিনের সম্মেলনে প্রমাণ করে দিব আমরাই আসল, তারা নকল। আমরা কোনো অন্যায়, দুঃশাসন, স্বৈরাচার চাই না। আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতাকর্মীরা।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাজিউর রহমান তানভির, সদস্য সচিব হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল সাফি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি শিব্বির আহমেদ ভূইয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাইজা আক্তারসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৩ এর অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিচার এই বাংলায় করতে হবে। তাদের রাজনীতি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল, নাছির উদ্দিন, আবদুল হাকিম মোল্লা, কামরুল ইসলাম, সদর ইউসিসির চেয়ারম্যান আবু কাউছার, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। তবে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে আরো ভালো করতে হবে। তিনি আনন্দ মুখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করতে পারায় ও ঈদের আগে ও পরে সড়ক মহাসড়কে কোন ধরনের যানজট না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, পবিত্র রজমান মাসে শহরের যানজট নিরসনে শহরের দুটি সড়ককে ওয়ানওয়ে করার সুফল শহরবাসী পেয়েছেন। তিনি এই দুটি সড়ককে স্থায়ীভাবে ওয়ানওয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।
মোতকাদির চৌধুরী বলেন, শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক সিস্টেম আরো জোরদার করতে হবে। অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখার আহবান জানান। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করার তাগিদ দিয়ে বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যে দলেরই হোক, যত শক্তিশালীই হোক তাদেরক গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি আর যাতে নতুন করে রিকসা ও ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান। তিনি আইন-শৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে আইনের প্রতি আরো নিষ্ঠাবান হওয়ার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
সভায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী স্বামী মোবাইলে তালাক বলায় মারিয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের আইয়ুব মিয়ার মেয়ে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের টাংগা গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী তানজিল চৌধুরীর সাথে মারিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দুইজনের মাঝে প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর বনাবনি তেমন ভাল ছিল না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝুট-ঝামেলা চলতো। শনিবার স্বামীর তর্কাতর্কির সময় স্বামী মোবাইলে তালাক বললে অভিমানে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন মারিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার বাদ আছর জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার কার্যালয়ের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে সদ্য প্রয়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান (সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় মানব কল্যাণ পদক প্রাপ্ত) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মিলাদ মাহফিলে চেম্বারের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন মার্কেট কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মরহুমের বর্ণাঢ্যময় কর্মময় জীবনের উপর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর ও সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, জগত বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও চেম্বার পরিচালক আল মামুন, চেম্বার পরিচালক ও মরহুমের শ্যালক তানভীর আহমেদ, মসজিদ রোড ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি কে এম আনোয়ার হোসেন আনার প্রমুখ।
উক্ত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, মমিনুল আলম বাবু, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, আবুল খায়ের, হারুনুর রশিদ, রেজুয়ানুল হক মনি, আব্দুল মালেক ও চেম্বার সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
মাহফিল পরিচালনা করেন রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও চেম্বার পরিচালক মোঃ শাহ আলম।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাও: সিগবাতুল্লাহ নূর।