অনলাইন ডেস্ক :
হতদরিদ্রদের মাঝে উন্নত জাতের বাছুর বিতরণ প্রকল্পের নামে বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প অনুযায়ী সুফলভোগী ১০ জন নারীকে একটি করে বাছুর দেওয়ার কথা থাকলেও শুধু ফটোসেশন করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। গরুর বাছুর দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে শুধু ফটোসেশন করায় হতাশ ওই সকল দুঃস্থ নারীরা। ফটোসেশনের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের গরুর বাছুর বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের টাকা পুরোটাই কৌশলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকার মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা নামের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলুর বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করছেন।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) আর্থিক সহায়তায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা এনজিও’র উদ্যোগে দশজন দুস্থ নারীকে বাছুর দেওয়ার কথা বলে রেলবাজারে নিয়ে আসা হয়। নিজের পরিচিত একটি খামার থেকে দশটি বাছুর গাড়িতে করে নিয়ে আসেন এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু। এরপর এলাকার কিছু ব্যক্তিকে তার বাসভবন সংলগ্ন এনজিও’র সামনে ডেকে এনে দশজন নারীকে দাঁড় করিয়ে গরু দেওয়ার ফটোসেশন করেন।
পরে ওই দুস্থ নারীদের বাছুর না দিয়ে খিচুড়ি-ডিম খাইয়ে বিদায় করা হয়। এরপর বাছুরগুলো আবার একই গাড়িতে করে একই খামারে ফেরত দিয়ে আসা হয়। সেখানে উপস্থিত অনেকেই গরু প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী পরিচালক বাবলু জানান পরে দেওয়া হবে।
কুবিরদিয়ার মাঠপাড়া গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে খুশি খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর বাবার বাড়িতে এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। অন্যের বাড়িতে ও মাঠে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি বলেন, ’প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় ওই এনজিওর লোকজন। বাছুর হাতে ধরিয়ে ছবি তোলেন তারা, কিন্তু আমাকে বাছুর দেয় নাই। বলছে, এবার অন্য এলাকার লোকদের দেব, পরেরবার তোমাকে দেব। পরে খিচুরি খাওয়ার পর বাড়িতে চলে আসি। তবে এর আগে একবার আমাকে একটা ছাগল দিয়েছিল বাবলু কাকা। তবে সেজন্য আমার কাছ থেকে নগদ ১৩০০ টাকাও নিয়েছিল।’
অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করা অপর এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের গাভী দেবার কথা বলে ট্রেনিংয়ে ডেকে নিয়ে যান এনজিওর লোকজন। ট্রেনিং শেষে আমাদের বাছুর হাতে দিয়ে ছবি তুলে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছেন। তারা বলছেন, এখন না, পরে বাছুর দেব। সেখানে আমরা দশজন ছিলাম, এখন পর্যন্ত বাছুর পাইনি।’
যে গাড়িতে বাছুরগুলো বহন করা হয়, সেই গাড়ি চালক শুভ দাস বলেন, ‘ওইদিন আমার গাড়ি নিয়ে মথুরাপুর এলাকার একটি গরুর খামার থেকে ১০টা বাছুর নিয়ে রেলবাজার বাবলু সাহেবের বাসার সামনে নিয়ে যাই, পরে অনুষ্ঠান শেষে ওখান থেকে ওই বাছুরগুলো আবার মথুরাপুরের ওই খামারে ফেরত নিয়ে যাই। কেন নিল আবার কেনইবা ফেরত পাঠালো আমি জানি না।’
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে ওই অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি। প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই। যদি শুধু ফটোসেশন করা হয় তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) উপ-মহাব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) মোস্তফা কামাল ভূঞা বলেন, ‘বিশেষ প্রকল্পের আওতায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা নামের এনজিওকে আমরা ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ টাকা দিয়েছি। কার্যক্রমে সন্তোষজনক হলে বাকি ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্টে ইউএনও’র প্রত্যয়ন লাগবে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এখনও তার রিপোর্ট হাতে পাইনি। আমরা বিষয়টি পর্যক্ষেণ করছি। রিপোর্ট আসার পর যাচাই-বাছাই করে দেখব, ঘাপলা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতির স্বীকার আমি। আমি কোনো খামার থেকে গরু আনি নাই। আমি শরৎনগর হাট থেকে বাছুর কিনেছি। যার রশিদ আমার কাছে আছে।’
এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলারপথে রিপোর্ট :
মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। ধীরে ধীরে প্রেম। শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। নাম বদলে এখন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা মিলে বৃষ্টি ও প্রকিপের। কথা বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। জানালেন বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু। গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন প্রকিপ। সে দিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে।
কথা হলে বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত সে কথা রেখেছে তার। আমিও তার সাথে চলে যেতে প্রসেস করছি।
প্রকিপ জানায়, তার বিয়ে করা দরকার ও সে মুসলিম হবে- এ দুটি বিষয় আকৃষ্ট করেছে তাকে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে সে খুব খুশি। বাংলাদেশ তার ভালো লাগছে।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এ দম্পত্তিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক, স্বদেশে এবং বহির্বিশ্বে মানবকলাণ ও সেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও কর্ণধার, অতুলনীয় মানবসেবী, অর্গানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এ্যাজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস্-এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সম্মানে বৈশ্বিক এ সংগঠনের সিলেট ডিভিশনাল চ্যাপ্টারের উদ্যোগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় নগরী সিলেটের উত্তর জেলরোডস্থ হোটেল ডালাস-এর কনফারেন্স হলে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টারের সভাপতি সাংবাদিক-ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ।
