চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১০৩ কেজি গাঁজা ও ২৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার রাত ১১টার দিকে অভিযানটি চালায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরবের নাটালের মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে ৫১টি বান্ডিলে মোড়ানো ১০৩ কেজি গাঁজা, ২৯৮ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৫২০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় ট্রাকে থাকা দুজনকে। তারা হলেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার কল্পবাস গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৮) ও ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার (৩১)।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী গ্রেফতার দুজনকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তারা মাদকের এই চালানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন যাবত তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা দিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ৬ অক্টোবর রোববার সেনাবাহিনী সদরদপ্তরে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি আরো স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় ডোবার পানিতে ডুবে মিনহাজ নামে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে নিহত মিনহাজ খেলা করার সময় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায় মিনহাজ।
স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে তাকে ভাসতে দেখে। দ্রুত উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাহিদূজ্জামান সূর্য জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আষাঢ় আগেই বিদায় নিয়েছে, বিদায়ের পথে শ্রাবণ মাসও। এখনও প্রকৃতিতে ধরা দিচ্ছে না বর্ষা। এ কারণে গোমতী, তিতাস, কাঁঠালিয়া, হাবাতিয়া ও মাটিয়া নদী ঘেরা কুমিল্লার তিতাসে নৌকার হাটে চলছে খরা। লোকসানে পড়ছেন নৌকার ব্যবসায়ীরা; হতাশ হয়ে পড়ছেন নৌকা তৈরির কারিগররা।
বাতাকান্দি নৌকার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রির জন্য ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের সারি সারি নৌকা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। কারও মুখে হাসি নেই। রোদ্রের খরতাপে ছাতা কিংবা মাথায় গামছা দিয়ে ক্রেতার আশায় বসে আছেন বিক্রেতারা। নৌকার হাটের ইজারাদার জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার নৌকা বিক্রি খুবই কম। এখন সারাদিন দুই থেকে তিনটি নৌকা বিক্রি করা কষ্টকর।
নৌকা বিক্রি করতে হাটে আসা গোপাল চন্দ্র দাসের বাড়ি হোমনা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নৌকার হাট জমে ওঠে। এবার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে ১০ হাত নৌকা তৈরিতে তাঁর সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ ক্রেতা বলছেন তিন হাজার, সাড়ে তিন হাজার টাকা। নৌকা বিক্রি করে সংসার চালানো ও কিস্তি দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার টাকার কাঠ কিনছি এখন পর্যন্ত। মাত্র ১২টি নৌকা বিক্রি করেছি।’
নৌকা ব্যবসায়ী রতন সাহা জানান, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকে নৌকার বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার পানি না হওয়ায় নৌকা বিক্রি নেই বললেই চলে। ক্রেতার অভাবে তৈরি করা নৌকা এখন রোদ্রে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
হাটে কথা হয় হোমনার খন্দকার চরের জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে ১০ হাজার টাকার একটি নৌকা ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তবে আমার ওপর জুলুম করা হইছে। এক হাজার টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের ভাষ্য, বর্ষার রূপ এখন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে তিতাসে বিভিন্ন অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করায় শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতার মধ্যে আবার কচুরিপানার আগ্রাসন। ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে মানুষ মাছ ধরে খেত, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দিন দিন তিতাস নৌকার চাহিদা কমতে শুরু করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গণপূর্ত ও গৃহায়ণমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ৮ সংসদ সদস্যসহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ও গত দুই থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের শেরপুরের বাসিন্দা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই প্রথম কোনো মামলায় জেলার সব সাবেক এমপিকে একসঙ্গে আসামি করা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সাবেক এমপি ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, একই আসনের সাবেক এমপি বি এম ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঈন উদ্দিন, একই আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান আলম ও জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক এমপি শাহ আলম, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ও মো. বিল্লাল মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র ও সহ-সভাপতি নায়ার কবির প্রমুখ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে শহরের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে ছাত্র–জনতার মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনা ও হুকুমে অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বিভিন্ন ধরনের দা, হকিস্টিক, লোহার রড, ককটেল, হাতবোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে অজ্ঞাতনামা অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হন।
এজাহারের উল্লেখ করা হয়, ওই সময় মামলার বাদী, সাক্ষীসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ বাধা দিলে আসামিরা ককটেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। বাদীসহ সাক্ষীদের নম্বরবিহীন একাধিক মোটরসাইকেল ও পথচারীদের একাধিক অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।