অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে নেপালকে ৫২ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৫৩ রান। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভার শেষে ৫২ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।
টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারায় নেপালের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ সানা প্রবীণের ১৯ রানের সুবাধে নেপাল ৫২ রান করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে দু’টি উইকেট লাভ করেন জান্নাতুল মাওয়া। একটি করে উইকেট লাভ করেন নিশি, ফাহমিদা ছোঁয়া ও আনিসা আক্তার সোবা। এছাড়া নেপালের ৫ ব্যাটার রান আউটের শিকার হয়।
বাংলাদেশের স্কোয়াড:
সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আশিমা ইরা, মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইয়াসমীন, আনিসা আক্তার সোবা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, লাকী খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার ও সাদিয়া ইসলাম।
নেপালের স্কোয়াড :
পূজা মাহাতো (অধিনায়ক), সনি পাখরিন, তিরসানা বিকে, রচনা চৌধুরী, সাবিত্রী ধমি, কৃষ্ণা গুরুং, কুসুম গোদার, সীমানা কেসি, অনু কাদায়ত, কিরণ কুনওয়ার, স্নেহা মহারা, জ্যোৎস্নিকা মারাসিনি, সানা প্রবীণ, রিয়া শর্মা ও আলিশা যাদব।
অনলাইন ডেস্ক :
বিগ ব্যাশের ফাইনালে মিচেল ওয়েনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সিডনি থান্ডার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স। ৩৯ বলের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে হোবার্ট হারিকেন্সকে প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়ন বানালেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ হার্ড হিটার ব্যাটার। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার হোবার্টে ফাইনাল ম্যাচে সিডনি থান্ডার্সকে হোবার্ট ৭ উইকেটে হারিয়েছে। শুরুতে ব্যাট করে জেসন সাঙ্ঘা ও ডেভিড ওয়ার্নরের ব্যাটে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিডনি। জবাবে নেমে ৩৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হোবার্ট।
ফাইনাল ম্যাচে হোবার্টের জয়ের নায়ক মিচেল ওয়েন। ১১ ছক্কা ও ৬ চারে ৪২ বলে ১০৮ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। ফাইনালে সেঞ্চুরি করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকেও। ৩৯ বলে তার করা সেঞ্চুরিটি বিগব্যাশের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম। ২০১৪ বিগ ব্যাশে তৃতীয় আসরে ৩৯ বলে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন ক্রেইগ সিমন্স।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়েন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রথম ৩ ওভারে হোবার্টের রান হয় ৬২। ১৬ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ওয়েন। বিগ ব্যাশের ফাইনালে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
পাওয়ারপ্লের পরও চলতে থাকে ওয়েনের ঝোড়ো ব্যাটিং। ৭ ওভারে ১০৯ রান করে স্বাগতিক দল। ওয়েন এক পাশে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও অন্য পাশে সেলেব জোয়েল খেলেছেন তার স্বাভাবিক ক্রিকেট। তবে খুব বেশি রান করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। ১১ বলে ১৩ রান করে অষ্টম ওভারে আউট হন তানভীর সাঙ্ঘার বলে। একই ওভারে আউট হন নিখিল চৌধুরীও।
ওয়েনের বিধ্বংসী ব্যাটিং চলমান থাকায় তেমন চাপ বাড়াতে পারেনি সিডনি। ১০ ওভারে হোবার্টের স্কোরকে ১৩৮ রানে নিয়ে যান তিনি। ১০৮ রান করে এরপর ওয়েন আউট হলেও লড়াইয়ে ফেরার কোনো উপায় ছিল না সিডনির। ম্যাথু ওয়েড ৩২ এবং বেন ম্যাকডরমেট ১৮ রানে অপরাজিত থেকে শিরোপা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট বিভাগীয় পর্যায়ে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ১২৭ রানে রাঙ্গামাটি গভ: হাই স্কুলকে পরাজিত করেছে।
১ম ব্যাট করে আইডিয়াল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে আশিকুর রহমান শিমুল ৭৪ ও আনাছ ৩৭ রান করে। বিরতির পরে ব্যাট করতে নেমে রাঙ্গামাটি ১০.২ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয়। বাঁমহাতি স্পিনার ইয়াছিন আরাফাত ৫টি উইকেট ও ডানহাতি লেগ স্পিনার অধিনায়ক তপু দত্ত ৩ টি উইকেট পায়।
আগামী ২ মে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মুখোমুখি হবে কুমিল্লা হাই স্কুল এর বিপক্ষে।
১৭ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দল তপু, তারেক, শিমুল, আরাফাত, আনাছ, নওশাদ, নাইফ, সাদাত, হাসিবুল, আদিল, আব্দুর রহমান, মিনার, সাব্বির, শোয়াইব, অনন্দ, রাজীব রায় গেইম টিচার ও সিনিয়র শিক্ষক আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও কার্যনির্বাহী সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ৩ জুন সোমবার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ ট্রফি ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সহজে জিতেছে। ফাইনালও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নেপাল সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আজ ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই নেপাল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি।
এদিন শুরুতে ১-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপাল পরক্ষণে ১-১ স্কোর করে লড়াইয়ের আভাস দেয়। ধারাবাহিকতায় ২-১ স্কোরে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি। তবে স্বাগতিকরা বেশিক্ষণ তাদের রাজত্ব করতে দেয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬-২ স্কোরে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে। এই সময়ে একবার অলআউট করে লোনাও পায় মিজান-আল আমিনরা। স্বাগতিকদের পয়েন্ট নেওয়ার অভিযানে নেপালও কম যায়নি। গ্রুপ পর্বের চেয়ে আজ পয়েন্ট বেশি পেলেও বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।
বিরতির পর এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সময় স্কোর দাঁড়ায় ২৯-১১ তে। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ একবার অলআউট হয়। ৪৩-২৮ পয়েন্টে নেপাল পিছিয়ে থাকে। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস বলে দিচ্ছিল, ট্রফি জেতা কতটা সার্থক হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাজমুল হোসেনরা ৮টি টেস্ট খেলবেন। ব্যস্ত সূচিকে সামনে রেখে গত ২৫ মে থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুতি নিয়েছেন টেস্ট দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের কয়েকজনও সে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
সাকিব আল হাসান এ সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি ও পরে খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। কানাডা থেকেই পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিবের। ফিটনেস ও লাল বলে অনুশীলন না থাকার পরও সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড…সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’ গত বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিবের ব্যাটিংয়ের ছন্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গাজী আশরাফ হোসেন অবশ্য সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন, ‘আমাদের চিকিৎসক দল থেকে এমন কিছু শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের ৮টি টেস্টই সাকিব খেলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাঁর কথা, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবকে নিয়ে আছে অন্য দুশ্চিন্তা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদও ভেঙে দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীই এখন দেশে প্রকাশ্যে নেই। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কা থাকে।
এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেনও, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’
অনলাইন ডেস্ক :
স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো বার্সেলোনা। রুদ্ধশ্বাস ও তুমুল উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৫-২ গোলের ম্যাচে স্প্যানিশ সুপার কাপের রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৫তম শিরোপা জিতল কাতালানরা।
১২ জানুয়ারি রবিবার দিবাগত রাতে জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে মহিমান্বিত রাত উদযাপন করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। একইসাথে কার্লো আনচেলত্তির রিয়ালকে ভুলে যাওয়ার মতো এক রাত উপহার দিয়েছে।
গত আসরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।
গোলের শুরুটা করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। গোলের শেষটাও করে তারা। তবে মাঝে পাঁচ গোল হজম করতে হয় আনচেলত্তি দলের। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায় রিয়াল। মাজমাঠ থেকে ভিনিসিউসের পাস থেকে একক নৈপুণ্যে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এরপর বার্সা শো শুরু হয়। প্রথম হাফেই চার গোল দিয়ে রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে তারা। শুরুটা করেন ইয়ামাল। লেভানডোভস্কির থ্রু বল পেয়ে দারুণ করে বার্সাকে সমতায় ফেরান এই স্প্যানিশ তারকা। ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে লিড এনে দেন লেভানডোভস্কি।
তার তিন মিনিট পরই রাফিনিয়া তৃতীয় গোল করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রিয়াল। ডান দিক থেকে জুলস কুন্দের ক্রসে বক্সে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান রাফিনিয়া। এরপর প্রথমার্ধের ৯ মিনিট যোগ করা সময়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে গোল করেন বালদে।
৪৮তম মিনিটে আবারও রিয়ালের জালে বল পাঠায় বার্সা। কাসাদোর পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। ৫৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে এমবাপ্পেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শেজনি। ঐ ফ্রি কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে দ্বিতীয় গোলে স্বাদ দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো।
এরপর আর গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। তবে গোলের দেখা পায়নি তারা কিছুতেই। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুইটি ক্লাসিকোয় অন্তত ৪ গোল করে করল বার্সেলোনা। ১৯৬৩ সালে রিয়ালের পর প্রথমবার এমন কিছু দেখা গেল ক্লাসিকোয়।