সংগঠনের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাবলীল উপস্থাপনায় প্রানবন্ত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট নগরীর বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কবি ও সংগঠক শাহেদা রশীদ পপী, কবি-শিক্ষাবিদ সেনুয়ারা আক্তার চিনু, লেখক-প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, কবি ও কথা সাহিত্যিক রাজিয়া নিলুফার আজাদ, এডভোকেট শিরিন আক্তার, দেশ টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি খালেদ মেহেদী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার আনাস হাবিব কলিন্স, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবি-সাহিত্য সমালোচক ও প্রভাষক মামুন সুলতান, কবি ও সংগঠক শায়খ তাজুল ইসলাম, ওসমানী জাদুঘর,সিলেট-এর কীপারআমিনুল ইসলাম, আরপিটিআই সিলেট-এর কর্মকর্তা জহিরুল হক, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরাম-এর সভাপতি ও অর্গ্যানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যানশনস্ সিলেট মহানগর চ্যাপ্টারের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার ও আ.ফ.ম.সাঈদ এবং আয়োজক সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টার ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা যুক্তরাজ্যে এবং স্বদেশে সংকটাপন্ন,বিপদগ্রস্ত এবং অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে মৌলভীবাজারের ইটা সিংকাপনের ঐতিহ্যবাহী ‘সিংকাপনী পরিবার’-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কে এম আবু তাহের চৌধুরীর বহুমুখী মানবিক সহায়তা এবং অতুলনীয় অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেইসাথে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এ ‘বেসরকারি দূত’-কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সুবিস্তৃত প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পরম করুণাময় মহান স্রষ্টা ও মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার দরবারে তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করে মতবিনিময় সভা শেষে বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী মোহাম্মদ ইসহাক।
এদিকে “গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টিকালচারেল, মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে গত ১৬ ই ডিসেম্বর শহীদ বেদিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনে একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার পর অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে কার্ডিফের সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড. বাবলিন মল্লিক, ওয়েলসের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মাসুদ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, আসরাফ হোসেন, মুজিবুর রহমান, ইউসুফ খান জিমি, সেলিম আহমদ, আবুল কালাম মুমিন, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সিতাব আলী, মাহমুদ আলী ফয়ছল রহমান, নুরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, নুরুল আলম, তমসির আলী, আফরাজ আহমেদ, শেখ রায়হান, বদরুল হক মনসুর, ইমরান মিয়া,বেলাল আহমেদ, হারুন মিয়া বেলাল খান, ইমরান হোসেন, ফয়ছল মনসুর,
ও যুবেদুর রহমান, সহ কমিউনিটি ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মকিস মনসুর সহ বক্তারা এ দিনটি বাঙালি জাতির বিশাল অর্জন ও গৌরবের উল্লেখ করে বলেন যাদের কারণে আমরা লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা পেয়েছি, প্রবাসের মাটিতে একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমরা বাংলাদেশের পতাকা বহন করে চলছি,সেই সব বীরদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করা সহ সকল শহীদানদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার ২০২৪ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ২৪ মে ১৯৭২ সালে কলকাতা হতে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডিস্থ ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কবিকে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং একই বছরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। জীবনাবসানের পর কবিকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস, ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারি’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টাগণ কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করেয সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে, সেহেতু তার ঢাকায় আগমনের তারিখ হতে (৪ মে ১৯৭২) জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে, সে কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হলো এবং ইহা সকলের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহীর বাঘার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চপল আলীকে ১১ জানুয়ারি শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাঘা থানার আলাইপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
১১ জানুয়ারি দুপুরে র্যাব-৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন আলাইপুর নামক এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী নিজ বসতবাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
পরবর্তীতে র্যাবের আভিযানিক দল আসামীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং গভীর রাতে একটি চৌকস আভিযানিক দল মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার বসতবাড়ি তল্লাশী করে নিজ শয়ন কক্ষের এটাস বাথরুম এর লো কমোডের ভিতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকায়িত ১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে।
চপল আলী এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। যার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ৮ টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল।
তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বিআরডিবি অফিস চত্বরে ৬৫৪ ফ্যামিলি কাডধারীর মাঝে আজ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ন্যায্যমূল্যে টিসিবির চাল, ডাল ও তৈল বিক্রি করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কসবা পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার এর নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে টিসিবির ডিলার মেসার্স মামুন স্টোর এর মাধ্যমে উপকারভোগী প্রতি কাডধারীর মাঝে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল এবং প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল নির্ধারিত ২৭০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়।
টিসিবির পণ্য বিক্রি অনুষ্ঠানে ট্যাগ অফিসার সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাসেল, পৌরসভার কর্মচারীগণ সহ পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।