চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাতনামা (৮৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল ও পুলিশের তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি নজরুল নামের একব্যক্তি অজ্ঞাত বৃদ্ধকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। প্রায়ই ১০ দিন চিকিৎসার পর ওই অজ্ঞাত বৃদ্ধ বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ মারা গেছে। বৃদ্ধের পরিবারের কোনো খোঁজখবর মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ওই বৃদ্ধের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত বৃদ্ধের পরিচয় শনাক্ত না হলে লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর দাফন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে লেকচার থিয়েটার (এল টি) ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ।
দর্শন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোঃ নাছির উদ্দিন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু হানিফ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তরা আজমপুরে বিস্কুট পানি বিতরণ করতে যেয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
শিক্ষার্থী তাহির আহমেদের কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া স্মরণ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজধানী ঢাকার সরেজমিন প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, অধ্যাপক আবদুল কাদির আলম শাহ, অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান, সহযোগী অধ্যাপক এ.কে.এম. ওবাইদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মাইদুল ইসলাম। ছাত্র আন্দোলনকালীন ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করেন শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম চৌধুরী, মোঃ আসাদুজ্জামান, শাহ আলম পালোয়ান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ বলেন, চাকুরী ও সমাজসহ সর্বক্ষেত্রে যে বৈষম্য বিরাজ করছে তা যেন দূর হয়ে যায়। আমরা বৈষম্যহীন (মুক্ত) একটা সমাজ চাই। যেখানে সবাই স্বস্তি ও শান্তিতে থাকবে।
বিশেষ অতিথি শহীদ মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এতে আমি বিশ্বাস করি না। সুশিক্ষাই হলো একটা জাতির মেরুদন্ড। কারও দালালী না করে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। সুশিক্ষা গ্রহণ করে নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ ইয়াহিয়া। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের পুনিয়াউটস্থ কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, এডভোকেট সফিকুল ইসলাম, এডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, এডভোকেট এম এ করিম, এডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা,এবি এম মমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, মাইনুল হোসেন চপল, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটন,সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুর বারী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোল্লা সালাউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুখলেছুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন আলী আজম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীত পড়ার সাথে সাথেই জমে উঠেছে পিঠা ব্যবসা। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে প্রায় শতাধিক দোকানে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে হরেক রকমের পিঠা বিক্রির ধূম।
শহরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ ফুটপাত থেকে পিঠা কিনে খায়। আবার কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে পিঠা তৈরী করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের বেশ কয়েকটি দোকানে সারা বছরই পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে শীতকালে বেড়ে যায় পিঠার দোকানের সংখ্যা।
সরজমিনে দেখা গেছে, শীত পড়ার সাথে সাথে পৌর শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, লোকনাথ উদ্যানের সামনে (ট্যাংকের পাড়) শহরের কেন্দ্রস্থল কোর্ট রোডের পৌর সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টারের সামনে, আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে, মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার, কাজীপাড়া সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, রেলওয়ে স্টেশনের সামনে, কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড, কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানের সামনে, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড, টি.এ. রোড আশিক প্লাজার সামনে, মৌড়াইল ডাক বাংলার মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে, কাউতলী জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে, সড়ক বাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তার ফুটপাত ও শহরের বিভিন্ন মহল্লার মোড়ের পিঠা বিক্রি করা হয়।
পিঠা ব্যবসায়ী সকাল ১০টার পর থেকেই মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা ও বাক্স নিয়ে বসে যান ফুটপাতে। এসব দোকানে চিতল পিঠা চিতই), চুয়া পিঠা (মেরা পিঠা), ভাঁপা পিঠা, পোয়া পিঠা (তেলের পিঠা) ও পাটিসাপটা পিঠা করা হয়। তবে ক্রেতাদের কাছে চিতল পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশী।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা-কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরী করা হয়। এ ছাড়া চিতল পিঠার সাথে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও সিদল শুটকির ভর্তা দেয়া হয়। ক্রেতারাও গরম গরম পিঠা পেয়ে খুশী।
প্রতিটি বড় সাইজের ভাঁপা পিঠা ১৫ টাকা ও ছোট সাইজের ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা, চিতল পিঠা ১০ টাকা, ছোট সাইজের চিতই পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চুয়া পিঠা প্রতিটি ৫টাকা করে বিক্রি করা হয়।
শহরের শ্রমজীবী মানুষরাই মূলত এসব পিঠার ক্রেতা। এছাড়াও শহরে শপিং করতে আসা গৃহিনীরা চাহিদামতো পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসেন ফুটপাতে পিঠা কিনতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা-বেচা-বিক্রি।
শহরের আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনের পিঠা বিক্রেতা আকবর আলী জানান, প্রতিদিন তিনি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার ৫০০/৬০০ টাকা লাভ হয়। তিনি বলেন, আগে তিনি প্রতিদিন ৫/৬ কেজির চালের গুঁড়ার পিঠা বিক্রি করলেও বর্তমানে ৭/৮ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ১১টার পর তিনি দোকান নিয়ে বসেন। রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে তার বেচা-কেনা। তিনি বলেন, তার দোকানে চিতই ও ভাঁপা পিঠাই বেশী বিক্রি হয়। ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠা এবং নারকেল-খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠার চাহিদাই বেশী। তিনি জানান, অনেকেই তার কাছ থেকে পিঠা কিনে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যান।
শহরের কাজীপাড়ার জেলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশের পিঠা বিক্রিতা আসমা বেগম বলেন, তিনি মূলত চিতই পিঠা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার কৃপায় বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, চিতই পিঠার সাথে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি ৬/৭ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন।
আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে পিঠা কিনতে আসা রফিক ও জুয়েল নামের দুই বন্ধু জানান, তাদের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তারা হোস্টেলে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। তারা বলেন, শীতের দিনে বাড়িতে মা-চাচীরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। হোস্টেলে থাকায় তারা এখন মা-চাচীর হাতে তৈরী পিঠা খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা বলেন, সুযোগ পেলেই তারা ফুটপাত থেকে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা কিনে নিয়ে যান হোষ্টেলে।
পৌর এলাকার মেড্ডার বাসিন্দা শিপন মিয়া বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ইচ্ছে করলেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন না। তাই তিনি ফুটপাত থেকেই হরেক রকমের পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান।
পুষ্প আক্তার নামে একজন মহিলা জানান, তিনি শপিং করতে মার্কেটে এসেছিলেন। শপিং শেষে বাসায় যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. জুয়েল নামে এক হাজতি। আজ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। মৃত মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চাঁন মিয়ার ছেলে। জুয়েল ২০২০ সালে স্ত্রী হত্যার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন জুয়েল। তাকে কারাগারে সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সেলের গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।