অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে দায়িত্ব ছাড়তে বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত দুই আমেরিকান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুদিন পরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহরে ব্যাপক ওলটপালট ঘটাবেন এই নির্দেশনায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম যে তিন কর্মকর্তাকে পদ ছাড়তে বলেছে, তারা হলেন- ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট ও আলেইনা তেপলিৎজ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণত নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত দায়িত্ব চালিয়েই যান। যে তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ট্রাম্পের টিম পদ ছাড়তে বলেছে তারা ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান সব প্রশাসনের আমলেই রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে বার্নিকাট ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়ে তিনি ‘ডিপ স্টেটকে মুছে ফেলতে’ অনুগত নয় এমন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করবেন বলে নির্বাচনী প্রচারেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বার্নিকাটসহ তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব ছাড়তে বলা তারই শুরু, বলছেন অনেকে।
ট্রাম্প টিমের নির্দেশনার সঙ্গে পরিচিত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘এটি যে আরও খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগও আছে’’।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য চাইলে ট্রাম্পের ট্রাঞ্জিশন টিমের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের দেশ ও কর্মঠ মার্কিন নারী-পুরুষকে সবার আগে রাখা নিয়ে ট্রাম্পের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণকারী কর্মকর্তা খুঁজে বের করাই প্রশাসনে পরিবর্তন আনার দায়িত্বে থাকা দলের জন্য উপযুক্ত কাজ। আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে, সেগুলো ঠিক করতে হবে এবং এজন্য একই লক্ষ্যে মনোনিবেশকারী একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দল প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে দেওয়ার মতো ঘোষণা তার কাছে নেই।
মন্ত্রণালয়টির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেরেক হোগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরো ও হোয়াইট হাউজের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ দেখভাল করা।
বার্নিকাট এখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক এবং ব্যুরো অব গ্লোবাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক, এই দপ্তর মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের নিয়োগ, দায়িত্ব বন্টন ও ক্যারিয়ার উন্নতি দেখভাল করে।
আর সহকারী সেক্রেটারি তেপলিৎজ তিন দশক ধরে দেশে-বিদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন।
পদত্যাগের নির্দেশনা নিয়ে এ তিনজনের কেউই রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এবারের প্রশাসন আরও বেশি সংঘাতমূলক পররাষ্ট্র নীতি বেছে নেবে।
২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাওয়া রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট অবশ্য এরই মধ্যে ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রভুক্ত করার চেষ্টা ও নেটো মিত্রদেরকে প্রতিরক্ষায় আরও বেশি অর্থ ব্যয়ে তাগাদার মতো কিছু অপ্রচলিত নীতির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।তার এসব লক্ষ্য অর্জনে বিরোধিতার বদলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে এমন কূটনীতিক কর্মীবাহিনীই মূল চালিকাশক্তি হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রশাসনে রদবদল ছিল নিয়মিত ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদই হয়ে উঠেছিল মিউজিকাল চেয়ার। তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলে ট্রাম্পের টিম যেন আগের ওই মেয়াদের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত পৃথক দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নতুন প্রশাসন এসিসটেন্ট সেক্রেটারির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী। মার্কিন প্রশাসনের এ পদগুলোতে সাধারণত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মিশ্রণ দেখা যায়।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যেসব নীতি নিয়েছিলেন তার অনেকগুলোই দীর্ঘদিন ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের কারণে ‘লাইনচ্যুত’ হয়ে পড়েছিল, ট্রাম্পের সহযোগীদের এমন মনোভাবের কারণে এবার মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদেও ট্রাম্পের টিম আরও রাজনৈতিক নিয়োগে আগ্রহী, বলছে সূত্রগুলো।
এজেন্সি রিভিউ টিম এরই মধ্যে এ পদগুলোতে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়াও শুরু করেছে, বলেছে দুটি সূত্র।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশগ্রহণ করছেন না। তবে ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান যোগ দেবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের বাসায় অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় তারেক রহমান মাকে রেখে কোথাও যেতে চাইছেন না।
এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানেও যাবেন না তিনি। তবে ওই অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও তার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ে জায়মা রহমানকে পাঠাচ্ছেন।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে জায়মা রহমানের ভিসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে এ ধরনের বৈশ্বিক কোনো আয়োজনে জায়মা রহমানের প্রথম অংশগ্রহণ।
এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানটি ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী ও ১০০টিরও বেশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। অনুষ্ঠানটি একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার এবং একত্রে প্রার্থনা করার জন্য একটি বিশেষ ফোরাম।
উক্ত ফাউন্ডেশন মার্কিন নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
সূত্র : বাসস
স্টাফ রিপোর্টার:
কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ফানুসে। আর এসব ফানুসের কারণে রাজধানীতে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এসব আগুনে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ চারটি আগুনের মধ্যে শুধু এক জায়গায়ই ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হয়েছে। বাকি তিন জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।
তিনি বলেন, রাত ১২টার পর আমরা রাজধানীর চার জায়গায় ফানুসের কারণে আগুন লেগেছে বলে জানতে পেরেছি। সেই স্থানগুলো হলো- সদরঘাট হকার্স মার্কেটের টিনের ছাদ, লালবাগ মৌলভীবাজার মসজিদের সামনে বিদ্যুতের তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ছাদ ও মানিকদি বাজারের একটি বাসার ছাদ। এর মধ্যে মানিকদি বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটি ইউনিট ১০-১৫ মিনিট কাজ করেছিল। বাকি তিন জায়গার আমাদের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। রোজিনা আক্তার বলেন, এই চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আগুনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি না ফোটানো হয়ে সে বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন করা যাবে না। কোথাও কোনো ডিজে পার্টি হবে না। কোথাও আতশবাজি-পটকা ফুটানো যাবে না, ফানুস ওড়ানো যাবে না। আপনারা জানেন, ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তাই স্ট্রিক্টলি অনুরোধ করছি যাতে কেউ ফানুস না ওড়ায়। ফানুস ওড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আসাদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত আসাদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম ইটনা সীমান্ত দিয়ে পারাপারের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ১২০ গজ ভিতরে থেকে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার বাম চোখের পাশে লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে সুলতানপুর বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনাটি ভারতীয় সীমান্তের ১২০গজ ভেতরে একটি ছোট নদীর ধারে ঘটেছে। আহত যুবক নদী পার হওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। গুলিটি তার চোখের কাছে লাগে এবং প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিস্তারিত জানতে আহত ব্যক্তির সাথে কথা বলা হচ্ছে এবং বিএসএফের সাথেও যোগাযোগ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের একটি জেলে এক গ্যাংস্টারকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তার নাম তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মান। আজ ২ মে মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দিল্লির তিহার জেলের মধ্যে তিল্লু তাজপুরিয়ার ওপর হামলা চালান তার প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডা ও তার সহকারীরা। তিহার জেলের ৯ নম্বর সেলে বন্দী ছিলেন তিল্লু তাজপুরিয়া। তার পাশের ৮ নম্বর সেলে ছিলেন যোগেশ টুন্ডা। লোহার গ্রিল টপকে রড দিয়ে যোগেশ ও তার সহকারীরা তিল্লু তাজপুরিয়ার ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠে।
দুই পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আহত তিল্লু তাজপুরিয়া ও রোহিত নামের আরেকজনকে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তিল্লু তাজপুরিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত রোহিতের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর অন্য বন্দীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গত বছর দিল্লির রোহিনী আদালতের মধ্যে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র যোগীর ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই জিতেন্দ্র যোগী পক্ষের সদস্যরা যোগেশ টুন্ডাকে ভাড়া করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। সূত্র: এনডিটিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইজ উইডস্ট্রা বলেছেন, গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) আয়োজিত বৈঠকে নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইজ উইডস্ট্রা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তিনি গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে আমাদের তরুন প্রজন্মকে কাজে লাগানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুজবের শহর এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এখানে বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়ায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয় ওই সভায়। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৫৪ জন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর ডেপুটি ডাইরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান, সিনিয়র পলিসি এ্যাডভাইজার নামিয়া আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক আদনান ফাহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা পরিষদ সদস্য রুমানুল ফেরদৌসি, নারীনেত্রী ফারহানা মিলি, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সাকমিড সূত্র জানায়, ভুল ও অপতথ্য রোধে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরই আওতায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করছে সাকমিড। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে।