চলারপথে রিপোর্ট :
সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে ইব্রাহিমপুর বাঁশ বাজারে ইব্রাহিমপুর বিএনপির দলীয় কার্যলয়ের সামনে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সমাবেশে নবীনগর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক হাজী মোঃ জহিরুল হক জুরু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর রশিদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান জিল্লু।
উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল ইসলাম পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন মুন্সি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক উবাইদুল আহমেদ ইমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মেরাজুল ইসলাম সোহাগ, শিবপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মজিবুর রহমানসহ ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী রবিবারের মধ্যে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। সেভাবেই সবকিছু এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, চারটি বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন অনেকে এসেছেন, কিছু বাদও পড়েছে। উইনেবল (সম্ভাব্য জয়ী) প্রার্থী আমরা বাদ দেইনি।
কাদের বলেন, ‘আমরা যখন বিভাগের নাম ঘোষণা করি তখন ভিড় বেড়ে যায়, নির্দিষ্ট বিভাগ শুনলে পিড়াপীড়ি শুরু হয়ে যায়। কীভাবে নাম বাহির করা যায়। সে কারণে বিভাগের নাম ঘোষণা করছি না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মনোনয়নের ব্যাপারটা সুনির্দিষ্ট করে এখন বলছি না, কারণ এর মধ্যে আমরা যে সকল প্রার্থী দিয়েছি, সেসব মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। সেটাও সংশোধনের একটা সুযোগ রেখেছি। এ কারণে আমরা ঠিক করেছি- ভিন্নভাবে, জেলাভাবে বা বিভাগভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করবো না। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে চাই।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি। তার ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসির বদলির তালিকা পাঠানো হয়েছে ইসিতে।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচন কমিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানো হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি বদলির চিঠি সচিব (নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম) স্যারের কাছে আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এটি যাচাই-বাছাই করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মামলার রায় প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে রায় হয়েছে তা রায় কার্যকর করার চেষ্টা সরকারের সব সময় থাকবে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবে।
আজ ২ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ দিন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সব সময় থাকবে, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।
তড়িৎ গতিতে বিচার করার অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এক দিকে বলা হয় যে, এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থূল গতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয়, বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে, তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো, এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে… শুধু একটি দোষী বা নির্দোষ-এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। কথা হচ্ছে, দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাটা না করাই উচিত।
বিএনপিকে শেষ করে দিতে এসব রায় দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন বিএনপি যখন রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা।
বিএনপি বলছে এটি ফরমায়েশি রায়-এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই, আপনারাই জানেন। তারাই এই দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছে।
তারপরে হাইকোর্টে এই দুর্নীতি মামলা দায়েরের পরে যিনি আসামি তার পক্ষে যাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন সেটা নাকচ করে দিলেন, এরপর আপিল বিভাগে গেছেন ওনারা। আপিল বিভাগ নাকচ করার পরে এই দায়িত্ব বর্তায় বিচারিক আদালতে। এখানে তারা যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্যক ধারণা আছে কিনা আমার সন্দেহ, বলেন আইনমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, সেখানেই অ্যাকশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন চলাকালে যেকোনো অনিয়ম দেখলেই অ্যাকশনে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে ভোট বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।
একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা খোলার আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ১ অক্টােবর রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের ৪০১ ধারার কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশন, এটা খোলার আর কোনো উপায় নেই।
খালেদা জিয়ার পরিবার যদি এর পরও তাকে বিদেশ পাঠাতে চায় তাহলে কী প্রক্রিয়ায় যেতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাকে এখন যে আদেশ বলে ৪০১ ধারায় দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা বাতিল করে পুনরায় বিবেচনা করার সুযোগ থাকলে সেটা করা হবে।
তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যাওয়ার বিষয়টি সবসময় আছে। তবে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে বলছি আমাদের এই উপমহাদেশে ৪০১ ধারার ক্ষমতা যখন সরকার প্রয়োগ করে তখন সেটাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলে সিদ্ধান্ত আছে। সেক্ষেত্রে তারা হয়তো যদি প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা হলো এরকম, এখন যে আদেশ আছে সেটা যদি বাতিল করা হয়, বাতিল করে তাকে যদি আবার কারাগারে নেওয়া হয় তাহলে তিনি আদালতে যেতে পারবেন।
এই অবস্থায় তিনি আদালতে যেতে পারবেন এমন কোনো সুযোগ নেই। তাহলে কি আদেশ বাতিল করা হবে? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাতিল করা অমানবিক হবে। বাতিল করব না।
২৪ সেপ্টেম্বর আদেশ জারি করলেন তার কয়েকদিন না যেতে আবার এবিষয়টি নিয়ে তারা আবেদন করলো, এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনি মতামতের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার ভাইয়ের যে সর্বশেষ দরখাস্তটা, সেখানে বলা হয়েছে তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া। সে বিষয়ে আইনি মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আপনাদের প্রশ্ন হলো, প্রথম কথা হলো প্রথম যে দরখাস্তটা ছিলো ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিষ্পত্তি হয়। সেখানে বলা হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই দরখাস্তের ওপর আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেটা হলো দুটি শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো। এটা ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১ এর ক্ষমতা বলে। সেখানে যে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- প্রথমত তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। দ্বিতীয়ত তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সেই শর্ত মেনে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় যান। সেভাবেই দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়।
তিনি বলেন, নিষ্পত্তি করার পর দরখাস্তের মধ্যে এইটুকু জিনিস উন্মুক্ত ছিল সেটা হলো, তাকে দেওয়া হয়েছিল ছয়মাসের জন্য এবং প্রত্যেক ছয় মাসে বাড়ানো যাবে কি না সে ব্যাপার ছিল। প্রত্যেক ছয় মাসে এটা বাড়িয়ে ছিল, আটবার বাড়ানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার কোন দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়। সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আইনে থাকে না।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিঠি দেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।