চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মিলনায়তনে ফুলের ফিতা কেটে কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় সাত গণমাধ্যমকর্মীকে নতুন সাধারণ সদস্যসহ ৩৬জন স্থায়ী সদস্যকে হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নতুন সাধারণ ও স্থায়ী সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান ও নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাবেদ রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন ও সদস্য ফরহাদুল ইসলাম।
প্রেসক্লাব সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিশিভশনের সাতজন প্রতিনিধিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এসময় সাতজন সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র দেওয়া হয়। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছার জানিয়ে প্রেসক্লাবের ৩৬ জন সদস্যকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান করা হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফুলের তৈরি ফিতা কেটে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও আ ফ ম কাউসার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সদস্য জয়দুল হোসেন ও আবদুন নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চালের দর নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাস্ক ফোর্স বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজারে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদকে সামনে রেখে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই বাজারগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এ অবস্থায় অভিযানে নেমেছে টাস্ক ফোর্স। এ অভিযানে চালের ক্রয়মূল্যের রশিদ না থাকা এবং মজুতের সঠিক তথ্য না দিতে পারায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, ইতোপূর্বে কয়েকটি অবৈধ চালকলে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযানে নেমেছে টাস্কফোর্স। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে অল্প জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মজুত আইনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এক আনন্দ মিছিল ও গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করেন দলীয় লোকজন।
জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমূদুল হাসান হিফয্ এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় গণ-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, সাবেক জেলা সভাপতি ও আখাউড়া উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মুসলেহ উদ্দীন ভূঁইয়া, সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, জেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা সামছ্ আল ইসলাম ভূঁইয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতি আশরাফুল ইসলাম বিলাল, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাওলানা নূরুল আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি এম আবু হানিফ নোমানসহ আন্দোলনের সকল উপজেলা সভাপতিবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এর বিচার মহান আল্লাহ করেছেন। দীর্ঘদিন জুলুম-অত্যাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এসময় তারা নবীন প্রবীণ মিশ্রিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান। বক্তারা ভেঙ্গে পড়া শাসন ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন স টাস্ক ফোর্স এর উদ্যোগে আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম এর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধ আল মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিযা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সায়মন মাহমুদ।
সভার সভাপতি আল মামুন সরকার আগামী শীতে জেলায় শিশু সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে আগামী দিনে শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব ডাক্তার আব্দুস সালাম বলেছেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার ১৭ বছর জনগণের বুকের উপর পাথর চেপে বসেছিল। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে মীর মুগ্ধসহ সকল শহীদদের রক্তের বিনিময়ে মানুষ আজ মুক্ত। সবাই কথা বলতে পারছে। তিনি আরো বলেন, বিগত আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মীরমুগ্ধ স্মরণে আয়োজিত ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আউটার চত্বরে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার পতন হলেও তার ফেলে যাওয়া দুসররা বিষধর সাপের চেয়ও ভয়ঙ্কর। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মীর মুগ্ধের নামে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে ড্যাব কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডাক্তার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, কোষাধ্যক্ষ ডাক্তার মোঃ জহিরুল ইসলাম শাকিল, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার রতন কুমার ঢালী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট ম্যানেজিং বোর্ডের মেম্বার ডাক্তার শেখ আবু জাফর, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, ড্যাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সভাপতি ডাক্তার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, টুর্ণামেন্ট আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা ডাক্তার আমানউল্লাহ আমান, শহীদ মীর মুগ্ধের পিতা মীর মুস্তাফিজুর রহমান, শহীদ নাফিসের পিতা মোঃ গোলাম রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড্যাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার জহিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডাক্তার মোহাম্মদ মনির হোসেন, টুর্ণামেন্ট আয়োজন কমিটির আহবায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ আখতার হোসেন, সদস্য সচিব কাজী শান্তনু সাইহাম অর্ণব প্রমুখ।
টুর্ণামেন্টে মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে। চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দ্বৈত মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডাক্তার জাকিয়া সুলতানা রুনা, ডাক্তার লুৎফা এবং দ্বৈত পুরুষ প্রতিযোগিতায় ডাক্তার আখতার হোসেন ও ডাক্তার সারোয়ার, ডাক্তার শাকিল ও ডাক্তার পল্লব এবং সিঙ্গেল প্রতিযোগিতায় ডাক্তার সাইফ কে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং রানর আপ প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঝে ট্রফি প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।